বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক
ভারত |
বাংলাদেশ |
---|
বাংলাদেশ প্রবেশদ্বার |
ভারতের রাজনীতি |
---|
আইন ও কেন্দ্রীয় সরকার |
নির্বাচন ও রাজনৈতিক দল |
প্রশাসনিক বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রবাদ |
ভারত প্রবেশদ্বার |
বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশ একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী, জাতি রাষ্ট্র হলেও ভারত বিভিন্ন জাতীর সমষ্টিগত দেশ। ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের পর অধিকাংশ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বিরোধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয় বাঙালি সম্প্রদায় ও ভারত সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ পরবর্তী ফারাক্কা বাধ, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা, চটগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বিচ্ছনতাবাদিদের ভারতীয় সাহায্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য দুরত্ব থাকলেও বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক সার্বিক দিক দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। দুটি দেশই একই সাথে সার্ক, বিমসটেক, আইওরা এবং কমনওয়েলথের সাধারণ সদস্য। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে বাঙ্গালীদের বসবাস যারা ১৯৪৬-৪৭এর দাঙ্গার পর পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) পরিত্যাগে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশ পাকিস্তানের অধীনস্থ হয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী জোটের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের শেষ দিকে এবং আশির দশকের বিভিন্ন স্নায়ু যুদ্ধে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।[১][২] দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উদারীকরণের সূত্রপাত সাথে তারা বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের উদ্ভাবন ঘটায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সবসকৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে। ফলে তারা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে উঠে।[৩] দ্বিমুখী বাণিজ্য আয় প্রায় $৭ বিলিয়নের মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।
তবে উভয় দেশই পরস্পরের ভৌগোলিক সীমারেখা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অর্থনৈতিক বিনিময় বিস্তৃতকরণের মাধ্যমে দৃই দেশের মধ্যেকার এই সম্পর্ক আরও ত্বরান্বিত হয়। বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং রাজশাহী ও সিলেটে সেক্রেটারি কমিশন অফিস রয়েছে; পাশাপাশি ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশী দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং মুম্বাই ও কোলকাতায় ডেপুটি কমিশন অফিস রয়েছে। বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের সম্মাননাস্বরুপ ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানে অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেন। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে স্হলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে৷ ২০১৪ সালের জরিপ অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী জনগণ ভারতের পক্ষে ইতিবাচক মত দিয়েছেন।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারতের বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশেরই ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষাগত, ঐতিহ্যগত এবং শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির প্রতি আবেগ প্রায় সমরুপ এবং উক্ত বিষয়গুলোতে মিল রয়েছে।[৫] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দুই দেশই একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্ররুপে কাজ করেছে। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে কারণ বাংলাদেশ ইসলামিক রাজ্যগুলোর সাথে সম্পর্ক বাড়াতে থাকে এবং ওআইসির সদস্য হয় এবং পুরো বিশ্বজুড়েই বাংলাদেশ তার ইসলামিক পরিচয়কে প্রকাশে উন্মুখ হয়ে উঠে। দুই দেশেই ১৯৮০ তে নিজেদের মধ্যে শীতল যুদ্ধ চলতে থাকে, যা পরবর্তীতে শীতল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে রূপ নেয়।[৬][৭] দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উদারয়নের প্রাক্কালে তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হতে থাকে। ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পাদিত হয়। সন্ত্রাস বিরোধী কর্মে বাংলাদেশ এবং ভারত কৌশলী অংশীদার হয়ে উঠে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত- বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।[৮]
