বঙ্গভূমি আন্দোলন
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
হিন্দু প্রজাতন্ত্রী বঙ্গভূমি | |
---|---|
নেতা | কালিদাস বৈদ্য চিত্তরঞ্জন সুতার |
অপারেশনের তারিখ | ১৯৭৩-২০০৬ |
মতাদর্শ | হিন্দু জাতীয়তাবাদ বাঙালি হিন্দু জাতীয়তাবাদ |
বিপক্ষ | ![]() |
বঙ্গভূমি আন্দোলন বা বীর বঙ্গ হলো বঙ্গসেনা দ্বারা দক্ষিণ-পশ্চিম (খুলনা , ফরিদপুর , বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চল) বাংলাদেশে বাঙালি হিন্দুদের জন্য একটি দেশ গঠনের জন্য করা একটি আন্দোলন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কালিদাস বৈদ্য ও চিত্তরঞ্জন সুতার।
স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৭৩ সালে ভারতে এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা নৃশংসতায় বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের সমর্থন করার জন্য। ২০০১ সালে বিবিসি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক চিত্তরঞ্জন সুতার একটি নতুন জাতি গঠনের পক্ষে তার সমর্থন অস্বীকার করেছিলেন।[১] ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গভূমি হিন্দু প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে এই আন্দোলন প্রকাশ্যে আবারও সক্রিয় হয়।[২][৩] ২০২৫ সাল পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে উভয় দলই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন রাজ্যগুলোতে একই নামে কিছু স্বতন্ত্র আন্দোলন দেখা দিয়েছে। তবে, কোনো উদ্যোগই তেমন একটা সাড়া ফেলতে পারেনি।[৪]
বঙ্গ সেনা
[সম্পাদনা]বঙ্গ সেনা | |
---|---|
নেতা | কালিদাস বৈদ্য |
উদ্দেশ্য | বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত একটি পৃথক হিন্দু রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রচেষ্টা |
সক্রিয়তার অঞ্চল | বাংলাদেশ |
মতাদর্শ | হিন্দু জাতীয়তাবাদ বাঙালি হিন্দু জাতীয়তাবাদ বিচ্ছিন্নতাবাদ সাম্প্রদায়িকতা |
প্রধান ক্রিয়াকলাপ | বাংলাদেশ বিরোধী বিদ্রোহী কার্যকলাপ |
২০০৪ সালে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক অজয় রাজ শর্মার সাথে এক বৈঠকে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, জঙ্গি সংগঠন বঙ্গ সেনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত তাদের ঘাঁটিগুলো থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।[৫] গ্লোবাল পলিটিশিয়ানে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে খোদেজা বেগম বঙ্গ সেনাকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তার অভিযোগ উত্থাপন করেন।[৬]
মার্চ ২০০৬ সালে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বঙ্গ সেনার বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতের সাথে একটি শান্তিপূর্ণ সীমান্ত চায় এবং উভয় দেশের সমন্বিত সীমান্ত টহলদারির ফলে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।[৭] একজন বাংলাদেশী কর্মকর্তা বলেন যে এই সংগঠনটি "বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি"।[৮]
১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে, দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে বঙ্গ সেনার ৪০০ সদস্যকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঐ দিন সকাল থেকেই বাগদা থানা এলাকার অন্তর্গত উত্তর চব্বিশ পরগনার হেলেনচা নামক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সংগঠনটির সদস্যরা সমবেত হতে শুরু করে।[৯]
জানুয়ারি ২০০৪ সালে, বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালক বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালকের কাছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য এবং সংলগ্ন ভারতীয় প্রদেশগুলোতে অবশিষ্ট শান্তি বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর একটি তালিকা পেশ করেন। উক্ত তালিকায় উল্লেখ করা হয় যে বঙ্গ সেনা, অন্যান্য কয়েকটি গোষ্ঠীর সাথে একত্রে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জানান, বঙ্গ সেনা এবং অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ভারত সহযোগিতা করবে।[১০] সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে, আসামের কার্বি আংলং জেলার দুটি বেসরকারি সংস্থা - ডিফু সিটিজেন পিস ফোরাম এবং কার্বি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিনিধিরা - মত প্রকাশ করেন যে বঙ্গ সেনা চাঁদাবাজির মতো অপরাধে যুক্ত এবং এটি এই অঞ্চলের শান্তির জন্য একটি বিপদ ডেকে আনতে পারে।[১১]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- বাঙালি হিন্দু
- বাংলাদেশে হিন্দুধর্ম
- হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের তালিকা
- বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক
- অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা
- বাঙালি হিন্দু স্বদেশ আন্দোলন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bangladesh alleges 'separatist plot'" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০১-১২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২০।
- ↑ Banerjee Alok, "Hindu republic 'born' in Bangladesh" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-১১-০৩ তারিখে Times of India, February 4, 2003
- ↑ "কালীদাস বৈদ্যের বই এবং আমাদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৫।
- ↑ পশ্চিমবঙ্গে এবার পৃথক ‘বঙ্গভূমি’ রাজ্যের দাবি. [Officials] in West Bengal now demand a separate 'Bangabhumi' state. Prothom Alo. ২৩ জুন ২০২১. ghostarchive.org [ত্রুটি: আর্কাইভের ইউআরএল অজানা] আর্কাইভকৃত ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে
- ↑ পল্লব ভট্টাচার্য (১১ জানুয়ারি ২০০৪)। "বিডিআর, বিএসএফ ক্যাম্প ধ্বংসে একমত"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮।
- ↑ খোদেজা বেগম (১৪ জুলাই ২০০৬)। "ভারতীয় পদক্ষেপ ঐক্যবদ্ধ বঙ্গের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে"। গ্লোবাল পলিটিশিয়ান। ৩০ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮।
- ↑ "খালেদা-মনমোহন বৈঠক ২১ মার্চ, সূচনা হবে নতুন যুগের"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৫ মার্চ ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮।
- ↑ "খালেদার ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক"। দি বাংলাদেশ অবজারভার। ১৫ মার্চ ২০০৬। অজানা প্যারামিটার
|উদ্ধৃতি=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) পুনর্মুদ্রিত: "দি বাংলাদেশ অবজারভার, ঢাকা ১৫-৩-২০০৬"। আঞ্চলিক প্রেস থেকে নির্বাচিত। XXV (৫): ৩১–৩২। ২০০৬। আইএসএসএন 0254-7996। - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;INDIAINFO
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "বাংলাদেশ বিরোধী বিদ্রোহ দমনে ভারত সাহায্য করবে"। ১২ মার্চ ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮।
- ↑ "কার্বি আংলংয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গণসমর্থনের আহ্বান সংগঠনগুলোর"। Oneindia Mobile। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৮।