সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সান্তাহার
বাংলাদেশ রেলওয়ের জংশন স্টেশন
অবস্থানসান্তাহার, আদমদীঘি, বগুড়া
 বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°৪৮′১৯″ উত্তর ৮৮°৫৯′০৯″ পূর্ব / ২৪.৮০৫৩° উত্তর ৮৮.৯৮৫৭° পূর্ব / 24.8053; 88.9857
মালিকানাধীনবাংলাদেশ রেলওয়ে
লাইনচিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন, সান্তাহার-কাউনিয়া লাইন
প্ল্যাটফর্ম6
নির্মাণ
পার্কিংআছে
সাইকেলের সুবিধাআছে
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
ইতিহাস
চালু১৮৭৮
অবস্থান
মানচিত্র

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় অবস্থিত একটি জংশন স্টেশন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এ জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী এবং আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল ট্রেন, সাধারণ মেইল, মালামাল গাড়িসহ প্রায় ৩০টি ট্রেন চলাচল করে।

অবিভক্ত ভারতের উত্তরবঙ্গ ও আসাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে সান্তাহারকে সংযুক্ত করে পূর্বদিকে বগুড়া হয়ে দিনাজপুর, রংপুরলালমনিরহাটে যাওয়ার জন্য আগের রেললাইনের (ব্রডগেজ) সাথে আরও একটি রেললাইন (মিটারগেজ) নির্মিত হলে ‘সান্তাহার স্টেশন’ সান্তাহার জংশন স্টেশনে পরিণত হয়।[১]

২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৭ টাকা আয় হয়।[২] সান্তাহারের রেল ইয়ার্ডটি বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলইয়ার্ড।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সান্তাহার জংশন

১৮৭৮ সাল থেকে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে রেলপথে যাওয়ার জন্য, দুইধাপে রেলভ্রমণ করতে হত। প্রথম ধাপে, পূর্ববঙ্গ রাজ্য রেলপথ ধরে কলকাতা স্টেশন (পরবর্তীতে শিয়ালদহ নামে নামকরণ করা হয়) থেকে যাত্রা শুরু করে পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরের দামুকদিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার রেলভ্রমণ করতে হত; তারপর ফেরিতে করে নদী পার হয়ে ভ্রমণ যাত্রার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হত। দ্বিতীয় ধাপে, উত্তরবঙ্গ রেলপথ ধরে পদ্মার উত্তর তীরের সারাঘাট থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৩৩৬ কিলোমিটার রেলভ্রমণ করতে হত।[৩] ১৮৭৮ সালে দর্শনা-পার্বতীপুর ব্রডগেজ রেল চালু হয়। সেই সময়কালে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে চালু হয়।

১৮৯৯-১৯০০ সালে, ব্রহ্মপুত্র-সুলতানপুর রেলওয়ে কোম্পানী যমুনার পশ্চিম তীরের সান্তাহার থেকে ফুলছড়ি পর্যন্ত একটি মিটারগেজ রেলপথ তৈরি করে।[৪] ১৯০১ সালে বোনারপাড়া-সান্তাহার মিটারগেজ লাইন চালু হলে সান্তাহার জংশনে পরিণত হয়।[২]

কলকাতা-শিলিগুড়ি মূল লাইনটি পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি নির্মাণাধীন অবস্থায়, শাকোল-সান্তাহার বিভাগটিকে ১৯১০-১৯১৪ সালের মধ্যে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১৯১৫ সালে চালু হয় এবং সান্তাহার-পার্বতীপুর বিভাগটিকে ১৯২৪ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়।[৪]

শুরুতে এই স্টেশনের নাম ছিল সুলতানপুর। ১৯৪৭ সাল থেকে সুলতানপুর সান্তাহার নামে খ্যাত হয়ে থাকে। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন সাঁতাহার নামক স্থানের নাম থেকে সান্তাহার নামকরণ হয়।[২]

পরিষেবা[সম্পাদনা]

স্টেশনে থাকা একটি ট্রেন

এই স্টেশন দিয়ে আন্তঃনগর, মেইল, সাধারণ মেইল, মালামাল গাড়ি চলাচল করে। এই স্টেশন থেকে নিন্মলিখিত ট্রেন ছেড়ে যায়:[৫]

আন্তঃনগর ট্রেন
মেইল/এক্সপ্রেস ট্রেন

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সমস্যা জর্জরিত সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন"ittefaq.com.bd 
  2. "সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে কোটি টাকা আয় হলেও যাত্রী সেবার মান বাড়েনি"দৈনিক সংগ্রাম। ৫ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"। আইআরএফসিএ। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯ 
  4. "Brief History"। বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯ 
  5. "সান্তাহার ট্রেনের সময়সূচি"railway.gov.bd। ১৩ মার্চ ২০১৭।