চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

স্থানাঙ্ক: ২২°২২′০″ উত্তর ৯১°৪৭′৪৬″ পূর্ব / ২২.৩৬৬৬৭° উত্তর ৯১.৭৯৬১১° পূর্ব / 22.36667; 91.79611
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ফটক
খোলার তারিখ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯[১]
অবস্থানফয়েজ লেক, খুলশী, চট্টগ্রাম
স্থানাঙ্ক২২°২২′০″ উত্তর ৯১°৪৭′৪৬″ পূর্ব / ২২.৩৬৬৬৭° উত্তর ৯১.৭৯৬১১° পূর্ব / 22.36667; 91.79611
আয়তন১০.২ একর
প্রাণীর সংখ্যা৬৫৭[২]
প্রজাতির সংখ্যা৬৬[২]
বার্ষিক পরিদর্শক১,০০০,০০০[১]
প্রধান প্রদর্শনসমূহ ভারতীয় সিংহ, এশিয়ান কালো ভাল্লুক, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ
স্বত্বাধিকারীগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ওয়েবসাইট[১]
মানচিত্র

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত চিড়িয়াখানা[৩] এটি শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে পাহাড়তলী ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাহাড়ের পাদদেশে ১০.২ একর ভূমির উপর অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালে, চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান এবং চট্টগ্রামের অন্যান্য অভিজাত ব্যক্তিবর্গ প্রাথমিকভাবে ফয়েজ লেকে চিত্তবিনোদন, শিক্ষা এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।[১][৪] পরবর্তিতে ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এই চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়।[২][৫] প্রথমদিকে এক টিকিটেই চিড়িয়াখানা এবং ফয়েজ লেকে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও ১৯৯৫ সালে দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি বাড়তি লাভের বিষয়টি বিবেচনা করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুইটি আলাদা গেটে পৃথক টিকিটের মাধ্যমে প্রবেশের ব্যবস্থা করে। ১৯৮৯ সালে চিড়িয়াখানা উদ্বোধনের পর টিকিটের মূল্য ছিল ১ টাকা। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করা হয় ২ টাকা এভাবে পশু-পাখির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে টিকিটের দামও। বর্তমানে প্রতি টিকিটের দাম ৭০ টাকা।[৬]

জীবজন্তু[সম্পাদনা]

বর্তমানে এখানে ৬৬ প্রজাতির সর্বমোট ৬৫৭ টি প্রাণী রয়েছে; যার মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৮ প্রজাতির পাখি এবং ৪ প্রজাতির সরীসৃপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্যারা হরিণ, ধনেশ, তিতির, মুখপোড়া হনুমান প্রভৃতি।[৪]

২০১৫ সালে, এই চিড়িয়াখানায় সর্বমোট প্রাণীর সংখ্যা ছিল ৩২০।[২]

বিভাগ প্রজাতির সংখ্যা প্রাণীর সংখ্যা
স্তন্যপায়ী ২৮ -
পাখি ৩৫ -
সরীসৃপ -
সর্বমোট ৬৬ ৬৫৭[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"উইকিম্যাপিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭ 
  2. Uddin, Minhaj (৮ মার্চ ২০১৫)। "Sharp decline of visitors at Chittagong Zoo"The Daily StarChittagong। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২২, ২০১৬ 
  3. "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"। tripadvisor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭ 
  4. "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা"chittagong.gov.bdচট্টগ্রাম: chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. হাজার বছরের চট্টগ্রাম, দৈনিক আজাদী ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেস সংখ্যা, নভেম্বর ১৯৯৫, চট্টগ্রাম
  6. কাশেম শাহ (আগস্ট ১৭, ২০১৪)। "চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা : এখনো আগের মতোই"দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রা্ম। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]