কালুরঘাট সেতু

স্থানাঙ্ক: ২২°২৩′৪৩″ উত্তর ৯১°৫৩′২৩″ পূর্ব / ২২.৩৯৫২৯° উত্তর ৯১.৮৮৯৭৪° পূর্ব / 22.39529; 91.88974
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কালুরঘাট সেতু
স্থানাঙ্ক ২২°২৩′৪৩″ উত্তর ৯১°৫৩′২৩″ পূর্ব / ২২.৩৯৫২৯° উত্তর ৯১.৮৮৯৭৪° পূর্ব / 22.39529; 91.88974[১]
স্থানকালুরঘাট, চট্টগ্রাম
বৈশিষ্ট্য
মোট দৈর্ঘ্য২৩৯ মিটার[২]
ইতিহাস
নির্মাণকারীব্রুনিক এন্ড কোম্পানী ব্রীজ বিল্ডার্স হাওড়া
চালু১৯৩০[২]
অবস্থান
মানচিত্র

কালুরঘাট সেতু কর্ণফুলী নদীর উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতে নদী পারাপারের জন্য স্থানটি কালুর ঘাট নামে নদী পারাপারে ভূমিকা রেখে আসলেও ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে এ রেল সেতুটি নির্মিত হয়। স্থানীয় ভাবে কালুরঘাট সেতুটি কালুরঘাটের পোল নামে বহুল পরিচিত। সেতুটির বয়স বর্তমানে ৯০ বছরেরও বেশি। অনেক বছর আগেই (২০০১ সালে) এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১১ সালেও বুয়েটের একদল গবেষক আরেকবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন।[৩]

অবস্থান[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের গোড়াপত্তনকারী কর্ণফুলী নদীর মোহনা হতে ৭/৮ মাইল উজানে কালুরঘাট নামক স্থানে এটি তৈরী হয়। যা স্থানিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম শহর হতে দক্ষিণাংশে অবস্থিত।

গুরুত্ব[সম্পাদনা]

এটি কর্ণফুলী নদীর দ্বারা দ্বিখন্ডিত বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলাকে উত্তর ও দক্ষিণাংশে সংযুক্ত করে। তিরানব্বই বছরের পুরাতন এ সেতুটি দক্ষিণাংশের একমাত্র সংযোগ মাধ্যম ছিল, এক দশক পূর্বে শাহ আমানত কর্ণফুলী সেতুর উদ্বোধনের পূর্ব পর্যন্ত। তাই একে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারও বলা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

যদিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রটি বহদ্দারহাট নামক স্থান সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত কিন্তু কালুরঘাটের দেশ ব্যাপী পরিচিতির সুবাদে এ কেন্দ্রটিও কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম ও উত্তর পাড়ের দখল নিয়ে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধের ইতিহাস চিরস্মরণীয়। [৪]

স্থাপত্য ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টের সৈন্য পরিচালনা করার জন্য কর্ণফুলী নদীতে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ফলে ১৯৩০ সালে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানী সেতু বিল্ডার্স হাওড়া নামক একটি সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। মূলত: ট্রেন চলাচলের জন্য ৭শ গজ লম্বা সেতুটি সে বছর ৪ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুনরায় বার্মা ফ্রন্টের যুদ্ধে মোটরযান চলাচলের জন্য ডেক বসানো হয়। দেশ বিভাগের পর ডেক তুলে ফেলা হয়। পরে ১৯৫৮ সালে সব রকম যানবাহন চলাচল যোগ্য করে সেতুটির বর্তমান রূপ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতুটির রয়েছে ২টি এব্যাটমেট, ৬টি ব্রিক পিলার, ১২টি স্টীলপিলার ও ১৯টি স্প্যান।[৫] এটি ২৩৯ মিটার দীর্ঘ।[২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://www.openstreetmap.org/way/232875499#map=17/22.39529/91.88974&layers=N.
  2. "ANALYSIS OF PROBLEMS" [সমস্যার বিশ্লেষণ] (পিডিএফ)বাংলাদেশ রেলওয়ে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭ 
  3. ""ঝুঁকিপূর্ণ" কালুরঘাট সেতুই ভরসা"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজনদৈনিক প্রথম আলো। ১৯ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১ 
  4. মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম : কিছু স্মৃতি কিছু বিস্মৃতি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "কালুরঘাট সেতু"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]