বাংলাদেশের লোকোমোটিভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে লোকোমোটিভ ২৭০৫

বাংলাদেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থায় ডিজেল লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ডিজেল লোকোর মধ্যে ডিজেল–ইলেকট্রিক ও ডিজেল–হাইড্রোলিক, এই দুই ধরনের লোকো রয়েছে। ডিজেল লোকোর পাশাপাশি বাষ্পচালিত লোকোও একসময় ব্যবহার করা হতো, তবে বর্তমানে ব্যবহার করা হয় না। গেজ অনুযায়ী বাংলাদেশে ন্যারো-গেজ (৭৬২ মি.মি.), মিটার-গেজ (১,০০০ মি.মি.) এবং ব্রড-গেজ (১,৬৭৬ মি.মি.) লোকোর ব্যবহার রয়েছে। এর মধ্যে ন্যারো-গেজ রেলপথের ব্যবহার বর্তমানে না থাকায় কোনো ন্যারো-গেজ লোকো সচল নেই।

মিটার-গেজ ও ব্রড-গেজ মিলিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৪৬৫টি ডিজেল লোকো (পুরনো ৩০০০ সিরিজ ব্যতীত) বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। এদের অধিকাংশই ডিজেল–ইলেক্ট্রিক, তবে ৮০টি লোকোমোটিভ ডিজেল–হাইড্রোলিক। ৪৬৫টি লোকোর মধ্যে ৩৩৮টি মিটার-গেজ ও ১২৭টি ব্রড-গেজ। সকল ডিজেল–হাইড্রোলিক লোকো হাঙ্গেরির গ্যাঞ্জ–ম্যাভেজ কোম্পানি তৈরি করেছে। ডিজেল–ইলেক্ট্রিক লোকো বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করেছে যার মধ্যে জিএমডি, অ্যালকো, এমএলডব্লিউ, হুন্দাই রোটেমবানারাস লোকোমোটিভ ওয়ার্কস উল্লেখযোগ্য।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৬২ সালের ১৫ই নভেম্বর ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) রেল পরিষেবা চালু করা হয়।[১] তখন ট্রেন চালানোর জন্য বাষ্পচালিত লোকো ব্যবহার করা হতো। পরবর্তী একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই লোকোগুলো বাংলাদেশের রেলে সেবা দিয়ে এসেছে। ১৯৫৩ সালে কানাডার তৈরি "ইএমডি বি১২" মডেলের ২০০০ শ্রেণীর মিটার গেজ লোকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ডিজেল লোকোর সূচনা হয়, এবং রেলে ডিজেল লোকোর চাহিদা ও ব্যবহার বাড়তে থাকে। তার পাশাপাশি বাষ্পচালিত লোকোর ব্যবহার ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং ১৯৮০–এর দশকে সকল বাষ্পচালিত লোকো বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কিছু বাষ্পচালিত লোকো সংরক্ষণ করা হয়েছে।[২]

লোকোমোটিভের শ্রেণীকরণ ও সংখ্যায়ন পদ্ধতি[সম্পাদনা]

সকল বাষ্পচালিত লোকোর শ্রেণীকরণ পদ্ধতি ভারতীয় রেলের নিয়মে হয়েছে। ডিজেল লোকোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মে তিনটি বর্ণ ও দুটি সংখ্যার সমন্বয়ে একটি শ্রেণী নাম নির্ধারণ করা হয়।

প্রথম বর্ণ দ্বারা লোকোর গেজ চিহ্নিত করা হয়।

  • বি = ব্রড-গেজ
  • এম = মিটার-গেজ

দ্বিতীয় বর্ণ দ্বারা ডিজেল লোকোর ধরন চিহ্নিত করা হয়।

  • ই = ইলেক্ট্রিক
  • এইচ = হাইড্রোলিক

তৃতীয় বর্ণ দ্বারা লোকোর প্রস্তুতকারকের নামের প্রথম বা শেষ বর্ণ চিহ্নিত করা হয়।

  • এ = অ্যামেরিকান লোকোমোটিভ কোম্পানি (অ্যালকো)
  • বি = বোম্বারডিয়ার
  • ডি = ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (ডিএলডব্লিউ)
  • ই = ইংলিশ ইলেক্ট্রিক
  • জি = জেনারেল মোটরস ডিজেল (জিএমডি)
  • এইচ = হিটাচি
  • আই = হুন্দাই রোটেম
  • এল = হ্যানসেল
  • এম = মন্ট্রিয়ল লোকোমোটিভ ওয়ার্কস (এমএলডব্লিউ)
  • জেড = গ্যাঞ্জ–ম্যাভেজ

