পারাবত এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ১৫ মার্চ ১৯৮৬ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১০টি |
শেষ | সিলেট রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ২৯৪ কিলোমিটার (১৮৩ মাইল)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
যাত্রার গড় সময় | ৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট |
পরিষেবার হার | সপ্তাহে ৬ দিন (মঙ্গলবার বন্ধ) |
রেল নং | ৭০৯/৭১০ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন চেয়ার |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার |
|
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পারাবত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৯/৭১০) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট জেলার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি কমলাপুর থেকে সিলেট স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি। এই ট্রেন সেবাটি ১৯৮৬ সালে চালু করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সালের ১৯শে মার্চ এই ট্রেনটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন এরশাদ সরকার। ঐ সময় আরো বেশ কিছু ট্রেনের উদ্বোধনও করা হয়। তৎকালীন সময়ের বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ছিল। এই ট্রেন ততকালীন সময়ে শুধুমাত্র ইঞ্জিন ঘুরানোর জন্য আখাউড়া জংশন থামানো হতো, তাছাড়া ঢাকা - সিলেটের মধ্যে বিরতিহীন চলাচল করতো।
সময়সূচী
[সম্পাদনা](বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫৩তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২৩ সালের পহেলা ডিসেম্বর হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭০৯ | কমলাপুর | ০৬:২০ | সিলেট | ১৩:০০ | মঙ্গলবার |
৭১০ | সিলেট | ১৫:৪৫ | কমলাপুর | ২২:৪৫ |
আজমপুরঃ ৭০৯:প্রবেশ ৮:৫০ প্রস্থান:৮৫২ ৭১০:প্রবেশ ঃ১৯:৩২ প্রস্থান ১৯:৩৪
যাত্রাবিরতি
[সম্পাদনা](অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- ভৈরব বাজার জংশন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- আজমপুর
- নোয়াপাড়া
- শায়েস্তাগঞ্জ
- শ্রীমঙ্গল
- ভানুগাছ
- কুলাউড়া
- মাইজগাঁও
রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]পারাবত এক্সপ্রেস সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। তবে, কখনও কখনও রোলিং স্টক সংকটের কারণে এটি একটি ২৬০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। ট্রেনটিতে একটি এয়ার-ব্রেকযুক্ত লোকোমোটিভ প্রয়োজন যা বাধ্যতামূলক।
ট্রেনটি বর্তমানে ১৬টি পিটি ইনকা (ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি) তৈরি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করে। এই বগিগুলি ২ সেপ্টেম্বরে ২০১৬ সালে পরিষেবায় আসে। এই ট্রেনে আটটি চেয়ার গাড়ি, দুটি এসি চেয়ার গাড়ি, দুটি নন এসি চেয়ার গাড়ি, সংযুক্ত খাবার ঘরসহ দুটি গার্ড ব্রেক, একটি নন এসি কেবিন এবং একটি জেনারেটর গাড়ি রয়েছে। ইনকা কোচ চালু করার আগে ট্রেনটি পুরানো ভ্যাকুয়াম ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। তবে ট্রেনটি ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ইরানি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। পরে, রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কারণে ইরানির এয়ারব্রেক বগি বাদ দিয়ে, তার বদলে ২০১১ সালে ভ্যাকুয়াম কোচ যুক্ত করা হয়েছিল।[১]
দুর্ঘটনা
[সম্পাদনা]- ০৭/১০/২০১৬: লোকোমোটিভ নং ২৯৩৩ ছিল ২৯০০ শ্রেণির একটি নতুন লোকোমোটিভ যা ৭ অক্টোবর, ২০১৬ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। নোয়াপাড়া রেলস্টেশনের নিকটে পারাবত এক্সপ্রেসে লাইনচ্যুত হয় ও হওয়ার পরপরই লোকোমোটিভে আগুন ধরে যায়। আগুনে লোকোমোটিভের ড্রাইভার ক্যাব এবং বৈদ্যুতিক বাক্সটি ধ্বংস হয়ে যায়। ফরে লোকোমোটিভকে অতি মেরামত করতে হয়েছিল।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ দৈনিক সংরাম। "আজ থেকে সিলেট-ঢাকা রোডে 'লাল-সবুজের' নতুন ট্রেন"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগিতে আগুন"। প্রথম আলো। ৭ অক্টোবর ২০১৬।