বিষয়বস্তুতে চলুন

ভাওয়াইয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভাওয়াইয়া মূলত বাংলাদেশের রংপুর এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারেআসামের গোয়ালপাড়ায় প্রচলিত এক প্রকার পল্লীগীতি। এসকল গানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এ গানগুলোতে স্থানীয় সংস্কৃতি, জনপদের জীবনযাত্রা, তাদের কর্মক্ষেত্র, পারিবারিক ঘটনাবলী ইত্যাদির সার্থক প্রয়োগ ঘটেছে।

যেমনঃ গরুর গাড়ি চালক বা গাড়িয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলছে -

ওকি গাড়িয়াল ভাই,
কত রব আমি পন্থের দিকে চাঞা রে।
যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়।

আবার রংপুরের ঐতিহ্যবাহী চিড়িয়াখানা নিয়েঃ

মিয়া ভাই একনা কতা কবার চাও,
অংপুর মুই যাবার চাও,
চিড়িয়াখানা দেখিয়া আনু হয়।

ভাওয়াইয়া কথার উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

ভাওয়াইয়া কথাটির উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক মতবাদ রয়েছে। ভাব(মনের অনুভূতি)>ভাও+ইয়া। অর্থাৎ, যে সমস্ত গানের মধ্য দিয়ে মনের অনুভূতি প্রকাশ করা হয়।

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

ভাওয়াইয়া গানের আকরভূমি রংপুর।[] বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নদী-নালা কম থাকায় গরুর গাড়িতে চলাচলের প্রচলন ছিল। আর গরুর গাড়ির গাড়োয়ান রাত্রে গাড়ি চলাবস্থায় বিরহ ভাবাবেগে কাতর হয়ে আপন মনে গান ধরে। উঁচু-নিচু রাস্তায় গাড়ির চাকা পড়লে তার গানের সুরে আধো-ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়ে। এই রকম সুরে ভাঙ্গা বা ভাঁজ পড়া গীতরীতিই 'ভাওয়াইয়া' গানে লক্ষণীয়। প্রেম-বিয়োগে উদ্বেলিত গলার স্বর জড়িয়ে যেরকম হয়, সেরকম একটা সুরের ভাঁজ উঁচু স্বর হতে ক্রমশঃ নিচের দিকে নেমে আসে। সুরে ভাঁজ পড়া ভাওয়াইয়া গানের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য।

চলচ্চিত্র

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলীর চলচ্চিত্র 'উত্তরের সুর' (Northern Symphony) ছবিতে একজন ভাওয়াইয়া গায়কের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়। এখানে উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্যের কারণে ধীরে ধীরে ভাওয়াইয়া গানের অবলুপ্তি তুলে ধরা হয়। চলচ্চিত্রটি ১৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়।

বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পীগণ

[সম্পাদনা]

বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া গীতিকার

[সম্পাদনা]

উৎসব-অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]

মাটির গান হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে ভাওয়াইয়া গানের। সেখানেও পিঠে-পুলির উৎসবেও এ গানের প্রভাব পড়েছে।[] তেমনি একটি হলোঃ-

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. দৈনিক ইত্তেফাক, বিনোদন প্রতিদিন, মুদ্রিত সংস্করণ, ২৩ জানুয়ারি, ২০১২ইং, পৃষ্ঠা নং-১৩
  2. দৈনিক ইত্তেফাক, মুদ্রিত সংস্করণ, পৌষ এলো গো পৌষ, নগর সংস্কৃতি, ৭ জানুয়ারী, ২০১২ইং, পৃষ্ঠা-২৪