দুই ঘরের সংখ্যা দ্বারা লোকোর ক্ষমতা (অশ্বশক্তিতে × ১০০) চিহ্নিত করা হয়।

উদাহরনস্বরূপ: এমইজি–১৫। এখানে, এম = মিটার–গেজ, ই = ডিজেল–ইলেক্ট্রিক, জি = জেনারেল মোটরস ডিজেল, এবং ১৫ = ১৫ × ১০০ = ১,৫০০ অশ্বশক্তি। ২১০০ সিরিজের লোকো (জিইইউ-১৪) ব্যতীত সকল মিটার–গেজ ও ব্রড–গেজ ডিজেল লোকোকে এই নিয়মে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে।

প্রতিটি শ্রেণীর জন্য একটি সংখ্যা সিরিজ নির্ধারণ করা হয় এবং সেই শ্রেণীর সকল লোকোকে সেই সিরিজ অনুযায়ী সংখ্যায়িত করা হয়। যেমন: বিইডি–২৬ শ্রেণীতে মোট ১৩টি লোকো রয়েছে। এই শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত সিরিজ হচ্ছে ৬৪০০। এই শ্রেণীর সকল লোকোকে ৬৪০১ থেকে ৬৪১৩ পর্যন্ত সংখ্যায়িত করা হয়েছে। কখনো কখনো শ্রেণীকে স্পেসিফিকেশন ও সিরিজকে শ্রেণী বলা হয়ে থাকে।

কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায়। যেমন: এমইজি–১১ শ্রেণীর মোট ৪০টি লোকোকে ২০০১ থেকে ২০৪০ পর্যন্ত সংখ্যায়িত না করে করা হয়েছে ২০০০ থেকে ২০৩৯ পর্যন্ত (একই নিয়ম বিইএ–২০ শ্রেণীর ক্ষেত্রেও)। আবার, বিইডি–৩০ ও বিইডি–৩৩ ভিন্ন শ্রেণীর লোকো হয়েও একই সিরিজের (৬৫০০) অন্তর্ভুক্ত। ২৩০০ ও ২৪০০ সিরিজের লোকো একই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত (এমইএম–১৪)। ১৯৬০–এর দশকে বাংলাদেশে ৩০০০ সিরিজের কিছু শান্টিং লোকো চলাচল করতো (বর্তমানে বাতিলকৃত)। তাই ২০২০ সালে হুন্দাই রোটেমের ১০টি নতুন লোকোকে ৩৪০০ সিরিজ দেওয়ার কথা (যেহেতু ৩১০০, ৩২০০ ও ৩৩০০ সিরিজও পূর্বে ব্যবহার করা হয়ে গেছে)। কিন্তু এদেরকে ৩৪০০ সিরিজ না দিয়ে সেই ৩০০০ সিরিজই দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশে ২১০০, ৩০০০ (পুরনো), ৩১০০, ৬২০০ ও ৭০০০ সিরিজের কোনো লোকো সচল নেই।

বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
গেজ

(মি.মি.)

শ্রেণী প্রস্তুতকারক প্রস্তুত

কাল

মোট

উৎপাদন

হোয়াইট

নোটেশন

দৈর্ঘ্য

(মিটার)

প্রস্থ

(মিটার)

উচ্চতা

(মিটার)

ভর (টন) ট্র্যাকটিভ

ইফোর্ট (টন)

অঞ্চল
৭৬২ সিবি ভলক্যান ফাউন্ড্রি ২-৪-০টি খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চল
সিএস ডাব্লিউ. জি. বেগন্যাল ১৯৩৬ ২-৪-০টি ৫.৬৮৯ ২.২৮৬ ৩.২ ১১.৭৬ ২.০৫
১০০০ এমএডিডবলু ৮৬ [৩]
পিএম
পিএস
আরসি
ওয়াইডি নিপ্পন স্যারিও ১৯৫২ ২৫টি (পিইআর-এর জন্য) ২-৮-২
ডবলুডি
১৬৭৬ এপিসি ৪-৪-২
বিটিসি ২-৬-৪ টি
সিডবলুডি ২-৮-২
এইচপিএস ভলক্যান ফাউন্ড্রি ১৯৪৭ ৪-৬-০ ১৮.৯৮ ৩.২ ৪.১১৫ বোঝাই অবস্থায়: লোকো-৭৬.৯ টন, টেন্ডার-৫২ টন; খালি অবস্থায়: লোকো-৭১.৩ টন, টেন্ডার-২৩.৯৬ টন
এসজিসি-জেড ভলক্যান ফাউন্ড্রি ১৯২১ ০-৬-০ ১৬.৪২১৬ ২.৭৩১ ৪.০১৭ ৯৮.৪৮ ১১.৭৬ পাকশী রেলবিভাগ (১৯২১-৩৬); সৈয়দপুর কারখানা (১৯৩৬-৮৩; শান্টিং কার্যক্রমের জন্য)
এসজিএস ভলক্যান ফাউন্ড্রি ০-৬-০
এসপিএস ভলক্যান ফাউন্ড্রি ৪-৪-০
এক্সবি ভলক্যান ফাউন্ড্রি ১৯৩৬ ৪-৬-২ ৯০.২ ১৩.৩৮

সংরক্ষিত বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

গেজ

(মি.মি.)

শ্রেণী লোকো

নং

বিল্ড

নং

স্থান প্রত্যাহার

কাল

চিত্র
৭৬২ সিবি পাকশী রেল ভবন, পাকশী, পাবনা ১৯৬০
১৭৫৭ ক্যারিজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ, সিআরবি, চট্টগ্রাম
সিএস ১৫ ২৫৩৯ ক্যারিজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ, সৈয়দপুর, নীলফামারী ১৯৬৯
১০০০ আরসি ২৩৩ জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৌচাক, গাজীপুর
ওয়াইডি ৭১৮ ঢাকা রেল ভবন, ঢাকা ১৯৮৩
১৬৭৬ এইচপিএস ৩০ রাজশাহী রেল ভবন, রাজশাহী ১৯৮৪
এসজিসি-জেড ২৪০ ক্যারিজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ, সৈয়দপুর, নীলফামারী ১৯৮৩

এদের পাশাপাশি, পিইআর (বর্তমানে বিআর) এর লোকোমটিভ এইচপিএস ৩২ ভারতের হাওড়ার ইস্টার্ন রেলওয়ে মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হয়েছে যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে যাত্রীবাহী ট্রেন নিয়ে গিয়ে আর ফেরত আসে নি।[৪]

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ইস্টার্ন রেলওয়ে মিউজিয়ামে সংরক্ষিত লোকোমটিভ এইচপিএস ৩২

ডিজেল লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

মিটার-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

শ্রেণী স্পেসি. মডেল সংখ্যা গ্রুপিং চালু প্রস্তুতকারক ক্ষমতা

(অশ্বশক্তি)

গতি

(কিমি/ঘ)

বেজ ছবি
২০০০ এমইজি–১১ ইএমডি বি১২ ৪০ ২০০০–২০৩৯ ১৯৫৩ জিএমডি ১১২৫ ১০০ সিজিপিওয়াই
২১০০ জিইইউ–১৪ জিই ইউএম১৩সি ১০ ২১০১–২১১০ ১৯৬৪ জিই ১৩০০/

১৪২০

১০৩
২২০০ এমইজি–৯ ইএমডি জিএল৮ ৪১ ২২০১–২২৪১ ১৯৬১ জিএমডি ৮৭৫ ১২৪ কমলাপুর

পার্বতীপুর

পাহাড়তলী

সিজিপিওয়াই

২৩০০ এমইএম–১৪ ডিএল৫৩৫এ/

আরএসডি-৩০

২৪ ২৩০১–২৩২৪ ১৯৬৯ এমএলডব্লিউ ১৪০০ ৯৬ কমলাপুর

পার্বতীপুর

২৪০০ ডিএল৫৩৫এ/

আরএসডি-৩০

১২ ২৪০১–২৪১২ ১৯৭৮ এমএলডব্লিউ ১৪০০ ৯৬ কমলাপুর

পার্বতীপুর

২৫০০ এমইএইচ–১৪ এইচএফএ১৩এ ১৮ ২৫০১–২৫১৮ ১৯৮২ হিটাচি ১৪০০ ৯৬ কমলাপুর
২৬০০ এমইজি–১৫ ইএমডি জিটি১৮এলএ-২ ১৬ ২৬০১–২৬১৬ ১৯৮৮ জিএমডি ১৫০০ ১০৭ পাহাড়তলী
২৭০০ এমইএল–১৫ ইএমডি জেটি১৮ইউ৬ ২১ ২৭০১–২৭২১ ১৯৯৪ হ্যান্সেল
অ্যাডট্র্যাঞ্জ
১৫০০ ১০৭ পাহাড়তলী
২৮০০ এমইডি–১৪ ডিএল৫৩৫এ/

আরএসডি-৩০

(ওয়াইডিএম-৪বিআর)

১০ ২৮০১–২৮১০ ১৯৯৬ ডিএলডব্লিউ ১৪০০ ৯৬ কমলাপুর/
কেওয়াটখালী
২৯০০ এমইআই–১৫ ইএমডি জিটি১৮এলএ-২ ৩৯ ২৯০১–২৯৩৯ ১৯৯৯ হুন্দাই রোটেম ১৫০০ ১০৭ কমলাপুর

পার্বতীপুর

পাহাড়তলী

৩০০০ ১১ [৫] ৩০০১–৩০১১ ৩৩৫
এমইআই–২০ ইএমডি জিটি৩৮এসি ৩০ ৩০০১–৩০৩০ ২০২০ হুন্দাই রোটেম ২২৫০ ১১৫ কমলাপুর

পাহাড়তলী

৩১০০ এমইই–৫ ইইইউ-৬ ২৬ ৩১০১–৩১২৬ ১৯৭১ ইংলিশ ইলেক্ট্রিক ৫৫০ ৫৬
৩২০০ এমএইচজেড–৫ ডিএইচএম ১০ ২২ ৩২০১–৩২২২ ১৯৮০ গ্যাঞ্জ-ম্যাভেজ ৫৯০ ৬০ দেওয়ানগঞ্জ
৩৩০০ এমএইচজেড–৮ ডিএইচএম ১২ ৩৮ ৩৩০১–৩৩৩৮ ১৯৮৩ গ্যাঞ্জ-ম্যাভেজ ৮০০ ৭২ বোনারপাড়া

ব্রড-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

শ্রেণী স্পেসি. মডেল সংখ্যা গ্রুপিং চালু প্রস্তুতকারক ক্ষমতা

(অশ্বশক্তি)

গতি

(কিমি/ঘ)

বেজ ছবি
৬০০০ বিইএ–২০ ডিএল৫৪৩/

আরএসডি-৩৪

১৮ ৬০০০–৬০১৭ ১৯৬৫ অ্যালকো ২০০০ ১০৬ ঈশ্বরদী
৬১০০ বিইএম–২০ ডিএল৫৪৩/

আরএসডি-৩৪

১৬ ৬১০১–৬১১৬ ১৯৬৯ এমএলডব্লিউ ২০০০ ১০৬ ঈশ্বরদী
৬২০০ বিইএইচ–২৪ এইচএফএ২৪এ ১২ ৬২০১–৬২১২ ১৯৮০ হিটাচি ২৪০০ ঈশ্বরদী
৬৩০০ বিইবি–২২ এমএক্স৬২৪ ১২ ৬৩০১–৬৩১২ ১৯৮০ বোম্বারডিয়ার ২২০০ ১০৫ ঈশ্বরদী
৬৪০০ বিইডি–২৬ ডিএল৫৬০সি

(ডব্লিউডিএম-২বি

ডব্লিউডিএম-২সিএ)

১৩ ৬৪০১–৬৪১৩ ২০০১ ডিএলডব্লিউ ২৬০০ ১২০ ঈশ্বরদী
৬৫০০ বিইডি–৩০ ডিএল৫৬০সি

(ডব্লিউডিএম-৩এ)

২৬ ৬৫০১–৬৫২৬ ২০১২ ডিএলডব্লিউ ৩১০০ ১২০ ঈশ্বরদী
বিইডি–৩৩ ডিএল৫৬০সি

(ডব্লিউডিএম-৩ডি)

৩০ ৬৫২৭–৬৫৩৬ ২০২০ ডিএলডব্লিউ ৩৩০০ ১৬০ ঈশ্বরদী
৬৬০০ ইএমডি জিটি৪২এসি ৪০ ৬৬০১–৬৬৪০ ইএমডি ৩২৫০ ১২০
৭০০০ বিএইচজেড–৫ ডিএইচএম ৯ ২০ ৭০০১–৭০২০ ১৯৮০ গ্যাঞ্জ-ম্যাভেজ ৫০০ ৬০

সংরক্ষিত ডিজেল লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

গেজ

(মি.মি.)

শ্রেণী লোকো

নং

প্রস্তুতকারক বিল্ট

নং

ধরন স্থান
১,০০০ ২০০০ ২০০০ জিএমডি এ৪৪৩ ডিজেল–ইলেক্ট্রিক পাহাড়তলী ডিজেল কারখানা, চট্টগ্রাম
৩৩০০ ৩৩০৯ গ্যাঞ্জ-ম্যাভেজ ডিজেল–হাইড্রোলিক কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা, দিনাজপুর
৩৩৩২ ক্যারিজ অ্যান্ড ওয়াগন শপ, সৈয়দপুর, নীলফামারী

ন্যারো-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ[সম্পাদনা]

দেওয়ানগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত লোকোমোটিভ
বাংলাদেশের একটি ডেমু ট্রেন

বাংলাদেশে একসময় কিছু ন্যারো-গেজ (৭৬২ মি.মি.) ডিজেল লোকো চলতো। এগুলো সম্ভবত বিভিন্ন শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এগুলো আর চলাচল করে না। এরকম অন্তত তিনটি লোকো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়।

ডিজেল–ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের ২৫শে মে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মিটার-গেজ ডেমু সেবা চালু করা হয়। চট্টগ্রাম বৃত্তাকার রেলপথসহ বিভিন্ন ছোট ছোট রেল রুটে এসব ট্রেন চলাচল করে।[৬] মোট ২০ সেট ডেমু চালু করা হয় যা চীনের "সিএনআর থাংশান" নির্মান করে। প্রতিটি সেটে মোট ৩০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারে। প্রতিটি সেটের ক্ষমতা ৮০০ অশ্বশক্তি এবং এদের সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিমি/ঘণ্টা।

লোকোমোটিভ কারখানা ও লোকোসেড[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে মোট ৪টি লোকোমোটিভ কারখানা রয়েছে যেখানে লোকোসমূহের রক্ষনাবেক্ষন ও সংষ্কারের কাজ করা হয়:

নাম স্থান লোকোমোটিভের ধরন
কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা পার্বতীপুর, দিনাজপুর মিটার-গেজ ও ব্রড-গেজ
ঢাকা ডিজেল শপ কমলাপুর, ঢাকা মিটার-গেজ
পার্বতীপুর ডিজেল শপ পার্বতীপুর, দিনাজপুর মিটার-গেজ ও ব্রড-গেজ
পাহাড়তলী ডিজেল শপ পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম মিটার-গেজ

এই চারটি কারখানার মধ্যে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় ভারী মেরামতের কাজ করা হয়। বাকি তিনটি কারখানায় সাধারণ রক্ষনাবেক্ষন ও সংষ্কারের কাজ করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "রেলওয়ে"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. "Preserved Steam Locomotives in Bangladesh"www.internationalsteam.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০২ 
  3. Engineers, United States Army Corps of (১৯৬১)। Transportation Survey of East Pakistan, 1961: Detailed report (ইংরেজি ভাষায়)। Department of the Army, Corps of Engineers। 
  4. "Steam Locomotive Information"www.steamlocomotive.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৫ 
  5. Engineers, United States Army Corps of (১৯৬১)। Transportation Survey of East Pakistan, 1961: Detailed report (ইংরেজি ভাষায়)। Department of the Army, Corps of Engineers। 
  6. "DEMU trains begin debut run in Ctg"Bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]