শাহ ইসমাইল গাজীর দরগাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহ ইসমাইল গাজীর দরগাহ
ধর্ম
জেলারংপুর
অবস্থান
অবস্থানপীরগঞ্জ উপজেলা, রংপুর জেলা
দেশবাংলাদেশ বাংলাদেশ

শাহ ইসমাইল গাজীর দরগাহ বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন দরগাহ। এটি মূলত রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মাজার। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা[১] ধারণা করা হয় এটি মোঘল আমলের শেষের দিকে তৈরি। এটি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার একটি বিখ্যাত স্থান।

অবস্থান[সম্পাদনা]

প্রত্নতাত্ত্বিক মাজারটি বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।

নামকরণ[সম্পাদনা]

শাহ ইসমাইল গাজী বাংলার একজন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ছিলেন। ধারণা করা হয় বারবক শাহের আমলে তিনি বাংলার উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন অংশে মুসলিম রাজ্যের বিস্তারে জন্য ও ইসলাম প্রচারে কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার নামেই এই দরগাহর নামকরণ করা হয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কথিত আছে যে, শাহ ইসমাইল গাজী ছিলেন রসুল -এর বংশধর এবং তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই বড় হন ও শিক্ষাগ্রহণ করেন। ইসলামের প্রচারের জন্য তিনি ভারতে আসেন। বারবক শাহের আমলের (১৪৫৯-১৪৭৪ খ্রি) তিনি একজন ভাল দরবেশ যোদ্ধা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। মিথ্যা অভিযোগের কারণে সুলতান রাগান্বিত হয়ে দরবেশের শিরশ্ছেদের আদেশ দেন। কথাটি সত্য নয়। লোককাহিনী অনুসারে শিরচ্ছেদের পর শাহ ইসমাইলের মাথা রংপুরের কান্তদুয়ারে এবং দেহ হুগলি জেলার মান্দারণে কবর দেয়া হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই দরগাহ করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বিবরণ[সম্পাদনা]

শাহ ইসমাইল গাজীর দরগাহ প্রায় পাঁচ মিটার উঁচু ঢিবিটি প্রাচীন ইট আর পাথরে পূর্ণ। এর উপরি ভাগে প্রায় ৭ মি. দৈর্ঘ্য ও ৫ মি. প্রস্থ আয়তনের সমতল স্থানের পশ্চিম ভাগে একটি ছাদহীন ক্ষুদ্র ও জীর্ণ ইমারত আছে। দক্ষিণের দেয়ালে একটি দরজা আছে। এটি হিন্দু-বৌদ্ধ যুগের প্রাচীন কীর্তি।[২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া লেখক; ঝিনুক প্রকাশনী; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ২০১০; পৃষ্ঠা- ১৩০, ISBN 984- 70112-0112-0

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]