মওদুদ আহমেদ
{{Infobox Officeholder
| name = মোঃ তানভীর ইফতু
| image = মোঃ তানভীর ইফতু(01).jpg
| office1 = বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি
| president1 = [[হুসেইন মুহাম্মদ আজিজ
| term_start1 = জানুয়ারি ২০২৩
| term_end1 =
| predecessor1 = এ কে এম নূরুল ইসলাম
| successor1 = শাহাবুদ্দিন আহমেদ
| office2 = বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
| president2 = হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
| term_start2 = ২৭ মার্চ ১৯৮৮
| term_end2 = ১২ আগস্ট ১৯৮৯
| predecessor2 = মিজানুর রহমান চৌধুরী
| successor2 = কাজী জাফর আহমেদ
| office3 = আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
| primeminister3 = বেগম খালেদা জিয়া
| term_start3 = ২০০১
| term_end3 = ২০০৬
| predecessor3 = আব্দুল মতিন খসরু
| successor3 = শফিক আহমেদ
| birth_date = ১৪ মে ১৯৪০
| birth_place = নোয়াখালী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
| death_date = ১৬ মার্চ ২০২১ (বয়স ৮০)
| death_place = মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর
| party = বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৭৮–১৯৮৪),(১৯৯৬–২০২১)
| otherparty = জাতীয় পার্টি (১৯৮৪–১৯৯৬)
| alma_mater = ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
| spouse = হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ
| citizenship = ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ (১৯৭১–২০২১)
}}
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ (২৪ মে ১৯৪০ – ১৬ মার্চ ২০২১) ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক সাংসদ[১] ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
জন্ম[সম্পাদনা]
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে ব্রিটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন।
রাজনীতি[সম্পাদনা]
১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন[২] এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩] ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এই দলের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টির সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সরকারে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]
জিয়াউর রহমান, বেগম জিয়া ও হুেসইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের শাসনামলে মওদুদ আহমেদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
- শিল্প মন্ত্রণালয়
- পরিকল্পনা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
- বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়
- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
- বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়
- যোগাযোগ ও রেলযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন মন্ত্রণালয়
অষ্টম জাতীয় সংসদে মওদুদ আহমেদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
মওদুদ আহমদ ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরে ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে ৬.৩০ মিনিট নাগাদ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।[৫][৬][৭]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "মওদুদ আহমদ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "মওদুদ আহমেদ: বিএনপি নেতা ও আইনজীবী সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন"। BBC News Bangla। ১৬ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ "মওদুদ আহমদ আর নেই"। যুগান্তর। ১৬ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ "ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন"। চ্যানেল আই অনলাইন। ১৬ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০২১।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
পূর্বসূরী: মিজানুর রহমান চৌধুরী |
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৭ মার্চ ১৯৮৮ - ১২ আগস্ট ১৯৮৯ |
উত্তরসূরী: কাজী জাফর আহমেদ |
পূর্বসূরী: এ কে এম নূরুল ইসলাম সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ |
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ২৬ আগস্ট ১৯৮৯ – ২ মে ১৯৯০ ১০ অক্টোবর ২০০১ – ১২৮ অক্টোবর ২০০৬ |
উত্তরসূরী: হাবিবুল ইসলাম ভূঁইয়া সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ |
- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশী আইনজীবী
- ১৯৪০-এ জন্ম
- নোয়াখালী জেলার রাজনীতিবিদ
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য
- বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ
- দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
- বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী
- ২০২১-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্য
- নবম জাতীয় সংসদ সদস্য