আগস্ট ২০২২, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান। এতে বাংলাদেশে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ও তাকে অপসারণের আইনি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।[৯][১০][১১] এর অনেক আগে ক্যাবলগেট ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বিষয়ক তথ্য এর আগেও উঠে আসে, সেসময় ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (গোয়েন্দা সংস্থা) আওয়ামী লীগকে ও পাকিস্তানের আইএসআই (গোয়েন্দা সংস্থা) বিএনপিকে অর্থ যোগান দেয় বলে জানা যায়। ভারত ২০০১ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়কে অর্থায়ন করে বলেও জানা যায়।[১২]
উভয়ের মধ্যকার বিবাদসমূহ
[সম্পাদনা]- ফারাক্কা বাঁধ বিষয়ক বিরোধ
- তিনবিঘা করিডোর
- শিলিগুড়ি করিডোর
- অর্থনৈতিক ট্রানজিট বিষয়ক বিরোধ
- উভয় দেশের যৌথ সংগঠন বঙ্গ সেনা এবং হরকত-আল-জিহাদের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড
- বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা।
- ভারতের সাথে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের পূর্বে দুই দেশই একই এলাকা নিজেদের বলে দাবী করেছিল।[১৩]
- প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিংহের একটি বক্তব্যের জন্য বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কে কিছুটা সমস্যা তৈরী হয়, কারণ মনমোহন ইচ্ছা করেই বলে ফেলেছিলেন, ২৫ শতাংশ বাংলাদেশী ভারত বিদ্বেষী।[১৪]
- তিস্তা চুক্তি অমীমাংসিত
সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী বেসামরিক লোক হত্যা
[সম্পাদনা]সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি অস্বস্তিকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বিএসএফের তথাকথিত 'হত্যার জন্যই গুলি' নীতির জন্য [১৫] হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত একহাজার বাংলাদেশী মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে।[১৬][১৭]
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএসএফ প্রধান অনেক শপথ গ্রহণ করে তারা প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয় যে, ভবিষ্যতে বিএসএফের এভাবে হত্যা বন্ধ করা হবে। কিন্তু অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ সীমানা পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় বা ভুলক্রমে সীমানা পার করে ফেলায় ভারতীয় সেনা কর্তৃক সাধারণ বাংলাদেশী নাগরিকের হত্যা চলতেই থাকে।[১৮]
অব্যাহতভাবে বিএসএফের হত্যার কারণে এবং পরবর্তী যত মৃত্যু হয় তার কারণে বাংলাদেশ রাগান্বিত হয়।[১৫][১৯][২০] ভারতীয় কর্মকর্তারা যুক্তি দেন উচ্চতর নিরাপত্তা ভারতে অবৈধ অভিবাসনের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রবাহের পাশাপাশি সীমান্তের ক্রমাগত চোরাচালান ক্রমবর্ধমান প্রবাহ অনুসরণ করেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সীমান্তে নিহতদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে অঙ্গীকার করে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা স্থির হয়ে গেছে।[১৮]
বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিকের এভাবে হত্যার ফলে, দুই দেশের হ্যাকারদের মধ্যে তথাকথিত সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে ভারতের বিএসএফ ওয়েবসাইট, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র এবং তৃণমূল কনগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ অযোগ্য ব্যবস্থা তৈরী করা হয়।এবং পুরো ভারতের সাইবার স্পেস ধ্বংস করে দেয় বাংলাদেশ।পরবর্তীতে ভারতীয় হ্যাকার রা পরাজয় মেনে নিলে সাইবার আক্রমণ বন্ধ করে বাংলাদেশ। [২১]
সাম্প্রতিক উন্নয়ন
[সম্পাদনা]সেপ্টেম্বর ২০১১ তে দুই দেশই ৪ দশকের পুরাতন সীমানা সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করে। এই চুক্তির নাম তিন বিঘা করিডোর চুক্তি। ভারত বাংলাদেশী নাগরিকদের তিন বিঘা করিডোর দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যাতায়াতের পক্ষে সম্মত হয়। এছাড়াও দুই দেশ তাদের নিজ নিজ সীমানায় অবস্থিত ছিট্মহল বিনিময়ে সম্মত হয়। [২২]
২০১২ সালে বাংলাদেশ ভারতের ওয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন কর্তৃক ত্রিপুরায় নির্মাণাধীন বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী মেশিন, টার্বাইন এবং কার্গো পারাপারের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেয়।[২৩]
২০১৩ সালের অক্টোবরে ভারত ৩৫ বছর মেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানী শুরু করে। ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বহরমপুর-ভেড়ামারা সঞ্চালন লাইন, যার ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশে অবস্থিত, দ্বারা দুই দেশের সাবস্টেশনকে সংযুক্ত করা হয়। দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের রামপালে একটি ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যপারে সম্মত হয়।[২৪]
২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ভারত-পাকিস্তানের ওয়াগা সীমান্তের মত পেট্রাপোল (ভারত)-বেনাপোল (বাংলাদেশ) সীমান্ত পয়েন্টেও প্রতিদিন দিবাসমাপ্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রয়েছে প্যারেড, মার্চ-পাস্ট এবং দুই দেশের পতাকা অবনমন।[২৫]
