কালুখালী–গোবরা লাইন
কালুখালী-গোবরা লাইন | |
---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
স্থিতি | সক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অঞ্চল | বাংলাদেশ |
বিরতিস্থল | |
স্টেশন | ১৮ |
পরিষেবা | |
ধরন | বাংলাদেশের রেললাইন |
পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
ইতিহাস | |
চালু |
|
কারিগরি তথ্য | |
ট্র্যাক গেজ | ব্রডগেজ ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) |
চালন গতি | ৮০ |
কালুখালী-গোবরা লাইন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ব্রডগেজ লাইন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃক এই লাইনটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি কু্ষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রেললাইন তৈরি করা হয়। এই লাইনের শাখা হিসেবে রাজবাড়ির কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ ১৯৩২ সালে চালু করা হয়। পরে লোকসানের অজুহাতে ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলরুটে ৩২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলপথ উদ্বোধন করেন ও ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস চালু করেন।[১] পরে কাসিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত রেললাইন ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর মাধ্যমে নতুন রেলপথটি ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর চালু করা হয়।[২]
ঘাট লাইন
[সম্পাদনা]কামারখালী ঘাট
[সম্পাদনা]দক্ষিণাঞ্চলের বাঁশ বেত পাট বহনের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজবাড়ীর কালুখালী ঘাট থেকে ভাটিয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করা হয়। একই সময়ে আরও একটি শাখা লাইন মধুখালী থেকে কামারখালী ঘাট (মধুমতি নদীর ঘাট) পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এ সময় লাইনটি এলাকার অধিবাসীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই শাখা লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সরকার মধুখালী থেকে কামারখালী ঘাট হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ শুরু করে।[৩]
ভাটিয়াপাড়া ঘাট
[সম্পাদনা]১৮৭১ সালে তৈরি কু্ষ্টিয়া-গোয়ালন্দ ঘাট লাইনের শাখা হিসেবে কালুখালী থেকে এই (ভাটিয়াপাড়া) ঘাট পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হয় ১৯৩২ সালে।[৪][৫]
স্টেশন তালিকা
[সম্পাদনা]কালুখালী-গোবরা লাইনে থাকা স্টেশন গুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- কালুখালী জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- রামদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- বহরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- আড়কান্দি রেলওয়ে স্টেশন
- নলিয়াগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
- মধুখালী রেলওয়ে স্টেশন
- ঘোড়াখালী রেলওয়ে স্টেশন
- সাতৈর রেলওয়ে স্টেশন
- বোয়ালমারী রেলওয়ে স্টেশন
- সহস্রাইল রেলওয়ে স্টেশন
- ব্যাসপুর রেলওয়ে স্টেশন
- কাশিয়ানী রেলওয়ে স্টেশন
- চাপতা রেলওয়ে স্টেশন
- ছোট বাহিরবাগ রেলওয়ে স্টেশন
- চন্দ্র দিঘলিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- বোড়াশী রেলওয়ে স্টেশন
- গোবরা রেলওয়ে স্টেশন
(ঘাট স্টেশন)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সাত রেলস্টেশন চালুর খবর নেই"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২।
- ↑ "চালু হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২২।
- ↑ "মধুখালী-মাগুরায় নির্মিত হচ্ছে ব্রডগেজ রেলপথ"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "ট্রেন যাবে গোপালগঞ্জ, উদ্বোধন কাল | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০২০-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "কাশিয়ানী-টুঙ্গিপাড়া রেলপথ প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে"। www.bhorerkagoj.com। ২০২০-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।