বিষয়বস্তুতে চলুন

গড়াই রেল সেতু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গড়াই রেল সেতু
বামে সৈয়দ মাছ-উদ রুমি সেতু ও ডানে গড়াই রেল সেতু
বহন করেট্রেন
অতিক্রম করেগড়াই নদী
স্থানকয়া, কুমারখালী উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা, খুলনা বিভাগ,  বাংলাদেশ
অন্য নামকয়া রেল ব্রিজ
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
রক্ষণাবেক্ষকরেলওয়ে পাকশী বিভাগ
বৈশিষ্ট্য
উপাদান
মোট দৈর্ঘ্য৫১৫ মিটার
রেল বৈশিষ্ট্য
রেলপথের সংখ্যা
ট্র্যাক গেজব্রডগেজ
ইতিহাস
নির্মাণকারীইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে
নির্মাণ শুরু১৮৬৫
নির্মাণ শেষ১৮৭১; ১৫৩ বছর আগে (1871)
পুনর্নির্মাণ১৯৩৬–১৯৩৮

গড়াই রেল সেতু কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর উপর নির্মিত একটি রেল সেতু। ১৮৬৫ সালে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়।[] সেতুটি বাংলাদেশের প্রথম বড় রেল সেতু।[]

নকশীকাঁথা কমিউটার গড়াই রেল সেতু অতিক্রম করছে

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বর্তমান বাংলাদেশে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর প্রথম রেলপথ চালু হয়। তখন স্থাপিত হয় বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন জগতি রেলওয়ে স্টেশন। জগতি থেকে রেলপথ গোয়ালন্দ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয় ১৮৭১ সালে। এই রেলপথ নির্মাণের সবচেয়ে বড় বাঁধা ছিল কুষ্টিয়ার গড়াই নদী[] ১৮৬৫ সালে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ১৮৭১ সালে সেতু নির্মাণ শেষ হয়। সেতুর নকশা প্রণয়ন করেন ব্রিটিশ নকশাকার জে.এ. টেম্পল।[]

১৯৩৬ সালের সেপ্টেম্বরে সেতুটির গার্ডার প্রতিস্থাপন ও পিয়ারগুলোর সংস্কারে একটি সংশোধিত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। রেলওয়ে বোর্ড থেকে ১২.৭০ লাখ রুপির বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের সেতুর ইঞ্জিনিয়ার অল্ডউইন স্মলার এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান।[] ১৯৩৬ সালে ৩টি এবং পরবর্তীতে ১৯৩৭–১৯৩৮ সালে বাকি ৪টি স্প্যান প্রতিস্থাপন করা হয়।[]

সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫১৫ মিটার (১,৬৯০ ফু)। সেতুর স্তম্ভ রয়েছে ৮ জোড়া বা বলা যায় ৮টি পিয়ার রয়েছে। মোট ৭টি স্প্যান রয়েছে যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৮৫ ফুট (৫৬ মি)।[]

গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ আমল

[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ আমলে গড়াই রেলসেতুর ব্যাপক গুরুত্ব ছিলো। কলকাতা থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্য এই রেলসেতু ব্যবহার হতো। এই রেললাইন প্রথমে গোয়ালন্দ ঘাট রেলওয়ে স্টেশনফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চালু হয়।

বর্তমান সময়ে

[সম্পাদনা]

পদ্মাসেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকেই গড়াই রেলসেতুরও গুরুত্ব বেড়েছে। এই রেলসেতুর উপর দিয়ে বর্তমানে ০৪ টি আন্তঃনগর, ০১ টি কমিউটার ও ০২ টি শাটল ট্রেন আপ-ডাউন করে।

বর্তমানে চলাচলকারী ট্রেন সমূহ

[সম্পাদনা]

আন্তঃনগর

[সম্পাদনা]
  1. মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬)
  2. বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬)
  3. সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬)
  4. টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪)
মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেন গড়াই রেলসেতু অতিক্রমের সময়

কমিউটার

[সম্পাদনা]
  1. নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস (২৫/২৬)

লোকাল

[সম্পাদনা]
  1. পোড়াদহ শাটল (৫০৫/৫০৬/৫০৭/৫০৮/৫১৩)

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]
  1. মো. রেজাউল করিম (২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ঢাকা: গতিধারা। পৃষ্ঠা ২০৮, ২০৯। আইএসবিএন 9789848950418 
  2. মেজর (অব.) মাহমুদ (২০২৩-১২-১০)। "'গড়াই রেলসেতু' দেশের প্রথম বড় রেলসেতু"স্বদেশ বাংলা। ২০২৪-১০-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮ 
  3. ভারতীয় রেলওয়ের উপর রেলওয়ে বোর্ডের রিপোর্ট (১৯৩৬-১৯৩৭) (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা ৪২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮ 
  4. "বাবার হাতের স্মৃতি দেখতে গড়াই রেল ব্রিজে দুই ভাই"দৈনিক ইনকিলাব। ২০২১-০৫-০৯। ২০২৪-০৩-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮ 
  5. "কুষ্টিয়ার গড়াই রেলসেতুর পিয়ার স্ট্রাকচারের অবস্থা নাজুক"বাংলাদেশ বুলেটিন। ২০২৪-০৩-১৭। ২০২৪-১০-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৮ 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • মো. রেজাউল করিম (২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ঢাকা: গতিধারা। পৃষ্ঠা ২০৮, ২০৯। আইএসবিএন 9789848950418