ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
স্থানীয় নাম
ইংরেজি: ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
Kushtia Jhadia IMG 6644.jpg
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানকুষ্টিয়া সদর
অঞ্চলকুষ্টিয়া জেলা
পরিচালকবর্গবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-D-30-79

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশর অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন।[১] জেলা সদরের ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত বলে গ্রামের নাম অনুসারে এই মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে ‘ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ’। মসজিদটি নির্মাণে ইট, পাথর, বালি ও চিনামাটি ব্যবহার করা হয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঝাউদিয়া মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত তবে এর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় না। জনশ্রুতি অনুসারে, ইরাকের শাহ সুফি আদারি মিয়া ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আস্তানা তৈরি করেন ও তিনিই এ সময় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে, প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এটাও মনে করা হয় যে, মসজিদটি অলৌকিকভাবে তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা এটাও মনে করেন মসজিদের পাশেই উক্ত সুফি সাধকের কবর রয়েছে।

বর্তমান মসজিদটির দ্বারপ্রান্তে এটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় তৈরি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি সম্পর্কেও প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নথি পাওয়া যায়নি। ১৯৬৯ সালে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাতে নথিভুক্ত করা হয়েছিল।[২] প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী এটি ঝাউদিয়া গ্রামের জনৈক হাসান আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যগণ তত্ত্বাবধান করে আসছেন। তবে বর্তমানে মসজিদটি সরাসরিই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিচালনা করে থাকে।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

ঝাউদিয়া মসজিদটির মূল অবকাঠামোতে তিনটি গম্বুজ ও চারকোণায় চারটি অনতিউচ্চ মিনার রয়েছে।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]