৭ মে ২০১৫ ভারতীয় সংসদ, বাংলাদেশী কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে, সর্বসম্মতভাবে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমানা চুক্তি অনুমোদন করে যা ভারতীয় সংবিধানের ১০০তম সংশোধনী। এর ফলে দুই দেশের সীমানা নিয়ে ৬৮ বছরের বিবাদ শেষ হয়।
২০১৪ সালের জুনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরে, ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নিম্নোক্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ঃ
- বাংলাদেশের ১৩ বছরের নিচের ও ৬৫ বছরের ওপরের বয়সের নাগরিকদের পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল পর্যটক ভিসা দিতে রাজি হয় ভারত৷
- বাংলাদেশে ভারতের অর্থনৈতিক এলাকা স্থাপন
- খুনের অভিযোগপ্রাপ্ত কোনো আসামী ভারতে পালিয়ে থাকলে তাকে স্থানান্তর।
- ত্রিপুরা থেকে অতিরিক্ত ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনয়ন।
- মৈত্রী এক্সপ্রেস এর সময় বাড়ানো এবং ঢাকা, গুয়াহাটি ও শিলং এর মধ্যে বাস যাতায়াতের ব্যবস্থাকরণ
- বাংলাদেশ তার ভূমি ও অবকাঠামো ব্যবহার করে ভূমিবেষ্টিত উত্তর-পূর্ব ভারত এ খাদ্যশস্য পরিবহনের অনুমতি দেয়।[২৩]
২০১৫ সালের জুনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে সফর করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ২২ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০ কোটি ডলারের ঋণ বিষয়ক সমঝোতা হয়, ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার বাংলাদেশে একটি ৩ হাজার মেগাওয়াটের এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়। আদানি পাওয়ার ১৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগে একটি ১৬০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন করবে।[২৬] দুই দেশ মোট ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর করে যার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, মানব পাচার ও জাল মুদ্রা রোধ।[২৭]
৩১ জুলাই ২০১৫ এর মধ্যরাতে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে ৫০,০০০ বিচ্ছিন্ন নাগরিক, যাদের কোনো জাতীয়তার পরিচয়ই ছিল না, তারা ভারত অথবা বাংলাদেশের নাগরিক হন। এই বিনিময়ের মাধ্যমে দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। এই বিনিময় ছিটমহলের বাসিন্দাদের সুযোগ করে দেয়, যারা যে দেশের ভিতরে আছে, সেই দেশেই থাকতে পারবে অথবা চাইলে পাশের দেশের নাগরিক হয়ে যেতে পারবে। ভারতের ভিতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১ টি ছিটমহলের বাসিন্দার সংখ্যা ছিল ১৪,২১৪ জন যাদের সবাই ভারতেই থেকে যায় ভারতীয় নাগরিক হিসেবে। আর বাংলাদেশের ভিতরে থাকা ভারতের ১১১ টি ছিটমহলের প্রায় ৪১ হাজার অধিবাসীর অধিকাংশ বাংলাদেশেই থেকে যায়, শুধুমাত্র ৯৭৯ জন ভারতে স্থানান্তরিত হয়। ফলে ভারতের নব্য নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫,১৯৩ তে আর বাংলাদেশের নতুন নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৪৪৯ জন। এই বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশ পায় ১৭ হাজার ২৫৮ একর এবং ভারত পায় ৭ হাজার ১১০ একর ভূমি। [২৮]
২০১৮ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৩০ কিমি দীর্ঘ "ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন" উদ্বোধন করেন। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ৪ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল বাংলাদেশে ভারত থেকে পাঠানো হবে। সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করে, যার ফলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে।[২৯][৩০]
সামরিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা]এপ্রিল ২০১৭ তে শেখ হাসিনার নয়াদিল্লীতে চারদিনের সফরে বাংলাদেশ ভারত দুইটি সামরিক চুক্তি সই করে। ভারতের সাথে ভিন্ন কোনো দেশের সামরিক চুক্তি এটিই প্রথম ছিল। এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশ যুগ্মভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও মহড়া আয়োজন করবে। ভারত বাংলাদেশকে উভয় দেশই ব্যবহার করে এমন প্রতিরক্ষা পণ্য নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও রসদ সরবরাহ করবে। ভারত প্রথমবারের মত সামরিক খাতে অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদান করতে সম্মত হয়।[৩১]
উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ
[সম্পাদনা]রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৮২ সালে ভারতে সফর করেন।[৩২] শেখ হাসিনা বিভিন্ন চুক্তি সই করার নিমিত্তে ২০১০ সালে ভারত সফর করেন।[৩৩] মনমোহন সিং ২০১১ সালে সফর করেন এবং একাধিক চুক্তি সই করেন।[৩৪] নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সফর করেন, এই সফরের মাধ্যমেই সীমানা নির্ধারণ সমস্যার মীমাংসা হয়।[৩৫] বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফর করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা হয়।[৩৬]
