ফরিদগঞ্জ উপজেলা
ফরিদগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ফরিদগঞ্জ উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৭′১৫″ উত্তর ৯০°৪৪′৪১″ পূর্ব / ২৩.১২০৮৩° উত্তর ৯০.৭৪৪৭২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°৭′১৫″ উত্তর ৯০°৪৪′৪১″ পূর্ব / ২৩.১২০৮৩° উত্তর ৯০.৭৪৪৭২° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৩১.৫৪ কিমি২ (৮৯.৪০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ৩,৭৪,৭৬০ |
• জনঘনত্ব | ১৬০০/কিমি২ (৪২০০/বর্গমাইল) |
স্বাক্ষরতার হার(২০০১ জরিপ) | |
• মোট | ৫৮% শহর ৬২.৪৬% , গ্রাম ৫৩.৪৬% (২০০১) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ফরিদগঞ্জ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ এবং চাঁদপুর জেলা এর একটি উপজেলা। ফরিদগঞ্জ এর উত্তরে চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে রায়পুর উপজেলা, পূর্বে রামগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে হাইমচর ও চাঁদপুর সদর উপজেলা অবস্থিত। ৭ অক্টোবর ১৯১৮ সালে ফরিদগঞ্জ থানা হিসেবে গঠিত হয়। বর্তমানে এটি একটি উপজেলা।
পরিচ্ছেদসমূহ
অবস্থান[সম্পাদনা]
ফরিদগঞ্জ উপজেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলায় অবস্থিত। সমতল ভূমি এই উপজেলার মধ্য দিয়ে ডাকাতিয়া নদী প্রবাহিত হয়েছে। এ উপজেলার আয়তন ২৩১.৫৪ বর্গ কি.মি.। ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তরে চাঁদপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে রামগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে হাইমচর উপজেলার অবস্থান।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বর্তমান ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৯১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থানা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছিল। এ উপজেলার নাম কেন ফরিদগঞ্জ হওয়ার পেছনে বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত আছে। যার মধ্যে রয়েছে-
- অনেক পূর্বে শেখ ফরিদ নামে একজন বিখ্যাত মুসলিম সাধক এই এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করে বহু মানুষকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। অনেকের মতে, উক্ত সাধকের নামানুসারে এই এলাকার নাম রাখা হয়েছিল ফরিদগঞ্জ।
- পূর্বে এ এলাকায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র ছিল না। তবে এই এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদী পথে অনেক ব্যবসায়ীর যাতায়াত ছিল। তারা অনেক সময় রাত্রি যাপনের স্থান হিসাবে এই এলাকাটিকে সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য স্থান মনে করে এখানে রাত্রি যাপন করত। এলাকায় তৎকালীন জমিদার স্থানীয় জনগণের সুবিধার্থে এই এলাকায় একটি ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় জনগণকে উৎসাহিত করেছিলেন। তার উৎসাহে সবচেয়ে বেশী উৎসাহিত হয়েছিলেন ফরিদ আলী নামে একজন ব্যবসায়ী। জনসাধারণকে আরো উৎসাহিত করার মানষে জমিদার উক্ত ফরিদ আলীর নামানুসারে বাজারটির নামকরণ করেছিলেন ফরিদগঞ্জ।
- এই উপজেলার অন্তর্গত তৎকালীন রূপসার জমিদারের প্রতাপ ছিল বেশী। তার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন ফরিদা বানু। জমিদার স্নেহবশে ফরিদা বানুর নামানুসারে এলাকাটির নামকরণ করেন।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
এখানে মোট ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে; এগুরো হলোঃ ১ নং বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়ন,২ নং বালিথুবা (পূর্ব) ইউনিয়ন, সুবিদপুর(পূর্ব) ইউনিয়ন, সুবিদপুর (পশ্চিম) ইউনিয়ন, গুপ্টি (পূর্ব) ইউনিয়ন, গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়ন, পাইকপাড়া (উত্তর) ইউনিয়ন, পাইকপাড়া (দক্ষিণ) ইউনিয়ন, গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়ন, গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়ন, ১১ নং চরদুঃখিয়া (পূর্ব) ইউনিয়ন, ১২ নং চরদুঃখিয়া(পশ্চিম) ইউনিয়ন ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়ন, রূপসা (উত্তর) ইউনিয়ন ও রূপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন।
প্রশাসনিক স্থাপনা[সম্পাদনা]
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ভবন
- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়
- উপজেলা শিক্ষা অফিস
- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস
- উপজেলা রিসোর্স সেন্টার
- উপজেলা পোস্ট-ই সেন্টার
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৭৪,৭৬০ জন। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৫০৪ জন। এই উপজেলায় হিন্দু, মুসলমান বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান চার সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। তবে মুসলমানদের সংখ্যা পরিমাণে বেশি। এখানে শতকরা ৯০ ভাগ লোক মুসলমান, ৮ ভাগ হিন্দু, আর বাকী ২ ভাগ বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাউল বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই এলাকায় অতি পরিচিত। তাদের আশ্রমের নাম অধিকারী ঠাকুরের সেবাশ্রম।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় শহর এলাকায় শিক্ষার হার ৬২.৪৬% আর গ্রাম এলাকায় শিক্ষার হার ৫৩.৬৪%। [২]
