নীলসাগর এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ১ ডিসেম্বর ২০০৭ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৫২৬ কিলোমিটার (৩২৭ মাইল) |
যাত্রার গড় সময় | ০৯ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭৬৫ / ৭৬৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ১২ |
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ১০০ কিমি/ঘণ্টা |
নীলসাগর এক্সপ্রেস হল বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি প্রথমে নীলফামারী থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে চলাচল করত, পরে চিলাহাটি ও কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২০০৭ সালে ১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে নীলফামারী রুটে চালু করেন তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার।[১] ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে চালুর করার কথা থাকলেও নীলফামারী-চিলাহাটি পুরাতন রেল পরিকাঠামোর কারণে নীলফামারী থেকে যাত্রা শুরু করে। যার ফলে উত্তরাঞ্চলের মানুষ মানব-বন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করে।[২] পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১০ সালে সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি রেল পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলাহাটিতে একটি ওয়াশপিটসহ সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেললাইনের উন্নয়ন করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে চলাচল শুরু করে।[১]
রোলিং স্টক[সম্পাদনা]
২০০৭ সাল থেকে এই ট্রেনটি ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি সাদা ব্রডগেজ রেক দ্বারা পরিচালনা করা হয়। ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি আধুনিক রেক দ্বারা পরিচালনা শুরু হয়। কিন্তু এই রেক পরিবর্তন করে ভারত থেকে আমদানি এলএসবি রেক দ্বারা পরিচালনা শুরু হয়, যা আরামদায়ক না হওয়ায় নীলফামারী জনগণ আবার আন্দোলন করে। তাদের দাবি ছিল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি আধুনিক রেক পুনরায় নীলসাগরে দেওয়া। অবশেষে ২০২০ সালে শুরুর দিকে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন পিটি ইনকা রেক নীলসাগর কে দিয়ে দেওয়া হয়, ফলে নীলসাগরের ভারতীয় বিলাসবহুল রেক পায় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি নতুন আধুনিক পিটি ইনকা রেক দ্বারা পরিচালনা করা হয়।
যাত্রাবিরতি[সম্পাদনা]
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন
- মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন
- নাটোর রেলওয়ে স্টেশন
- আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন
- আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন
- জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন
- বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন
- পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন
- নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন
- ডোমার রেলওয়ে স্টেশন
দুর্ঘটনা[সম্পাদনা]
- ৭ই নভেম্বর ২০২০: ভোর চারটার দিকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী সোনাখালী এলাকার একটি রেল ক্রসিং-এ একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে ৭৬৬ ডাউন নীলসাগর এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের একজন যাত্রীসহ ২ জন মারা যান। আহত তিনজনকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও একজন মারা যান।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "নীলসাগর এখন চলবে চিলাহাটি থেকে"। প্রথম আলো।
- ↑ "নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন"। মানবকণ্ঠ।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক"। সময় নিউজ.টিভি। ২০২০-১১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট