বেগম রোকেয়ার বাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেগম রোকেয়ার বাড়ি
বিকল্প নামপায়রাবন্দ জমিদার বাড়ি
বেগম রোকেয়ার জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানমিঠাপুকুর উপজেলা
শহরমিঠাপুকুর উপজেলা, রংপুর জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৮০০ শতকে
স্বত্বাধিকারীঅজানা
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

বেগম রোকেয়ার বাড়ি একটি প্রাচীন নিদর্শন। ধারণা করা হয় অষ্টাদশ শতাব্দির দিকে তৈরি। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি মূলত পায়রাবন্দ জমিদার বাড়ি। বেগমম রোকেয়ার জন্মস্থান হওয়াতে তার বাড়ি হিসেবে এটি অধিক পরিচিতি লাভ করেছে।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

রংপুর শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত এই বাড়িটি যেখানে নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন।

বিবরণ[সম্পাদনা]

বেগম রোকেয়ার বাড়ির এখনো দাড়িয়ে থাকা দেয়াল

বেগম রোকেয়া ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ১৮৮০ সালের ০৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ নামক গ্রামে এই জমিদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের ও মাতার নাম রাহাতুন্নেসা চোধুরাণী। বেগম রোকেয়ার পিতা ছিলেন পায়রাবন্দের জমিদারীর সর্বশেষ জমিদার উত্তরাধিকারী। তার মাতা ছিলেন বলিয়াদী জমিদার বংশের কন্যা।

বেগম রোকেয়ার বাড়িতে এখন আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট নাই । যা আছে তা হলো শুধু ভাঙ্গা দেয়াল ও খুঁটি যা সংরক্ষণ এর দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ।

বেগম রোকেয়ার বাড়ির স্মৃতি কেন্দ্রের ভিতর

বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র[সম্পাদনা]

নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতি রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ৩,৫৩,০০,০০০/-টাকা ব্যায়ে ১ জুলাই, ২০০১ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলাধীন পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়ার নিজ বাড়ী সংলগ্ন ৩.১৫ একর ভূমিতে ‌‍বেগম রোকেয় স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপিত হয়। নির্মিতি অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে মুলভবন -১৪,৭১০ বর্গফুট, ২৫০ আসনের সুসজ্জিত মিলনায়তন (শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ), ১০০ আসনের সুসজ্জিত সেমিনার কক্ষ, ৫০ জন পাঠকের পাঠ সুবিধাসহ ১০ হাজার গ্রন্থের ধারণ ক্ষমতাসহ সুসজ্জিত গ্রন্থাগার এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ গবেষণা কক্ষ।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)