বিপনী বিতান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিপনী বিতান
মানচিত্র
অবস্থানচট্টগ্রাম
স্থানাঙ্ক২২°২০′০৩″ উত্তর ৯১°৫০′০২″ পূর্ব / ২২.৩৩৪১৯৬৫° উত্তর ৯১.৮৩৩৯৮৫২° পূর্ব / 22.3341965; 91.8339852
ঠিকানানিউ মার্কেট মোড়, জুবিলি সড়ক
চালুর তারিখ১৯৬৪
দোকান ও সেবার সংখ্যা৫১২[১]
তলার সংখ্যা
পার্কিংহ্যাঁ

বিপনী বিতান (নিউ মার্কেট নামে বহুল পরিচিত)[২] চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বাণিজ্যিক বিপনী কেন্দ্র।[৩] এটি নগরীর জুবিলি সড়কে নিউ মার্কেট মোড়ে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালে ৪৫৮টি দোকান নিয়ে বিপনী বিতান যাত্রা শুরু করে। পূর্বে ১৯৫০-এর দশকে চট্টগ্রামের মনোহরী ও বস্ত্রের দোকানগুলির মধ্যে অন্যত্ম ছিল ওয়াদুদ, মালাবার স্টোর্স, চটি স্টোর্স, লাকি স্টোর্স, কাসেম স্টোর্স, প্যারামাউন্ট স্টোর্স, মজুমদার ব্রাদার্স, চন্দ স্টোর্স ও কাশ্মীর স্টোর্স এবং রিয়াজউদ্দীন বাজার ও টেরিবাজার। তবে বিপনী বিতান প্রতিষ্ঠার প্র এসকল বিপণী দ্রুত জনপ্রিয়তা হারায়। এ সময় নগরীর বড় দোকানগুলি বিপনী বিতানে স্থানান্তরিত হয়। স্বাধীনতা-উত্তর কাল থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত রিয়াজউদ্দীন বাজারের পাশাপাশি বিপনী বিতান প্রধান এলাকা ছিল।[৩]

স্থাপনা[সম্পাদনা]

বিপনী বিতানের চারতলা ভবন দুইটি ব্লকে বিভক্ত। ২০২৩ সালে হিসেবে এখানে সর্বমোট ৫১২টি দোকান রয়েছে।[১] এ ব্লকে রয়েছে বন্ত্র, প্রসাধনী সামগ্রী, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, কুটির শিল্প, স্বর্ণ ও ঘড়ি, জুতা, ক্রোকারিজ, স্টুডিও ও ছবি প্রিন্ট সংস্থা, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং, বই ও মনোহরী দোকান, ওষুধ, লন্ড্রি ও হেয়ার ড্রেসিং, উইলারিং, স্ন্যাক্স, বেকারি, হোটেল, পান-নিগারেট এবং নার্সারি। বি ব্লকে শুধু বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ ও মালামালের দোকান রয়েছে।[৩] এছাড়াও রয়েছে মসজিদ, সাইকেল স্ট্যান্ড, ৬টি পে ফোন বুথ, ২টি ব্যাংক। যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৩টি চলমান সিড়ি (এস্কেলেটর)।[৩] ২০১৭ সালে এখানে বহুবতল স্বয়ংক্রিয় গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। সাত তলা বিশিষ্ট এ পার্কিংয়ের প্রত্যেক তলায় রয়েছে ৫টি স্লেট।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সিভয়েস প্রতিবেদক (১৮ এপ্রিল ২০২৩)। "৫৮ বছরেও নিশ্চিত হয়নি চট্টগ্রামের নিউ মার্কেটের অগ্নিনিরাপত্তা"। সিভয়েস। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৩ 
  2. স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (২২ এপ্রিল ২০১৭)। "চার কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টিলেভেল অটোমেটিক কার পার্কিং"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৩ 
  3. খালেদ, মোহাম্মদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। "বিপনী কেন্দ্র"। নগরজীবন। হাজার বছরের চট্টগ্রাম (৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা)। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক: ২৯৫। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]