বাটালি পাহাড়
বাটালি পাহাড় যা বাটালি হিল নামেও পরিচিত, চট্টগ্রামের টাইগার পাস এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রামের শহরের সর্বাধিক উঁচু পাহাড়। এর উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট। এর চুড়া থেকে বঙ্গোপসাগর এবং চট্টগ্রাম শহরের বড় অংশ পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
অবস্থান
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিল অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়ের উত্তরে ফাহিম মিউজিকের পাশ ঘেষে উপরে দিকে উঠে গেছে বাটালী হিলের রাস্তা। এ রাস্তা ম্যাজিস্ট্রেট কলোনীর পিছন দিয়ে চলে গেছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাটালি পাহাড়ের চুড়ায় বিমান বিধ্বংসী কামান স্থাপন করা হয়েছিল। অনেক বছর পূর্বে দূর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের দিক নির্দেশনার জন্য বাটালি পাহাড়ের উপর একটি বাতিঘর ছিল।[১] শহরকে উপর থেকে দেখার জন্য এটি একটি উত্তম স্থান।[২]
বর্ণনা
[সম্পাদনা]বাটালি পাহাড় জিলাপি পাহাড় নামেও পরিচিত। এর কারণ হচ্ছে বাটালি পাহাড়ের পাহাড়ি রাস্তাটিও জিলাপির মত দেখায়, এ কারণে তাকে জিলাপি পাহাড় বলা হয়। এ পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়াটিকে বলা হয়- শতায়ু অঙ্গন। বাটালি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠলে পুরো চট্টগ্রাম শহরকে এক নজরে দেখে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়। বিপুল সংখ্যক লোক পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করে সতেজ বাতাসে শ্বাস নেয় এবং বঙ্গোপসাগরে সূর্যাস্তের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করে। বিগত ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাটালি পাহাড়ে বাংলাদেশ পুলিশের সৌজন্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সাড়ে ১২ হাজার গাছ রোপণ করা হয়। এসব গাছের মধ্যে আছে জলপাই, কাঁঠাল, কালজাম, লিচু, কমলা, আম, জাফরান, চন্দন, কফি, অর্জুন। এ পাহাড়ের বিভিন্ন চূড়ায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস ও বেশ কয়েকটি বাংলো রয়েছে।[১]
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]উক্ত দশর্নীয় স্থানে যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "বাটালী হিল"। www.chittagong.gov.bd। ২৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ মোহাম্মদ খালেদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। "নগর-জীবন"। হাজার বছরের চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক (দৈনিক আজাদী)। পৃষ্ঠা ৩০৫।
চট্টগ্রাম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |