উল্কা এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | এক্সপ্রেস ট্রেন |
অবস্থা | বন্ধ |
প্রথম পরিষেবা | ১ জানুয়ারি ১৯৬৬ |
শেষ পরিষেবা | ১৯৮৬ |
সাবেক পরিচালক |
|
যাত্রাপথ | |
শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ৬টি চট্টগ্রাম-লাকসাম-আখাউড়া-ভৈরব-টঙ্গী-ফুলবাড়িয়া/কমলাপুর |
শেষ |
|
ভ্রমণ দূরত্ব | ৩৪৬ কিলোমিটার (২১৫ মাইল) (চট্টগ্রাম-কমলাপুর) |
যাত্রার গড় সময় | ৬ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ড। এই ট্রেন চালুর ফলে যাত্রাপথের গড় সময় পূর্বের থেকে প্রায় ২ ঘন্টা হ্রাস পায়। |
ব্যবহৃত লাইন |
|
যাত্রাপথের সেবা | |
অন্যান্য সুবিধা |
|
কারিগরি | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ৭২.৪২০৫ কিমি/ঘ (৪৫ মা/ঘ) (সর্বোচ্চ) |
উল্কা এক্সপ্রেস বাংলাদেশের একটি সাবেক এক্সপ্রেস ট্রেন। এটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার ফুলবাড়িয়া/কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করতো।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
তৎকালীন পাকিস্তান ইষ্টার্ণ রেলওয়ে সংক্ষেপে P. E. R এর অধীনে ১৯৬৬ সালের ১লা জানুয়ারি পূর্ব বাংলা (পূর্ব পাকিস্তান) এর মূল শহর চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চালু হয় উল্কা এক্সপ্রেস ট্রেন। উল্কার দুটো রেকে স্থান পায় ক্রিমসন পেইন্টেড কোচ তথা প্রচলিত লাল রংয়ের কোচ। ক্রিমসন পেইন্টটি ছিলো আভিজাত্যের প্রতীক। ট্রেনটি সূচনার মাধ্যমে রেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ভ্রমণ কাল প্রায় দুই ঘণ্টা হ্রাস পায়। ট্রেনটি সূচনা লগ্নে পূর্ব বাংলা বর্তমান বাংলাদেশের এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির দ্রুতগতির ট্রেন ছিলো। একপথে তথা আপে সময় লাগতো ০৬.২৫ ঘন্টা এবং অপর পথে তথা ডাউনে সময় লাগতো ০৬.৩০ ঘন্টা। জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে নবনির্মিত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন চালু করা হলে ট্রেনটি শেষবারের মতো ১৯৬৮ সালের ৩০শে এপ্রিল ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এরপর ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি সরকারের আমলে চট্রগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম গামী আন্তনগর [১] মহানগর এক্সপ্রেস চালু হলে এই ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারত উপ-মহাদেশের এক জরিপে দ্রুতগতির ১০ টি ট্রেনের তালিকায় স্থান করে নেয় উল্কা এক্সপ্রেস।
সময়সূচী[সম্পাদনা]
এই সময়সূচীটি ট্রেনটি চালু হওয়ার সময় কার্যকর করা হয়েছিলো।
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ |
---|---|---|---|
চট্টগ্রাম | ০৭:০০ | ফুলবাড়িয়া | ১৩:২৫ |
ফুলবাড়িয়া | ০৮:২০ | চট্টগ্রাম | ১৪:৫০ |
রোলিং স্টক[সম্পাদনা]
এই ট্রেনে ২০০০ অথবা ২২০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হতো। ট্রেনটি লাল মেইল ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচের দুই রেকে চলাচল করতো।
দুর্ঘটনা[সম্পাদনা]
- ০১/০৮/১৯৭১ অথবা ২৮/০৮/১৯৭১: চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই ও মাস্তাননগর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত মোহামায়া রেলসেতুতে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গেরিলা অভিযান চালানো হয়। উল্কা এক্সপ্রেস ট্রেন সেই ব্রীজ অতিক্রমকালীন সময়ে গেরিলা বাহিনী কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ট্রেনের লোকোমোটিভ এবং চারটি কোচ খাদে পড়ে যায়। এই অভিযানে প্রায় ১০ জনের মতো পাকিস্তানি সেনা নিহত ও ৫ জন সেনা আহত হন। অনেক বাঙালীও এই বিস্ফোরণে নিহত হন।[২]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Railway -- plight and prospects"। দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৬।
- ↑ "মােহামায়া রেলসেতুতে উল্কা ট্রেনে অপারেশন"। সংগ্রামের নোটবুক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৬।