আখাউড়া-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথ
আখাউড়া–লাকসাম–চট্টগ্রাম রেলপথ হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনস্ত বাংলাদেশের একটি মিটার-গেজ রেলপথ যেটি আখাউড়াকে বন্দর শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই রেলপথের লাকসাম জংশন থেকে একটি শাখা রেলপথ চাঁদপুর এবং আরেকটি নোয়াখালী পর্যন্ত গেছে। তাছাড়া ফেনী জংশন থেকে একটি শাখা রেলপথ বিলোনিয়া পর্যন্ত গিয়ে ভারতের সাথে সংযুক্ত ছিল, তবে ২০২১ সাল অব্দি রেলপথটি বন্ধ অবস্থায় আছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
আসাম থেকে চা চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহনের জন্য রেলপথ নির্মান শুরু হয় ১৮৯১ সালে। ১৮৯৫ সালে চট্টগ্রাম–কুমিল্লা অংশ চালু হয় এরপর ১৮৯৭–৯৮ সালে আখাউড়া হয়ে বদরপুর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপিত হয়। ১৯০৩ সালে লামডিং অংশ চালু হয়।[১][২][৩]
কক্সবাজার ও গুনদুম সংযোগ[সম্পাদনা]
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯৯.৩ কিলোমিটার এবং রামু থেকে মায়ানমারের নিকট গুন্দুম পর্যন্ত ২৮.৯৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। অর্থাৎ প্রকল্পের আওতায় মোট ১২৭.৬৬ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইনকে ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। যে কারণে অবিশ্বাস্যভাবে ব্যয় বাড়ছে। এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে।[৪][৫][৬]
আগরতলা সংযোগ[সম্পাদনা]
ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার আগরতলার সঙ্গে আখাউড়ার মধ্যে রেল সংযোগ ঘটাতে ১৪ কিমি রেলপথ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেল যাবে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন হয়ে সিদ্ধিআশ্রম, বাধারঘাট, চাড়িপারা, নিশ্চিন্তপুর হয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন। সেখান থেকে যাবে আখাউড়া জংশন। নিশ্চিন্তিপুর হবে সীমান্ত রেল স্টেশন। নিশ্চিন্তিপুর থেকে গঙ্গাসাগর স্টেশনে নতুন করে পাতা হবে রেলপথ। সেখান থেকে আগের পথের পাশ ধরে রেল যাবে আখাউড়া জংশন পর্যন্ত।[৭][৮] কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব ১৬৫০ কিলোমিটার। আর এই রেলপথ গঠিত হলে আগরতলা ও কলকাতার দূরত্ব হবে ৫০০ কিমি। এই রেলপথ দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দর ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ত্রিপুরা ও উত্তর-পূর্ব ভারত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Fida, Quazi Abul (২০১২)। "Railway"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।
- ↑ "Report on the administration of North East India (1921–22)"। p. 46। Google Books/ Mttal Publishers Distributors। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ S.N.Singh, Amarendra Narain, Purnendu Kumar। "Socio Economic and Political Problems of Tea Garden Workers: A Study of Assam, Published 2006, ISBN 81-8324-098-4"। p. 105। Mittal Publications, New Delhi। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Work begins on Bangladesh rail link"। Democratic Voice of Burma। ৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Railway to link Cox Bazar"। The Daily Star। ১৫ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Trans-Asian Railway project finally set to take off"। The Daily Star। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Rail Link"। The Telegraph। ৮ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "India approves new railway link with Bangladesh"। Two Circles.net। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১১।