শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু
শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু বা কুমারখালী সেতু কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই নদীর উপরে নির্মিত একটি সেতু।[১][২][৩] অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সেতুটি কুষ্টিয়া জেলা সহ পার্শ্ববর্তী সকল জেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[৪] এটি গড়াই নদীর উপর নির্মিত ৩য় সড়ক সেতু।
শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫১′০২″ উত্তর ৮৯°১৪′১৬″ পূর্ব / ২৩.৮৫০৪৮৮৫° উত্তর ৮৯.২৩৭৮৬১৭° পূর্ব |
বহন করে | যানবাহন |
অতিক্রম করে | গড়াই নদী |
স্থান | কুমারখালী, কুষ্টিয়া জেলা |
শুরু | কুমারখালী শহর |
সমাপ্তি | লালন বাজার |
যার নামে নামকরণ | গোলাম কিবরিয়া (কুষ্টিয়ার রাজনীতিবিদ) |
রক্ষণাবেক্ষক | সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুষ্টিয়া |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৬৫০ মিটার (০.৬৫ কিমি)[৫] |
প্রস্থ | ৯.৮০ মিটার[৫] |
স্প্যানের সংখ্যা | ১৩[৫] |
লেনের সংখ্যা | ২ |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ১৭ এপ্রিল ২০১৯[৫][১] |
নির্মাণ ব্যয় | ৮৯ কোটি ৯১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৯১ টাকা[৫][১] |
চালু | ২৮ জুন ২০২৩[৫] |
পরিসংখ্যান | |
টোল | নাই |
অবস্থান | |
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ সালে সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।[৫][৬]
২০২৩ সালের ২৮ জুন কুষ্টিয়া ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ সেতুটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন।[৫]
সেতুটি নির্মাণে ৮৯ কোটি ৯১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৯১ টাকা ব্যয় হয়েছে।[১][৫]
নামকরণ
[সম্পাদনা]গোলাম কিবরিয়া কুষ্টিয়া জেলার একজন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন (৭ মার্চ ১৯৭৩ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪)। তিনি কুমারখালী উপজেলা বাটিকামারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ওনার নামানুসারেই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে।
গুরুত্ব
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া জেলার গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে কুমারখালী উপজেলার অবস্থান। নদীটি উপজেলাকে দুইভাগে ভাগ করে রেখেছে। ১১টি ইউনিয়নের ৬টি দক্ষিণ দিকে এপারে ও ৫টি নদীর উত্তর দিকে। যদুবয়রা, পান্টি, চাঁদপুর, বাগুলাট ও চাপড়া নামের এ পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও নৌকা। ঝড়-বৃষ্টি ও আবহাওয়া খারাপ হলে পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো সাধারন মানুষের। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ছিল একই সমস্যা। বিশেষ করে রোগী পরিবহনে বড় সমস্যা ছিল এলাকার কয়েক লাখ মানুষের। অনেক সময় ঘাটে মারা গেছে রোগীরা। এই সেতু নির্মাণ মাধ্যমে তবে দীর্ঘ ৪ যুগের বেশি সময়ের অপেক্ষার অবসান হয়েছে।[৪]
সেতুটি চালু হওয়ায় শুধু কুষ্টিয়া এবং কুমারখালীবাসীই নয় দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, পাবনা, রাজবাড়ী, নড়াইল সহ প্রায় ১০টি জেলার মানুষ উপকৃত হবে। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধিত হবে।[৭]
গঠন
[সম্পাদনা]অন্যান্য তথ্য-
- পিয়ারের সংখ্যা ১২ টি
- এব্যাটমেন্ট ২ টি
- পাইলের সংখ্যা ১১২ টি
- পিসি গার্ডার ৫২ টি
- পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৩.৫০ মিটার ও ২৬.৫ মিটার
- পাইলের ডায়া ০১ মিটার
- স্প্যান ১৩ টি
- প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার
- মানুষ চলাচলের পথের প্রস্থ সহ সেতুর মোট প্রস্থ ৮.৫৫ মিটার
- সেতুর প্রস্থ ৭.৩০ মিটার
- মানুষ চলাচলের পথের প্রস্থ ১.২৫ মিটার
- দুই পাড়ে মোট এপ্রোচ সড়ক ৮০০ মিটার।
- উত্তর দিকে ৪৫০ মিটার
- দক্ষিণ দিকে ৩৫০ মিটার
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ এসএম রাশেদ, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৬-২৮)। "৯০ কোটি টাকার সেতু উদ্বোধন, গতি আসবে গড়াই নদীপাড়ের অর্থনীতিতে"। সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া (২০২৩-০১-২৯)। "কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে উদ্বোধনের পরদিন সেতু পরিণত হলো ঈদ বিনোদনকেন্দ্রে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ শরিফ বিশ্বাস, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৬-২৮)। "খুলে দেয়া হলো শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু"। চ্যানেল ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ ক খ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৬-২৭)। "শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুর দ্বার খুলছে আজ; দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে কুমারখালীর ৭ লাখ মানুষের"। আন্দোলনের বাজার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ সংবাদদাতা, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) (২০২৩-০৯-২৯)। "অর্থনীতিতে নতুন ভূমিকায় কুমারখালী শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু"। ভোরের ডাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০১৯-০৯-১৫)। "গড়াই নদীর ওপর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।
- ↑ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০২৩-০৬-২৮)। "খুলে দেওয়া হলো গোলাম কিবরিয়া সেতু"। সাম্প্রতিক দেশকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৩।