হাইমচর উপজেলা
হাইমচর | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে হাইমচর উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩′৪৩″ উত্তর ৯০°৩৮′১৪″ পূর্ব / ২৩.০৬১৯৪° উত্তর ৯০.৬৩৭২২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°৩′৪৩″ উত্তর ৯০°৩৮′১৪″ পূর্ব / ২৩.০৬১৯৪° উত্তর ৯০.৬৩৭২২° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৩৪.১৭ বর্গকিমি (৫১.৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,২৫,১০৮ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৬৬১ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৩ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
হাইমচর বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
আয়তন ও অবস্থান[সম্পাদনা]
হাইমচর উপজেলার আয়তন ১৩৪.১৭ বর্গ কিলোমিটার (৩৩,১৫৪ একর)।[২] এ উপজেলার উত্তরে চাঁদপুর সদর উপজেলা, পূর্বে ফরিদগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণ-পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদী ও বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলা এবং পশ্চিমে শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
হাইমচর উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম হাইমচর থানার আওতাধীন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
জানা যায় হাইমচর ইউনিয়নের সাথে শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট এবং বরিশালের মুলাদী থানার সীমান্ত নির্ধারণের জন্য জটিলতা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় হেম বাবু নামক একজন দক্ষ কালেক্টরেক্ট নিয়োগ করা হয় সঠিক ভাবে সীমানা নির্ধারণের জন্য তিনি দক্ষতার সাথে তিনটি জেলার সীমানা নির্ধারণ করেন।অন্য একটি মত পাওয়া যায় যে, বিক্রমপুরের একজন জমিদারের অত্র এলাকায় একটি ছোট জমিদারী স্টেট ছিল। তার নামানুসারে হেম বাবুর চর হিসাবে অত্র এলাকার নাম হাইমচর হয়েছে।
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হাইমচর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,০৯,৫৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩,৬৫১ জন এবং মহিলা ৫৫,৯২৪ জন। মোট পরিবার ২৪,৯০৩টি।[২]
শিক্ষা[সম্পাদনা]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হাইমচর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৪৮.১%।[২]
ক্রমিক নং | প্রতিষ্ঠান | মোট সংখ্যা |
---|---|---|
১ | মহাবিদ্যালয়(বে-সরকারি) | ০২টি |
২ | উচচ বিদ্যালয় সরকারি | ০২টি |
৩ | উচচ বিদ্যালয় বে-সরকারি | ১০টি |
৪ | উচ্চ বিদ্যালয় বালক | ০৮টি |
৫ | উচচ বিদ্যালয় বালিকা | ০৩টি |
৬ | নিমণমাধ্যমিক বিদ্যালয় | ০২টি |
৭ | মাদ্রাসা বে-সরকারি | ১৩টি |
৮ | সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ৬৭টি |
৯ | কেজি প্রাথমিক বিদ্যালয় | ১২টি |
১০ | এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় | ০৩টি |
১১ | ব্রাক স্কুল | ০২টি |
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
হাইমচর উপজেলা এক সময় জেলা বৃহৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। যেহেতু ইহা নদীর তীরে অবস্থিত সেহেতু বিভিন্ন কৃষি পণ্যের জমজমাট বাজার বসত এখানে। প্রমত্ত মেঘনা ভাঙ্গনে হাইমচর সেই ঐতিহ্য হারিয়েছে।
হাটবাজার[সম্পাদনা]
বাংলা বাজারচরভৈরবী বাজার |
আলগী বাজার |
হাইমচর বাজার |
জনতা বাজার
হাওলাদার বাজার |
ঈশানবালা বাজার |
বাহেরচর মিয়ার বাজার |
রায়ের বাজার |
চৌধুরী বাজার |
ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন (আসকা) মার্কেট |
গাজীর বাজার |
আনন্দ বাজার |
কাটাখালী বাজার |
নয়ানী নতুন বাজার |
মধ্যচর নীলকমল বাজার |
সাহেবগঞ্জ বাজার |
গরম বাজার |
টমটম ব্রিজ |
নদ-নদী[সম্পাদনা]
হাইমচর উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদী পদ্মা, মেঘনা। হাইমচর উপজেলা টি পদ্মা-মেঘনার মিলন স্থলে অবস্থিত। নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাধ নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়। নদীতে মাছ ধরে এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পদ্মা-মেঘনা নদী এ জনপদের মানুষের দুঃখের মূল কারণ। ক্রমশই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে এখানকার ঘর-বাড়ি। ঘর-বাড়ি হারিয়ে এখানকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে।
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬২ চাঁদপুর-৩ | চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং হাইমচর উপজেলা | দীপু মনি | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে হাইমচর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ ক খ গ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "এক নজরে হাইমচর উপজেলা"। haimchar.chandpur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |