ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
ব্রাহ্মণপাড়া | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৭′৭″ উত্তর ৯১°৬′৪১″ পূর্ব / ২৩.৬১৮৬১° উত্তর ৯১.১১১৩৯° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কুমিল্লা জেলা |
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ | ২৫৩ কুমিল্লা-৫ |
সরকার | |
• জাতীয় সংসদ সদস্য | আবুল হাশেম খান (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | মুহাম্মদ আবু জাহের |
আয়তন | |
• মোট | ১২৮.৯ বর্গকিমি (৪৯.৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,০২,৩১১ |
• জনঘনত্ব | ১,৬০০/বর্গকিমি (৪,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৭.৩৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৯ ১৫ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ব্রাহ্মণপাড়া বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[২][৩]
অবস্থান[সম্পাদনা]
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৩°৬১' এবং ৯১°১১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে বুড়িচং উপজেলা, পশ্চিমে দেবিদ্বার উপজেলা ও মুরাদনগর উপজেলা, উত্তরে ও উত্তর-পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। ব্রাহ্মণপাড়ার সাথে ভারতের দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার সীমান্ত।[৩][৩]
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্রাহ্মণপাড়া থানার আওতাধীন।
- ১নং মাধবপুর
- ২নং শিদলাই
- ৩নং চান্দলা
- ৪নং শশীদল
- ৫নং দুলালপুর
- ৬নং ব্রাহ্মণপাড়া সদর
- ৭নং সাহেবাবাদ
- ৮নং মালাপাড়া
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ব্রাহ্মণপাড়া একটি প্রাচীন জনপদ। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটিশ আমলে তা কসবা থানার অন্তভূক্ত ছিল। ১৯৫৪ সালে তা বুড়িচং থানার অন্তভূক্ত হয়। ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণপাড়া ফাঁড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৬ সালে বুড়িচং হতে আলাদা হয়ে প্রশাসনিক থানায় রূপ লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলশ্রুতিতে উন্নয়নের প্রয়োজনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় উন্নীত হয়।
জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি হতে দড়িয়ার পাড় হয়ে ষাইটশালা পযর্ন্ত যে নিচু ভূমি বর্তমানে পরিলক্ষিতহয় তা জুড়ে মোঘল আমলে (সম্ভবত বাদশাহ শাহ আলমের শাসনামলে ১৭৫৯ সাল) কালিদাহ সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলে ঘুংঘুর নদীর পূর্ব তীরে ইংরেজ কোম্পানীল বেনিয়ারা সতের শতকের গোড়ার দিকে বর্তমান উপজেলার এক কিলোমিটার দক্ষিণে বলদা (সাহেবাবাদ) মৌজার এক উচু স্থানে ব্যবসায়িক কুঠি স্থাপন করে। কোম্পানীর হিসাব রক্ষণের জন্য বারা নসী কাশি মুন্সি নামক একজন কান্যকুট ব্রাহ্মণ হিসাব রক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে। ব্রাহ্মণ মহাশয়ের বসতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানীর খাতায় এ স্থানের নাম ব্রাহ্মণপাড়া হিসেবে লিপিবদ্ধ নাম হয়। সেই থেকে এ উপজেলার নাম ব্রাহ্মণপাড়া হয়েছে।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
শিক্ষা[সম্পাদনা]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০ সালে) প্রতিষ্ঠা
- নাগাইশ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ।
- জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা।(ব্রাক্ষ্মণপাড়া)
- ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৪৫ সালে)
- জিরুইন বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়
- সাহেবাবাদ ডিগ্রি মাদ্রাসা (১৯১৯)
- সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়,
- বালিনা আলীম মাদ্রাসা
- দুলালপুর এসএম এন্ড উচ্চ বিদ্যালয়
- মহালক্ষ্মীপাড়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা,
- মহালক্ষ্মীপাড়া শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
- চান্দলা কেবি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ,
- চান্দলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
- মালাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়,
- টাকই উচ্চ বিদ্যালয়,
- বড়ভাঙাইন্না (টাকই) ফৌজিয়া দাখিল মাদ্রাসা,
- বড়ধুশিয়া আদর্শ কলেজ
- শশীদল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজ
- ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,
- শিদলাই নাজনীন হাইস্কুল,
- ষাইটশালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ,
- মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
- প্রফেসার সেকান্দর আলী বালিকা বিদ্যালয়(১৯৮৯ সালে)
- শিদলাই আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়,
- শিদলাই আমির হোসেন যোবেদা ডিগ্রি কলেজ।
- গোপালনগর আদর্শ কলেজ,,
- গোপালনগর বি এ বি উচ্চ বিদ্যালয়।
- বেজুরা শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।
- দীর্ঘভুমি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়।
- বেড়াখলা আব্দুল মতিন খসরু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
- পোমকাড়া ছিদ্দিকুর রহমান এন্ড হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়।
- শাহজালাল মোল্লা কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ, শিদলাই, বি-পাড়া।
- নাগাইশ জাহিদুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়
- ইসলামাবাদ আলিম মাদরাসা(১৯৩৫)
হরিমঙ্গল,বি-পাড়া।
অর্থনৈতি[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]
- মেজর (অব:) আবদুল গনি - ইস্ট বেঈল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা;
- আলি নওয়াজ প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান,বাংলা বিভাগ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- অধ্যাপক শব্দর আলী, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান,ইংরেজি বিভাগ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- আজিজুল হক সরকার (রাজনীতিবিদ) সাবেক কৃষি মন্ত্রী;
- ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ - আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী;
- এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু - সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী;আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য
- ডঃ সিরাজুল ইসলাম, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
- প্রফেসর মোঃআবু তাহের,প্রাক্তন অধ্যক্ষ,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
- ইউসুফ ভুইয়া, প্রাক্তন মুখ্য সচিব।
- এ্যাডভোকেট আমির হোসেন - সাবেক এমপি;
- বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিচালক আইজিপি আবদুল খালেক
- খাজা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, বীর উত্তম
- আবদুর রউফ, প্রাক্তন আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।
- বীর প্রতিক মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ,প্রাক্তন মহাসচিব কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল
- শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান,
- আশরাফ হোসেন,জাতীয় সংসদের হুইফ
- মুজিবর রহমান মজু, সাবেক এমপি।
- মতিউল ইসলাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী জেলা।
- মোঃ এনামুল হক, জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ জেলা।
- আবদুল বারেক, বীর বিক্রম।
- সুবেদার আবদুল মান্নান ;বীর বিক্রম।
ভাষা ও সংষ্কৃতি[সম্পাদনা]
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত ঢাকা অঞ্চলের ভাষার, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উাজেলার আঞ্চলিক ভাষায় নোয়াখালী এলাকার ভাষার অনেকটাই সামজ্ঞ্জস্য রয়েছে। মেঘনা-গোমতী নদীর গতি প্রকৃতি এবং লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যেসব সরকারি সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ব্রাহ্মণপাড়ায় কাজ করছে সেগুলো হলোঃ
- উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণপাড়া
- সরকারী গণ গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণপাড়া
খেলাধুলা ও বিনোদন[সম্পাদনা]
উপজেলা পর্যায়ে ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ খেলার মাঠ । মাঠটি উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে বাসষ্ট্যান্ড-এর পাশে অবস্থিত। প্রাতি বছর এ মাঠে নিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১. বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রা: বিদ্যা: ফুটবল টুর্নামেন্ট ২. আন্ত. ক্রীড়া প্রা. বিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতা ৩. শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৪. গ্রীস্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
দর্শনীয় স্থান.[সম্পাদনা]
- কুমিল্লা জেলার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দরিয়ারপাড় ঈদগাহ ময়দান একসাথে অর্ধলক্ষ মানুষ নামাজ পড়তে পারে।
- উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার।খুব মনোরম পরিবেশ।
- চান্দলা শিব মন্দির, হিন্দুদের তীর্থস্থান।
- সালদানদী রেলস্টেশন সাথে ভারতের সিমান্ত পাহারগেসা মনোরম পরিবেশ।
- গোমতী নদী আইল। প্রাকৃতিক পরিবেশ।
- উত্তর তেতাভূমি জমিদার বাড়ি
- নুরুন্নবী বড় ফিসারী (নাইঘর)
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৫৩ কুমিল্লা-৫ | ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এবং বুড়িচং উপজেলা | আবুল হাশেম খান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
==তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ব্রাহ্মণপাড়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা"। brahmanpara.comilla.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ ক খ গ "ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
