বিষয়বস্তুতে চলুন

রায়পুর জমিদার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রায়পুর জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্যাবলী
ঠিকানাপীরগঞ্জ উপজেলা, রংপুর জেলা
দেশবাংলাদেশ
ভূমিমালিকবীরেন সিং

রায়পুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত পীরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আখিরা নদীর ধারঘেঁষে রায়পুরের জমিদার লাসমন সিংয়ের বাড়ি। তার মৃত্যুর পর দেশবিভাগের আগে ছেলে মুরালি সিং ও বদি সিং ভারতে চলে যান। কনিষ্ঠ ছেলে বীরেন সিং জমিদারবাড়িতে থেকে যান। পরে তিনিও চলে যান ভারতে। লাসমন সিংয়ের ১৯শ' বিঘা জমি পড়ে থাকে পীরগঞ্জসহ এ উত্তরের জনপদে। এরপর জমিদারবাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিতরা এ বিশাল সম্পত্তির মালিক বনে যান। দেশ স্বাধীনের পর এই জমিদারবাড়ির ভিটাটুকুও দখল করে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। জমিদার বীরেন ভারতে যাওয়ার আগে আখিরা নদীর তীরবতী জমিদারবাড়ি ও বেশকিছু সম্পত্তি দান করে যান রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়কে।[]

অবস্থান

[সম্পাদনা]

পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের অন্তর্গত উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে রায়পুরের জমিদার বাড়ির অবস্থান।

বিবরণ

[সম্পাদনা]

প্রাসাদের চারদিকে সারিবদ্ধভাবে লাগানো লম্বা নারিকেল গাছ ও ইট সুরকি দিয়ে নির্মিত আধাপাকা বিশাল প্রাচীর। আর প্রাচীর সংলগ্ন উল্টো দিকে দু‘টি বড় পুকুর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে ছিল জমিদার বিরেন বাবুর বিচারালয়। এই বিচারালয়ে তিনি নিজে শুধুমাত্র অপারাধীদের একক উপস্থিতিতে বিচারকার্য ও শাস্তি প্রদান করতেন। বিচার কক্ষ থেকে সামনে সরু রাস্তা নেমে গেছে ইট বিছানো ঘাট আখিরা নদীতে। এখানেই স্নান করতেন জমিদার পরিবারের লোকজন। পশ্চিম পার্শ্বের অতিথিশালা যা কিছুদিন পূর্বেও রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন ধ্বসে পড়ার আশংকায় ছাত্ররা বসবাস ছেড়ে দিয়েছে। উল্টো দিকের কোনায় জমিদারের বসবার ঘর ও শোবার ঘর ছিল, সেটি ভেঙ্গে এখন ইট সুড়কির স্তূপে পরিণত হয়েছে। বসার ঘরটি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পুজোমন্ডপ হিসেবে ব্যবহার করলেও এখন তা ছুঁচা চামচিকা আর ইঁদুরের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এ সকল ভবনের নির্মাণ শৈলী ছিল অত্যন্ত শিল্পকার্য খচিত মনোরম ও চিত্তাকর্ষক। ভবনগুলোর দরজা-জানালা গুলো অনেক মুল্যবান ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা চুরি গেছে বেশ কিছুদিন আগেই। এখনও চুরি যাচ্ছে ইট-পাথর। জানা গেছে, পরিত্যক্ত এই জমিদার বাড়িতে অনেক মুল্যবান মুর্তি, পাথর, বিভিন্ন প্রকার দামি তৈজসপত্র ও মুল্যবান সামগ্রী ছিল। []

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]