চিকিৎসা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
- উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪টি:-
১২নং চরদুঃখিয়া(পঃ) [দিঘিরপাড়] উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৫নং রূপসা (উঃ) রূপসা,উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৮নং পাইকপাড়া (দঃ) কড়ৈতলীউপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ৫নং গুপ্টি (পূঃ) আষ্টা, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
- কমিউনিটি ক্লিনিক মোট ১১টি:-
সরখাল, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-১। শোশাইরচর, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-০২। দেইচর, ইউঃ ০২, ওয়ার্ড-০৩। কৃষ্ণপুর, ইউঃ০২, ওয়ার্ড-০৩। ষোলদানা, ইউঃ ০৬, ওয়ার্ড-০১। আদসা, ইউঃ ০৬, ওয়ার্ড-০১। কেরোয়া, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০১। নোয়াগাঁ, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০২। সাফুয়া, ইউঃ ১৩, ওয়ার্ড-০৩। পোঁয়া, ইউঃ১৪, ওয়ার্ড-০১। চরবড়ালী, ইউঃ ১৪, ওয়ার্ড-০২। [৩]
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
ফরিদগঞ্জ উপজেলার অর্থনীতি বৈদেশিক রেমিটেন্স এবং কৃষি নির্ভরশীল। জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪২.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ২.৬৪%, শিল্প ০.৮৬%, ব্যবসা ১৫.২৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৬৩%, চাকরি ১৩.৮০%, নির্মাণ ৩.৫০%, ধর্মীয় সেবা ০.৪৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৫.৩৯% অন্যান্য ১২.৬১%।
কৃতী ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- দেলোয়ার হোসাইন নান্নু পাটোয়ারী-বীর মুক্তিযোদ্ধা
- মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী -সিআইপি, প্রতিষ্ঠাতা আম্বিয়া ইউনুস ফাউন্ডেশন,
- খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী।
- ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান, গবেষক, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও শিক্ষক।
- নূরেজ্জামান ভুঁইয়া, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষক।
- আইউব আলী খান, শিক্ষক, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ।
- লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী (৮ নং সেক্টর কমান্ডার)
- দেলোয়ার হোসেন (বীর প্রতীক)
- আবুল হোসেন (বীর প্রতীক)
- ফারুক আহমদ পাটোয়ারী
- মোহাম্মদ আবদুল হাকিম
- মোহাম্মদ বজলুল গণি পাটোয়ারী
- আবদুল জব্বার পাটোয়ারী
- আমিন উল্লাহ শেখ (বীর বিক্রম)
- এম এ মাওলানা আবদুল মান্নান, সাবেক ধর্ম মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক।
- শান্তনু কায়সার, সাহিত্যিক।
- হাশেম খান (খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী)
- আলমগীর হায়দার (৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য)
- লায়ন হারুনুর রশীদ, (সাবেক সংসদ সদস্য)
- শামছুল হক ভূঁইয়া
- এম সফিউল্লাহ (বীর মুক্তিযোদ্ধা,সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাদঁপুর জেলা,মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তী আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত প্রথম সংসদ সদস্য)
- ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিবাহিনীর বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার এবং রাজনীতিবিদ।
- আমেনা বেগম, রাজনীতিবিদ।
- সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।
- সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।
বিবিধ[সম্পাদনা]
- নির্বাচন এলাকা ২৬৩,
- সংসদীয় আসন চাঁদপুর-৪ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা)
- ইউনিয়ন ১৬টি (ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ)
- গ্রাম ১৭৫ টি
- ১টি পৌরসভা, (ফরিদগঞ্জ পৌরসভা)
- ৩৮টি পোস্ট অফিস
- ২০+টি ব্যাংক।
- ৪৫ টি বাজার , গ্রামের হাট।
ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নির্দশন[সম্পাদনা]
- পর্তুগীজ দুর্গ, সাহেবগঞ্জ ( সাহেবগঞ্জ, রূপসা ইউনিয়ন)
- রূপসা জমিদার বাড়ি (ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্বে রূপসা গ্রামে)
- লোহাগড় মঠ (চান্দ্রা বাজারের দক্ষিণ পশ্চিমে লোহাগড় গ্রামে)
- কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি (বাবুর বাড়ি)
- ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য (ফরিদগঞ্জ-রূপসা-রায়পুর রাস্তার মোড়ে)
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |