কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, নোয়াখালী

স্থানাঙ্ক: ২২°৫২′২৪″ উত্তর ৯১°১৬′৪৪″ পূর্ব / ২২.৮৭৩৩৩° উত্তর ৯১.২৭৮৮৯° পূর্ব / 22.87333; 91.27889
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলা
মানচিত্রে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, নোয়াখালী
মানচিত্রে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, নোয়াখালী
স্থানাঙ্ক: ২২°৫২′২৪″ উত্তর ৯১°১৬′৪৪″ পূর্ব / ২২.৮৭৩৩৩° উত্তর ৯১.২৭৮৮৯° পূর্ব / 22.87333; 91.27889 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলানোয়াখালী জেলা
সরকার
 • উপজেলা চেয়ারম্যানমোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন
আয়তন
 • মোট৩৮৬ বর্গকিমি (১৪৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৫০,৫৭৯
 • জনঘনত্ব৬৫০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৩৩.৪৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৮৫০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ৭৫ ২১
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালী জেলার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে সেনবাগ উপজেলাফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী সদর উপজেলা, সুবর্ণচর উপজেলাচট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা, পূর্বে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলাচট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলাসন্দ্বীপ উপজেলা, পশ্চিমে নোয়াখালী সদর উপজেলাকবিরহাট উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কোম্পানীগঞ্জ থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বর্তমান সিরাজপুর ইউনিয়নের যুগিদিয়ায় সুলতানী আমলে সমুদ্র বন্দর ছিল বলে ধারণা করা হয় । একই স্থানে পরে নবাবদের আমলে ফরাসিদের কুঠি ছিল । নাম থেকেই বোঝা যায় যে, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা পূর্বে চরাঞ্চল ছিল । মেঘনার মোহনায় সমুদ্র আর বামনী নদীর ভাঙ্গাগড়ায় কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দ্বীপ উপজেলার মানচিত্র কয়েক বছর আগেও পরিবর্তিত হয়েছে । ব্রিটিশ আমলে এই এলাকায় বামনী থানা ছিল (রামপুর ইউনিয়নে)। বামনী ও মুছাপুর নামে সন্দ্বীপেও গ্রাম আছে, সন্দ্বীপ থেকেই নদী ভাঙ্গার কারণে এই দুই এলাকার মানুষ এসেছেন বলে জানা যায়। কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দ্বীপের এই দুই অঞ্চলে এমনকি বিংশ শতকের ষাটের দশক পর্যন্তও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল । সন্দ্বীপের মুছাপুরে জন্ম নেয়া কমরেড মুজফ্ফর আহমদ বামনী মাদ্রাসায় কিছুদিন পড়ালেখা করেছেন । বামনী তথা রামপুর এবং মুছাপুরে এখনো সন্দ্বীপের স্থানীয় অধিবাসী এবং জনৈক বামনীর (ব্রাহ্মণ নারীর) বংশধর হওয়ার দাবিদার গোষ্ঠীর শ্রেণীগত দ্বন্দ্ব্ব বিষয়ক কিংবদন্তি শোনা যায় । এই উত্তরাধিকারের প্রভাবে এখনো ওই এলাকায় সোন্দোবি বা সন্দ্বীপীদের সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা ভাবা হয় । অবশিষ্ট ইউনিয়নগুলো ভাঙ্গাগড়ার নানা ধাপে চরাঞ্চল থেকে ধীরে ধীরে মূল ভূমিতে পরিণত হয় । তাই রামপুর, মুছাপুর ও সিরাজপুরের মত একশত বছরের বেশি পুরনো ইতিহাস পাওয়া এই ইউনিয়নগুলোর ক্ষেত্রে দুস্কর । ১৯৭১ সালে কোম্পানীগঞ্জে হানাদার বাহিনী প্রবেশ করতে না পারলেও রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই হয় । বামনীর মৌলভী মিন্নাত আলীর বেশ কয়েকজন নাতির নেতৃত্বে সারা উপজেলায় রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় । এদের আরেক ভাই রাফিউদ্দিন ছিলেন আলবদর বাহিনীর কেন্দ্রীয় নেতা। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ কমান্ড যুদ্ধ করে । সাথে ছিল বি এল এফ । পার্শবর্তী চাপরাশীর হাটে ঘাঁটি করে মুক্তিযোদ্ধারা চরফকিরা ইউনিয়ন মুক্ত করতে গেলে শহীদ আব্দুর রব, রাজাকারদের অতর্কিত আক্রমণে শহীদ সালেহ আহমেদ সহ কয়েকজন, শেষের দিকে বামনী মুক্ত করতে গিয়ে শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ এবং আরও অনেকে এই উপজেলার যুদ্ধে শহীদ হন।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫টি কলেজ, ৭টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৯টি মাদ্রাসা ও অসংখ্য প্রথমিক বিদ্যালয় রয়েছে যাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: সরকারি মুজিব কলেজ, বসুরহাট, এ এইচ সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাকসুদাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বামনী ডিগ্রি কলেজ, বামনী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌধুরী হাট কলেজ, কবি জসিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, জেতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রভৃতি। এছাড়া নাজিরহাট এ মালেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেশকার হাট উচ্চ বিদ্যালয়, চরকাঁকড়া একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় নামে নামকরা বিদ্যাপিঠের অবস্থান রয়েছে

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

ব্যবসা[সম্পাদনা]

কোম্পানীগঞ্জ বর্তমানে ব্যবসার জন্য অনুকূল স্থান হিসেবে বিবেচ্য। এই অঞ্চলের ব্যবসার মূল কেন্দ্র হচ্ছে বসুরহাট শহর। এখানে প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কম্পিউটার বণিজ্য, ব্যাংকিং, বিমা, আবাসন খাত দ্রুত বর্ধনশীল। এই এলাকার মানুষগণ অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচ্ছল। তাই এটি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয়।

ব্যাংকিং[সম্পাদনা]

এখানে ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক সহ ২২টির মত ব্যাংক আছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক বিমা প্রতিষ্ঠান আছে। বিনিয়োগকারিরা এখানে বিনয়োগের উৎসাহ পাচ্ছেন।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

আবু নাচের চৌধুর, সাবেক এম পি

উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন[সম্পাদনা]

ক্রম নং. পদবী নাম
০১ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন
০২ ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল
০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন
০৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া

জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[২] সংসদ সদস্য[৩][৪][৫][৬][৭] রাজনৈতিক দল
২৭২ নোয়াখালী-৫ কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কোম্পানীগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ 
  2. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd 
  3. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  5. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  6. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  7. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]