রেলওয়ে পুলিশ (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রেলওয়ে পুলিশ
সংক্ষেপেরেলওয়ে পুলিশ
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮১
এলাকাগত সেবা
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
স্টাফ
২৪৩২
ওয়েবসাইটরেলওয়ে পুলিশ

রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইন-শৃংখলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্যান্য পুলিশং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ আমল[সম্পাদনা]

ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ১৮৫৪ সালে রেলওয়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমান বাংলাদেশ অংশে ইস্টার্ণ বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি সর্বপ্রথম ১৫ নভেম্বর, ১৮৬২ সালে জগতি, কুষ্টিয়া হতে দর্শনা, চুয়াডাঙ্গার মধ্যে ৫৩.১১ কি:মি:  রেলযোগাযোগ স্থাপন করে। অল্পদিনের মধ্যেই রেলওয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয়, নির্ভরযোগ্য ও সুলভ গণপরিবহন হিসেবে পরিগণিত হয়। রেলওয়ে যোগাযোগ বিস্তৃতির সাথে সাথে ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই সাথে রেলপথে চুরি, ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধও বৃদ্ধি পায়। উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় ব্রিটিশ রাজ প্রাদেশিক পর্যায়ে ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশের একটি কন্টিনজেন্টকে রেলপথের নিরাপত্তা ও রেলওয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে নিয়োজিত করে। যেমন বেঙ্গল রেলওয়ের নিরাপত্তায় ১ জানুয়ারী ১৮৬৭ সাল হতে ইন্ডিয়ান ইম্পেরিয়াল পুলিশ হতে রেলওয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কোম্পানি তাদের কোম্পানিতে নিয়োগকৃত রেলওয়ে পুলিশ ফোর্সের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয়ভার বহন করত। এর কিছুদিন পর ব্রিটিশ ভারত সরকার উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় যে, বাণিজ্যিক রেলওয়ে কোম্পানিগুলি রেলপথের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাস্ট্রীয় পুলিশ ফোর্স অপব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজেদের রেলওয়ে সম্পত্তি সুরক্ষায় বেশি মনোযোগী হচ্ছে কিন্তু রেলপথের নিরাপত্তা বিধানে ততটা আগ্রহ প্রদর্শন করছেনা। সুতরাং, ব্রিটিশ রাজ রেলওয়ে পুলিশের সামঞ্জস্যপূর্ণ গঠন ও কার্যপরিধি নির্ধারনের জন্য রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৮৭২ গঠন করে। রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৮৭২ এর সুপারিশের আলোকে ১৮৮১ সালে রেলওয়ে পুলিশ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে । নবসৃষ্ট এই রেলওয়ে পুলিশের দুইটি অংশ ছিল -

ক) গভর্ণমেন্ট পুলিশঃ রেলপথের নিরাপত্তা, অপরাধ দমন ও তদন্তের দায়িত্ব পালন করে। গভর্ণমেন্ট পুলিশ একজন পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্টের অধীনে পরিচালিত হতো।

খ) কোম্পানি পুলিশঃ রেলওয়ের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে। সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কোম্পানী ’কোম্পানী পুলিশে’র ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করত।

কিছু সময়ের ব্যবধানে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রদেশ ভেদে রেলওয়ে পুলিশ তিন ধরনের প্রশাসনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে থাকে; ১) জেলা পুলিশের অংশ হিসেবে; ২) প্রাদেশিক সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় এাবং ৩) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থপনায় । উদহরণস্বরুপ, ২৩ জানুয়ারী ১৯০১ বেঙ্গল এন্ড আসাম প্রদেশে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেলপথের নিরাপত্তায় আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে ভলান্টিয়ার রাইফেলস নামে একটি রেলওয়ে পুলিশ বাহিনী পরিচালনা করত। ইন্ডিয়ান পুলিশ কমিশন ১৯০২-০৩ উপর্যুক্ত তিনটি রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থার মধ্যে সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে শুধুমাত্র প্রাদেশিক রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থার সুপারিশ করে। কিন্তু বিভিন্ন কারনে ইন্ডিয়ান পুলিশ কমিশনের এ সুপারিশ তখনই কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ ভারত সরকার রেলপথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ কারনে রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৯২১ গঠিত হয়। ইন্ডিয়ান পুলিশ কমিশন ১৯০২-০৩ এর প্রাদেশিক রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থার সুপারিশটি রেলওয়ে পুলিশ কমিটি, ১৯২১ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এ অনুমোদনের ভিত্তিতে ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রদেশে পূর্বের ’গভর্ণমেন্ট পুলিশ’ রুপান্তরিত হয়ে ’গভর্ণমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)’ নামে পুলিশের একটি স্বতন্ত্র বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। তাছাড়া পূর্বের ’কোম্পানি পুলিশ’ রেলওয়ে পুলিশ হতে পৃথক হয়ে ’ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে। সমগ্র পূর্ব বাংলা রেলওয়ে পুলিশ একজন পুলিশ সুপারের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করত যার সদর দপ্তর ছিল চট্রগ্রামে।

পাকিস্তান আমল[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলা (পূর্ব পাকিস্তান) রেলওয়ে পুলিশ বিভক্ত হয়ে চট্রগ্রাম রেলওয়ে জেলা এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার চট্রগ্রাম ও সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা দ্বয় ডিআইজি, সিআইডি এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৬৭ সালে একজন ডিআইজির অধীনে রেলওয়ে রেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয় যার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় পাহাড়তলী, চট্রগ্রামে। ডিআইজি, রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জ একই সঙ্গে রেলওয়ের ’ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড’ এর প্রধান চীফ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ডিআইজি, রেলওয়ে রেঞ্জ চীফ সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বেতন ভাতাদি পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে হতে গ্রহণ করতেন।  

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ[সম্পাদনা]

সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলাধীন লালমনিরহাটে রেলওয়ে ইন্টেলিজেন্স অফিসার (আরইও) হিসেবে কর্মরত থাকা কালে এসআই আব্দুর রহমান চৌধুরী ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।

বাংলাদেশ আমলঃ[সম্পাদনা]

১৯৭৬ সালে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) অধ্যাদেশ জারি হয় যার মাধ্যমে ’ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড’ পরিবর্তিত হয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) নামে কার্যক্রম শুরু করে। চীফ সুপারিনটেন্ডেন্টের পদের নামকরণ করা হয় চীফ কমান্ড্যান্ট। ডিআইজি, রেলওয়ে পুলিশ আরএনবি’র চিফ কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্বারক নং- Rly/Estb-II/13E-2/83 pt-236, তাং- ২৮/০২/১৯৮৩ খ্রিঃ মূলে এক আদেশে আরএনবি’র চিফ কমান্ড্যান্ট পদ আরএনবি’র নিজস্ব কর্মকর্তা হতে পূরণ করা হবে বলে বলা হয়। সুতরাং, আরএনবি রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জ হতে পৃথক হয়ে মহা পরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে কার্যক্রম শুরু করে।

১৯৮৩ সালে রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জের সদর দপ্তর চট্রগ্রাম হতে স্থানান্তরিত হয়ে ঢাকায় স্থাপিত হয়। ২০১৫ সালে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় স্মারক নং- ৪৪.০০.০০০০.০৯৬.০৫.০০৭.১২/৬৯৭, তাং-১৯/১০/২০১৫ খ্রিঃ মূলে রেলওয়ে পুলিশে একজন অ্যাডিশনাল আইজি’র পদ সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একজন অ্যাডিশনাল আইজি’র নেতৃত্বে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স যাত্রা শুরু করে।

রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.৯৭৭.০১.৪৯.১৫/১৪১১ (১৫০), তাং- ২০/০৩/২০১৮ খ্রিঃ মূলে চট্রগ্রাম রেলওয়ে জেলা হতে নতুন ঢাকা রেলওয়ে জেলা এবং স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.৯৭৭.০১.৪৯.১৫/২১৮৬ (১৫০), ০৮/০৫/২০১৮ খ্রিঃ মূলে সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা হতে নতুন পাকশী রেলওয়ে জেলা গঠিত হয়। সর্বশেষ রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.৯৭৭.০১.১২০.১৭-৩৮৩৭/১(১৭০), তাং- ২৫/০৮/২০২০ খ্রিঃ মূলে পাকশী রেলওয়ে জেলা হতে নতুন খুলনা রেলওয়ে জেলা ও স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.৯৭৭.০১.১২০.১৭-৩৮৩৮/১(১৭০), তাং- ২৫/০৮/২০২০ খ্রিঃ মূলে চট্রগ্রাম রেলওয়ে জেলা হতে সিলেট রেলওয়ে জেলা গঠিত হয়।

ইউনিট প্রধানদের তালিকা ও কার্যকাল[সম্পাদনা]

অ্যাডিশনাল আইজি হিসেবে[সম্পাদনা]

ক্রঃ নং ইউনিট প্রধানের নাম কার্যকাল

২ জনাব মোঃ মহসিন হোসেন এনডিসি ১৯-১১-২০১৮ খ্রি: হতে ২৮-০২-২০২১ খ্রি:

১ মোহাম্মদ আবুল কাশেম, বিপিএম ১২-০৫-২০১৬ খ্রি: হতে ১৯-১১-২০১৮ খ্রি:

ডিআইজি হিসেবে[সম্পাদনা]

৪ এস. এম. রুহুল আমিন ১৮-০১-২০১৫ হতে ১২-০৬-২০১৬

৫ মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম ১৯-১০-২০১৪ হতে ১৮-০১-২০১৫

৬ মোঃ কামরুল আহসান ১৭-১২-২০১৩ হতে ১৯-১০-২০১৪

৭ মোঃ সোহরাব হোসেন এনডিসি ২৪-০২-২০১১ হতে ১৭-১২-২০১৩

৮ ড. এম. সাদিকুর রহমান ১৮-০৩-২০০৯ হতে ২৪-০২-২০১১

৯ শেখ হেমায়েত হোসেন, পিপিএম ০৭-১১-২০০৬ হতে ১৮-০৩-২০০৯

১০ মোঃ শামসুদ্দোহা খন্দকার ০৮-০৫-২০০৫ হতে ০৭-১১-২০০৬

১১ ড. এম. সাদিকুর রহমান ১৪-০৩-২০০৫ হতে ০৮-০৫-২০০৫

১২ গোলাম মোস্তফা ১৯-০৬-২০০৪ হতে ২০-১২-২০০৪

১৩ মোঃ রুহুল আমিন ২৪-০৯-২০০৩ হতে ১৯-০৬-২০০৪

১৪ এ কে এম এনায়েতুল্লাহ্ দেওয়ান, পিপিএম ২৭-০৫-২০০৩ হতে ২৩-০৯-২০০৪

১৫ মোঃ আলী ইমাম চৌধুরী, বিপিএম ০২-০৪-২০০২ হতে ২৪-০৫-২০০৩

১৬ মোঃ মোখলেসুর রহমান ১০-১২-২০০১ হতে ৩১-০৩-২০০২

১৭ মোঃ শফিকুল্লাহ ১৪-০৮-২০০১ হতে ১৭-১১-২০০১

১৮ মোঃ শহিদুর রহমান ভূইয়া ১৭-১০-১৯৯৮ হতে ০৯-০৮-২০০১

১৯ মোঃ আশরাফুল হুদা ০৫-০২-১৯৯৮ হতে ১১-১০-১৯৯৮

২০ ওসমান আলী খান, বিপিএম ২০-০৫-১৯৯৬ হতে ০৫-০২-১৯৯৮

২১ মোঃ আব্দুর রহিম খান, পিপিএম ১১-০৬-১৯৯৫ হতে ১৩-০৫-১৯৯৬

২২ মোঃ আব্দুস সালাম ২৯-০৩-১৯৯৩ হতে ১১-০৬-১৯৯৫

২৩ এম. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ১৯-০৯-১৯৯০ হতে ২১-০৩-১৯৯৩

২৪ মির্জা রকিবুল হুদা ০৯-০২-১৯৮৯ হতে ১৯-০৯-১৯৯০

২৫ মীর হাসমত উল্ল্যাহ্, পিএসসি ২১-০৪-১৯৮৭ হতে ০৬-০২-১৯৮৯

২৬ এম.কে.আই চৌধুরী ২৪-১১-১৯৮৬ হতে ২০-০৪-১৯৮৭

২৭ কাজী গোলাম রহমান ২৪-০৪-১৯৮৫ হতে ২২-০৫-১৯৮৬

২৮ এ.এম.এম. নাসরুল্লাহ খান ০৯-১২-১৯৮৪ হতে ১৯-০৩-১৯৮৫

২৯ মোঃ ইসমাঈল হোসেন ১৪-০৩-১৯৮৩ হতে ০৮-১২-১৯৮৪

৩০ এম. জাকির হোসেন ১০-০৯-১৯৮১ হতে ৩০-০৯-১৯৮২

৩১ মোঃ ইনামুল হক ২৪-০৩-১৯৭৯ হতে ০৯-০৯-১৯৮১

৩২ এ.আর. খন্দকার ২৩-০৪-১৯৭৬ হতে ৩১-০১-১৯৭৯

৩৩ মোঃ আফজাল হোসেন ০৬-০৭-১৯৭৩ হতে ২২-০৪-১৯৭৬

৩৪ এ.এইচ.এম ফখরুদ্দীন ২৫-০২-১৯৭২ হতে ০৫-০৭-১৯৭৩

৩৫ এস.কে. চৌধুরী ০৩-০২-১৯৭২ হতে ২৪-০২-১৯৭২

৩৬ সৈয়দ মান্নান বক্স ০৩-০২-১৯৭০ হতে ০২-০২-১৯৭২

৩৭ এ.এইচ.এম হাসান ০৩-১১-১৯৬৯ হতে ০১-০২-১৯৭০

৩৮ মোহাম্মদ আলী টি.পি.কে ১৩-০২-১৯৬৮ হতে ০২-১১-১৯৬৯

৩৯ এ.এইচ.এম হাসান ০১-০১-১৯৬৮ হতে ১২-০২-১৯৬৮

৪০ মোহাম্মদ আলী টি.পি.কে ০৬-০৬-১৯৬৭ হতে ৩১-১২-১৯৬৭

রেলওয়ে পুলিশের কাঠামো[সম্পাদনা]

রেলওয়ে পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট। রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কমলাপুর, ঢাকায় অবস্থিত। রেলওয়ে পুলিশে ছয়টি জেলা, ২৪ টি থানা ও ৩৩ টি ফাঁড়ি বিদ্যমান। রেলওয়ে পুলিশে অনুমোদিত জনবল ২৪৩২ জন।

রেলওয়ে পুলিশের ভূমিকা[সম্পাদনা]

পুলিশ বেঙ্গল রেগুলেশন ১৯৪৩ এর ৫৪৯ হতে ৬১০ নং বিধিতে রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্র ও কার্য পরিচালনার পদ্ধতি বিধৃত হয়েছে। উক্ত বিধি অনুসারে রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্র হচ্ছে রেললাইন, খোলা রেললাইনের উভয় পাশে ১০ ফিট দুরত্ব এবং রেললাইন সংলগ্ন বদ্ধ এলাকা। উক্ত অধিক্ষেত্রে রেলওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশের মতোই দায়িত্ব পালন করে। রেলওয়ে পুলিশ সকল আন্তঃনগর ট্রেন, গুরুত্বপূর্ণ মেইল ও কমিউটার ট্রেনে ট্রেন গার্ড (টিজি) হিসেবে পুলিশের একটি দল নিয়োজিত রাখে যারা ট্রেনটির সমগ্র যাত্রাপথে দায়িত্বরত থাকে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মেও রেলওয়ে পুলিশ নিরাপত্তা প্রদান করে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনসমূহে রেলওয়ে পুলিশের সার্বক্ষণিক তথ্য কেন্দ্র সেবা প্রদান করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের প্রধান প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ঃ

  • যাত্রীদের আগমন ও নির্গমণ নির্বিঘ্ন করা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা।
  • অতিরিক্ত যাত্রী, ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ভ্রমণ নিবৃত্ত করা।
  • রেলপথ অধিক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করা।
  • অসুস্থ রেল যাত্রীদের রেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ।
  • আন্তঃদেশীয় ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
  • ভ্রমণকারী ভিআইপি/ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
  • অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করা।
  • গণ-উপদ্রব সৃষ্টিকারী এবং সংক্রামক ব্যাধি আক্রান্ত ব্যক্তিদের রেল ভ্রমণে বিরত রাখা।
  • ভিক্ষুক ও অবাঞ্চিতদের উপদ্রব থেকে রেল স্টেশন মুক্ত রাখা।
  • মানব পাচার প্রতিরোধ করণ এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • মাদক দ্রব্য ও চোরাচালানীর পণ্য পরিবহন ও পাচার প্রতিরোধকরণ।
  • প্রয়োজনে তদন্তে পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সহিত সমন্বয়।
  • জাতীয় জরুরী সেবা ’৯৯৯’ এর মাধ্যমে চলন্ত ট্রেনে কিংবা রেলওয়ে পুলিশের অধিক্ষেত্রে যেকোন ধরনের পুলিশিং সেবা প্রদান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

৫. আহমেদ আমিন চৌধুরী, ২০১১, ’বাংলাদেশ পুলিশ উত্তরাধিকার ও ব্যবস্থাপনা’, খোশরোজ কিতাব মহল, পৃঃ-১৫৪-১৫৫)

৬. এম. আফজাল হোসেন, সেপ্টেম্বর ২০১৯, ’গণ খওঋঊ‘,  পৃঃ-৭৮-৭৯)