উন্নয়নে সহযোগিতা
[সম্পাদনা]ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের অশীদার হিসেবে বেশ সক্রিয়।
সাম্প্রতিক সময় ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে সুদ দিয়েছে। ২০১১ সালে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়া হয়।[৩৭]
২০১৪ সালে ভারত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেয়।[৩৮]
ঋণের সীমানা
[সম্পাদনা]ভারতের বিএইচইএল, আরআইটিইএস থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য ৮৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়।[৩৯]
ক্ষুদ্র উন্নয়ন উদ্যোগ
[সম্পাদনা]বিভিন্ন ক্ষুদ্র প্রজেক্টে ভারত বাংলাদেশের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় এবং নিশ্চিত করে বাণিজ্যে অসম ব্যবস্থা গুলোর দ্রুত মীমাংসা করা হবে।[৪০]
স্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]ভারত বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়গুলোতে পারস্পরিক ভাবে একত্রে কাজ করার জন্য একটি স্মারকলিপি সই করে। দুই দেশই ঐকমত্যে পৌছায় বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, তথ্য তারা পরস্পরের সাথে বিনিময় করবে এবং যুগ্নভাবে গবেষণা করবে।[৪১]
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ
[সম্পাদনা]দুই দেশের মধ্যে ৭০০ কোটির বাণিজ্য হয়। এই বাণিজ্য বন্দরের মাধ্যমে ১০০০ কোটিতে গিয়ে পৌছে।[৪২] দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ২০১৩-১৪ সালে ভারত বাংলাদেশের ব্যবসা হয় ৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং যেখানে ভারত রপ্তানি খাত থেকে আয় করে ৬১০ কোটি মার্কিন ডলার আর বাংলাদেশ আয় করে ৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচ বছর পুর্বে এই ব্যবসা ছিল ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যা বর্তমানে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।[৪৩]
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা ভারতের সাথে বাণিজ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পূর্বোক্ত ব্যবস্থা নতুন করে তৈরী করে, যার ফলে উভয় দেশই দুই দেশের স্থল ও জলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে দ্রব্য পাঠাতে পারবে। এর ফলে আঞ্চলিক সীমানা কোনো বাধা তৈরী করবে না। এই চুক্তির কারণে ভারত মায়ানমারে বাংলাদেশের মাধ্যমে দ্রব্য রপ্তানী করতে পারবে। এটি এমন এক বিধান তৈরী করেছে; যার ফলে যদি না কোনো দেশের আপত্তি থাকে তবে এই ব্যবস্থা ৫ বছর পরেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল থাকবে।[৪৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ডেভিড লুইস (অক্টোবর ৩১, ২০১১)। Bangladesh: Politics, Economy and Civil Society। কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩১। সংগ্রহের তারিখ মে ০৩, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ এম সালিম কিদওয়াই (মে ১০, ২০১০)। US Policy Towards the Muslim World: Focus on Post 9/11 Period। ইউনিভার্সিটি প্রেস অব আমেরিকা। পৃষ্ঠা ২৪০। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১৫।
- ↑ "Trade between India and Bangladesh"। business-standard। দিল্লি। ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ মে ০৩, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Pew Research Center। "Chapter 4: How Asians View Each Other"। Pew Research Center। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২২।
- ↑ "India-Bangladesh Relations" (পিডিএফ)। Ministry of External Affairs। Government of India। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ David Lewis (২০১১)। Bangladesh: Politics, Economy and Civil Society। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 31–32। আইএসবিএন 978-1-139-50257-3।
By 1974, Pakistan had recognised Bangladesh, and Mujib ... began participating in the Organization of the Islamic Conference. This, in turn, brought an end to the early positive phase of Bangladesh's relationship with India ... Saudi Arabia to recognise Bangladesh ... Zia's new emphasis on building a stronger Islamic identity in place of the earlier emphasis on an ethnolinguistic foundation. This shift also contributed to the creation of a more anti-Indian domestic political climate ... Ershad's government continued to build on the positive relation that Zia started building with the United States ... Relations with China also continued to remain close, but unlike Zia, Ershad did not make any effort to maintain friendly relations with the Soviet Union.
