পারাবত এক্সপ্রেস
![]() সিলেট রেল স্টেশনে পারাবত এক্সপ্রেস | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর |
প্রথম পরিষেবা | ১৯ মার্চ ১৯৮৬ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১০টি |
শেষ | সিলেট রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৩১৯ কিলোমিটার (১৯৮ মাইল)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
পরিষেবার হার | সপ্তাহে ৬ দিন (মঙ্গলবার বন্ধ) |
রেল নং | ৭০৯/৭১০ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি, নন-এসি, শোভন চেয়ার |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার |
|
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পারাবত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৯/৭১০) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট জেলার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি কমলাপুর থেকে সিলেট স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি। এই ট্রেন সেবাটি ১৯৮৬ সালে চালু করা হয়।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৮৫ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর এরশাদ সরকার ১ জোড়া যাএীবাহী লোকো দিয়ে এই ট্রেন উদ্বোধন করেন। এটি আন্তঃনগর ট্রেন হিসাবে চালু হয়েছিল যা বিলাসবহুল এবং দ্রুত পরিষেবা প্রদান করে। উদ্বোধনের সময় থেকেই ট্রেনটি ঢাকা রেলস্টেশন থেকে নিয়মিত ছেড়ে যায়। পারাবত এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি ট্রেন। এটি অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির চেয়ে কম স্থানে থামে এবং কেবল কিছু বড় স্টেশনে থামে।
সময়সূচী[সম্পাদনা]
(বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭০৯ | কমলাপুর | ০৬:২০ | সিলেট | ১৩:০০ | মঙ্গলবার |
৭১০ | সিলেট | ১৫:৪৫ | কমলাপুর | ২২:৪০ |
যাত্রাবিরতি[সম্পাদনা]
(অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
- ভৈরব বাজার জংশন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- আজমপুর
- নোয়াপাড়া
- শায়েস্তাগঞ্জ জংশন
- শ্রীমঙ্গল
- ভানুগাছ
- কুলাউড়া জংশন
- মাইজগাঁও
রোলিং স্টক[সম্পাদনা]
পারাবত এক্সপ্রেস সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। তবে, কখনও কখনও রোলিং স্টক সংকটের কারণে এটি একটি ২৬০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। ট্রেনটিতে একটি এয়ার-ব্রেকযুক্ত লোকোমোটিভ প্রয়োজন যা বাধ্যতামূলক।
ট্রেনটি বর্তমানে ১৬টি পিটি ইনকা (ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি) তৈরি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করে। এই বগিগুলি ২ সেপ্টেম্বরে ২০১৬ সালে পরিষেবায় আসে। এই ট্রেনে আটটি চেয়ার গাড়ি, দুটি এসি চেয়ার গাড়ি, দুটি নন এসি চেয়ার গাড়ি, সংযুক্ত খাবার ঘরসহ দুটি গার্ড ব্রেক, একটি নন এসি কেবিন এবং একটি জেনারেটর গাড়ি রয়েছে। ইনকা কোচ চালু করার আগে ট্রেনটি পুরানো ভ্যাকুয়াম ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। তবে ট্রেনটি ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ইরানি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। পরে, রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কারণে ইরানির এয়ারব্রেক বগি বাদ দিয়ে, তার বদলে ২০১১ সালে ভ্যাকুয়াম কোচ যুক্ত করা হয়েছিল।[১]
যাত্রী আগ্রহ[সম্পাদনা]
লোকজন সাধারণত নিয়মিত এবং দ্রুত পরিষেবার জন্য পারাবত এক্সপ্রেস ভ্রমণ করে। অন্য ঢাকা-সিলেট এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনে বেশি এসি গাড়িসম্বার রয়েছে। এটি বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পছন্দ করে এমন যাত্রীদের আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। এই এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা সিলেট বিভাগের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারে।[২]
দুর্ঘটনা[সম্পাদনা]
- ০৭/১০/২০১৬: লোকোমোটিভ নং ২৯৩৩ ছিল ২৯০০ শ্রেণির একটি নতুন লোকোমোটিভ যা ৭ অক্টোবর, ২০১৬ সালে হবিগঞ্জ জেলার নয়াপাড়া উপজেলায় মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। নোয়াপাড়া রেলস্টেশনের নিকটে পারাবত এক্সপ্রেসে লাইনচ্যুত হয় ও হওয়ার পরপরই লোকোমোটিভে আগুন ধরে যায়। আগুনে লোকোমোটিভের ড্রাইভার ক্যাব এবং বৈদ্যুতিক বাক্সটি ধ্বংস হয়ে যায়। ফরে লোকোমোটিভকে অতি মেরামত করতে হয়েছিল।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ দৈনিক সংরাম। "আজ থেকে সিলেট-ঢাকা রোডে 'লাল-সবুজের' নতুন ট্রেন"।
- ↑ BD News 24। "ভৌগোলিকভাবে সিলেট প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য"।
- ↑ "পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগিতে আগুন"। প্রথম আলো। ৭ অক্টোবর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে পারাবত এক্সপ্রেস সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন