আর্জেন্টিনা–বাংলাদেশ সম্পর্ক
![]() | |
![]() আর্জেন্টিনা |
![]() বাংলাদেশ |
---|
আর্জেন্টিনা–বাংলাদেশ সম্পর্ক হল আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বাংলাদেশ আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের জন্য সমর্থনের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে উল্লেখ করা হয়, অন্যদিকে আর্জেন্টিনাতেও রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি ব্যাপক সমর্থন।[১] বাংলাদেশ ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং আর্জেন্টিনা ভারতের নয়া দিল্লীর দূতাবাসকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্যবহার করতো।[২]
কূটনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]
১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশ আর্জেন্টিনায় কূটনৈতিক মিশন চালু করে, তবে তারপর থেকেই এটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।[৩]
২০০৮ সালে আর্নেস্টো কার্লোস আলভারেজ বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[৪]
২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস বুয়েনোস আইরেসে আনুষ্ঠানিক সফর করেন।[৫]
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনা নতুন করে বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।[৬] পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আর্জেন্টিনা পূনরায় ঢাকায় তার দূতাবাস চালু করে।[৭]
বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতা[সম্পাদনা]
পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারণে দুই দেশই আগ্রহ প্রকাশ করেছে।[৪] বাংলাদেশি জাহাজ, ওষুধ, তৈরি পোশাক,[৮] মেলামাইন ও সিরামিক[৯] আর্জেন্টিনার বাজারে বেশ কদর পেয়েছে।[১০] আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশি সিরামিকের বিপুল চাহিদা রয়েছে, এবং এফএআরআরসিরামিকস বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে বেশি সিরামিক রপ্তানি করে থাকে।[১১]
আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ থেকে সয়াবিন তেলের রপ্তানি ক্রমপ্রসারমাণ।[১২]
অন্যান্য খাতে সহযোগিতা[সম্পাদনা]
বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের জন্য স্প্যানিশ-ভাষার কোর্সের আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশের সাথে ভিসাবিহীন চুক্তিস্বাক্ষর করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা।[১৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Hoque, Tamjidul (২০২২-১২-০৩)। "Argentina and Bangladesh: two nations united by football"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৩।
- ↑ "Visit of the Undersecretary of Foreign Policy of Argentina may open new opportunities for Bangladesh-Argentina relations"। mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৩।
- ↑ ur Rashid, Harun (২৭ মার্চ ২০১১)। "An Overview of Bangladesh Foreign Policy during the last 40 years"। ঢাকা কুরিয়ার।
- ↑ ক খ "President stresses enhanced trade with Argentina"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০ নভেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Dhaka eyes on Latin America, Caribbean markets"। Daily Sun। ২ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "ঢাকায় দূতাবাস খুলবে আর্জেন্টিনা"। bangla.dhakatribune.com। ২০২২-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৩।
- ↑ Reopening embassy in Dhaka a stepping stone to build better ties with Bangladesh: Argentina
- ↑ Paul, Ruma (১৯ মার্চ ২০০৭)। "Bangladesh garment exports could double-association"। Reuters News।
- ↑ Nur, Shah Alam (৮ জুলাই ২০১৩)। "$50 million likely to be earned from more ceramic exports this year"। দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "President for increasing trade volume with Argentina"। দ্য বঙ্গভবন। ২৭ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "FARR Ceramics sets foot in Argentina"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "INTERVIEW-India to step up Argentine soyoil imports"। রয়টার্স নিউজ। ১৫ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Bangladesh sees trade, investment potential in Latin America"। প্রিয় নিউজ। ৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।