সুন্দরবন এক্সপ্রেস
![]() খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৬) পোড়াদহ জংশনে যাত্রাবিরতি | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ১৭ আগস্ট, ২০০৩ |
বর্তমান পরিচালক | পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | খুলনা রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১৪ টি (৭২৫ এ ১৩ টি) |
শেষ | ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন |
যাত্রার গড় সময় | ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট |
রেল নং | ৭২৫ আপ/৭২৬ ডাউন |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি সিট/ তাপানুকূল স্লিপার, তাপানুকূল চেয়ার এবং শোভন চেয়ার |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | আছে |
পর্যবেক্ষণ সুবিধা | আছে |
বিনোদন সুবিধা | নেই |
অন্যান্য সুবিধা | নামাজ ঘর , অজুখানা, বায়ো টয়লেট, খাবার গাড়ি |
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | 80 , 100 , 85 , 120 , 40 |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৭২৫/৭২৬) খুলনা এবং ঢাকা শহরের মাঝে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন হিসেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেনটি ২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট থেকে ঢাকা-খুলনা রেলপথে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে।
ট্রেনের রুট
[সম্পাদনা]২০০৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকা-খুলনা রেলপথে যাত্রা শুরু করে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। তখন থেকে যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করতো ট্রেনটি। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করা ট্রেনটি ৮ জেলার মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যমুনা সেতু হয়ে দীর্ঘ ২০ বছর চলার পর ২০২৩ সালের ১লা নভেম্বর থেকে ট্রেনটি পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল শুরু করেছে। বর্তমানে নতুন রুটেও ট্রেনটির জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেনটির ঢাকা থেকে খুলনা যেতে প্রায় ৯ ঘন্টা লাগতো, যেখানে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনটি সাড়ে ৭ ঘন্টায় ঢাকা থেকে খুলনা যেতে পারছে।
ট্রেনের নামকরণ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন "সুন্দরবন" এর নামানুসারে ট্রেনটির নামকরণ করা হয় সুুুন্দরবন এক্সপ্রেস।
সময়সূচী
[সম্পাদনা](বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো।)
ঢাকা টু খুলনা:
[সম্পাদনা]সুন্দরবন এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং খুলনায় পৌঁছায় দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে।
খুলনা টু ঢাকা:
[সম্পাদনা]অপরদিকে, খুলনা থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে, এবং ঢাকায় পৌঁছায় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। [১]
নিম্নে পদ্মা সেতু রুটে চলাচল করার ক্ষেত্রে সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭২৫ | খুলনা | ২১:৪৫ | কমলাপুর | ০৫:১০ | মঙ্গলবার |
৭২৬ | কমলাপুর | ০৮:১৫ | খুলনা | ১৫:৫০ | বুধবার |
যাত্রাবিরতি
[সম্পাদনা]৭২৫/৭২৬ নং সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ নভেম্বর ২০২৩ইং থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করে। আগে এই ট্রেনটি ঢাকা বিমানবন্দর - জয়দেবপুর জংশন - যমুনা সেতু - ঈশ্বরদী জংশন হয়ে চলাচল করতো।
বর্তমান রুটে যাত্রাবিরতিসমূহ:
- খুলনা প্রারম্ভিক/গন্তব্য
- দৌলতপুর
- নওয়াপাড়া
- যশোর জংশন
- মোবারকগঞ্জ
- কোটচাঁদপুর
- দর্শনা হল্ট (শুধু ৭২৬ এর জন্য)
- চুয়াডাঙ্গা
- আলমডাঙ্গা
- পোড়াদহ জংশন
- কুষ্টিয়া কোর্ট
- পাংশা
- রাজবাড়ী
- ফরিদপুর
- ভাঙ্গা
- ঢাকা প্রারম্ভিক/গন্তব্য
রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]সুন্দরবন এক্সপ্রেস ১৩টি এলএইচবি কোচ নিয়ে চলাচল করতো কিন্তু বর্তমানে চীন থেকে আনা আধুনিক CRRC কোচ নিয়ে চলাচল করছে। এতে ২টি এসি বার্থ, ৪টি এসি স্নিগ্ধা চেয়ার কোচ,৪টি নন-এসি শোভন চেয়ার আর ২টি খাবার গাড়ি ও ১টি পাওয়ার কার নিয়ে মোট ১৩টি CRRC কোচ চলাচল করে। এবং এই ট্রেনটি ৬৬০০ সিরিজের EMD লোকোমোটিভ নিয়ে চলাচল করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, বিরতি স্টেশন ও ভাড়ার তালিকা ২০২৪"। WeBlogBD (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১২।
