কিউবা–বাংলাদেশ সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কিউবা–বাংলাদেশ সম্পর্ক
মানচিত্র কিউবা এবং বাংলাদেশের অবস্থান নির্দেশ করছে

কিউবা

বাংলাদেশ

কিউবা–বাংলাদেশ সম্পর্ক হল কিউবাবাংলাদেশ রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এ দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক বরাবরই বেশ উষ্ণ এবং তা গভীর করার ব্যাপারে উভয়েই আগ্রহী।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ঠিক পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুই দেশের সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়।[২] ১৯৭৪ সালে কিউবায় পাটের ব্যাগ রপ্তানি করার একটি বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এ সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিউবার শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করায় এর ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে খাদ্যসহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে এবং আরো কিছু কারণে ১৯৭৪ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। দুর্ভিক্ষের ফলে খাদ্য উৎপাদনও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এর পূর্বে ঐ বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে মারাত্মক বন্যাও দেখা দিয়েছিল, যাতে বাংলাদেশের একটি বৃহৎ অংশ নিমজ্জিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সাহায্যপ্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ কিউবার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করে।[৩] ১৯৭৯ সালে প্রাক্তন বাংলাদেশি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে হাভানায় সফর করলে এ সম্পর্ক পুনরায় স্থাপিত হয়। কিউবানরা বাংলাদেশে আগমনী ভিসা (অন এরাইভাল ভিসা) পেয়ে থাকে।[৪]

উচ্চ পর্যায়ের সফর[সম্পাদনা]

১৯৭৯ সালে হাভানায় প্রাক্তন বাংলাদেশি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সফর করেছিলেন।[৫]

রাজনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

কিউবান ফাইভের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে র‍্যালি হয়েছিল এবং প্রায় ১০, ০০০ চুক্তি সংবলিত একটি পিটিশন সংগৃহীত হয়েছিল।[৬] উত্তর কোরিয়ার মালিকানাধীন ওশন ম্যারিটাইম ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ওএমএম) এর একটি জাহাজ অস্ত্র চোরাচালানের সাথে যুক্ত ছিল। এই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাংলাদেশি নেভি কর্তৃক ধরা পড়ে। কোম্পানিটি নিষিদ্ধ অস্ত্র উত্তর কোরিয়া থেকে কিউবায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন অর্থ পেত।[৭]

অর্থনৈতিক সহযোগিতা[সম্পাদনা]

দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুই দেশই নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।[৮][৯] বাংলাদেশ ও কিউবায় মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে ওষুধ শিল্পগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[৫]

সাংস্কৃতিক সহযোগিতা[সম্পাদনা]

আফ্রো-কিউবান ফাঙ্ক জ্যাজ ব্যান্ড মোতম্বা ঢাকায় কিউবান জ্যাজ কনসার্টে পারফর্ম করেছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Zillur for expanding relations with Cuba"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১২-০২-১০। ২০১৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. "Dhaka firm to develop ties with Cuba"দ্য বাংলাদেশ অবজার্ভার। ১২ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. Olivier Rubin (২০১২)। Democracy and Famine। Routledge। পৃষ্ঠা 56, 58। আইএসবিএন 9781136865411 
  4. "Information for Normal passports"timaticweb.com। কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্স। ১৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫ 
  5. "Castro invites Khaleda to attend NAM Summit"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০০৬-০৩-২৮। ২০১৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪ 
  6. "Fight to free Cuban 5 wins supporters in Bangladesh"themilitant.com। themilitant.com। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫ 
  7. "N Korean ship denied entry"Diplomatic Correspondent। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫ 
  8. "President for increasing trade with Cuba"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)। ২০১৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪ 
  9. Hafez Ahmed (২০১২-০২-১০)। "President for increasing trade with Cuba"। ডেইলি সান। ২০১৪-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৪ 

টেমপ্লেট:কিউবার বৈদেশিক সম্পর্ক