- ↑ M. Saleem Kidwai (২০১০)। US Policy Towards the Muslim World: Focus on Post 9/11 Period। University Press of America। পৃষ্ঠা 240–। আইএসবিএন 978-0-7618-5158-5।
- ↑ "Trade between India and Bangladesh"। Business Standard। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Govt still in power at mercy of India: Fakhrul"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১।
- ↑ "Ensure PM Hasina govt's survival at any cost, Momen requests India"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১।
- ↑ নজরুল, আসিফ। "মোমেন 'ঠিকই' বলেছেন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১।
- ↑ উইকিলিকসে বাংলাদেশ : উইকিলিকসে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের গোপনীয় তারবার্তা সংকলন। মশিউল আলম। ঢাকা। ২০১৩। পৃষ্ঠা ৭৯। আইএসবিএন 978-984-90252-0-7। ওসিএলসি 863127885। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 22 (সাহায্য) - ↑ "India, Bangladesh to discuss maritime dispute"। Thaindian News। ৮ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৪।
- ↑ Jayanth Jacob (২৪ জুলাই ২০১১)। "After gaffe, PM calls Sheikh Hasina, announces Bangladesh dates"। The Hindustan Times। ২০১২-১০-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৪।
- ↑ ক খ "India/Bangladesh: Indiscriminate Killings, Abuse by Border Officers"। Human Rights Watch। ডিসেম্বর ৯, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ "India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border"। The Guardian। ২৩ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ "Khaleda Zia assures counter-terror co-operation to India"। Yahoo News। Indo Asian News Service। ২০১২-১০-২৯। ২০১৪-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ ক খ Haroon Habib (১ অক্টোবর ২০১২)। "BSF promises to bring down border casualties to zero"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ "Bangladeshi dies as BSF throws stones"। The Daily Star (Bangladesh)। ২৫ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ "WB: Video showing BSF torture surfaces"। IBN Live। ১৮ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ "Bangladesh group hacks BSF website to 'avenge border killings'"। Times of India। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ২০১৩-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-২৯।
- ↑ Sougata Mukhopadhyay (৭ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "India-Bangladesh sign pact on border demarcation"। CNN-IBN। ২০১২-০৭-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-০৭।
- ↑ ক খ "Bangladesh allows transit of Foodgrain to Northeast Indian States"। Bihar Prabha News। IANS। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১২।
- ↑ Haroon Habib (৬ অক্টোবর ২০১৩)। "India begins power export to Bangladesh"। The Hindu। Chennai।
- ↑ Abhishek Law। "Wagah-like retreat ceremony on India-Bangladesh border"। The Hindu Business Line।
- ↑ Haroon Habib (৭ জুন ২০১৫)। "Adani, Reliance sign deals for power generation in Bangladesh"। The Hindu।
- ↑ "Modi announces $2-bn credit to Bangladesh"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-০৭।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ibtimes1Aug2015
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ https://www.indiatoday.in/india/story/pm-modi-sheikh-hasina-inaugurate-india-bangladesh-oil-pipeline-construction-1343280-2018-09-19
- ↑ https://www.financialexpress.com/india-news/cabinet-approves-use-of-bangladesh-ports-for-indian-shipments-to-north-east/1316609/
- ↑ "India to sign two major defence deals with Bangladesh - The Economic Times"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Lt-General Ershad's India visit opens 'new chapter' in Indo-Bangladesh relations : NEIGHBOURS"। India Today।
- ↑ "India-Bangladesh Joint Statement, January 2010"।
- ↑ "Sorry for the inconvenience."।
- ↑ "Prime Minister Narendra Modi's two-day Bangladesh visit"। The Hindu। PTI।
- ↑ "ভারত সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১২।
- ↑ Serajul Islam Quadir (৪ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "India approves $750 mln infrastructure loan for Bangladesh"। Reuters। ৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "India's $1b loan offer"। The Daily Star।
- ↑ "$2 billion line of credit to Bangladesh to create 50,000 Indian jobs"। The Times of India।
- ↑ "India grants financial aid to Bangladesh for implementation of development projects"।
- ↑ "India, Bangladesh sign MoU on cooperation in health, medical science"। The Economic Times। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৩।
- ↑ "India-Bangladesh trade may double by 2018"। The Daily Star।
- ↑ "India-Bangladesh trade may almost double to $10 billion by 2018: CII"। The Economic Times।
- ↑ "Bangladesh Cabinet approves revised trade agreement with India"। The Economic Times। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ভারত বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |