সোনাইমুড়ি উপজেলা
সোনাইমুড়ি | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে সোনাইমুড়ি উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২′১৮″ উত্তর ৯১°৬′৩০″ পূর্ব / ২৩.০৩৮৩৩° উত্তর ৯১.১০৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | নোয়াখালী জেলা |
সরকার | |
• উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান | খন্দকার রুহুল আমিন (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১৭০.৪২ বর্গকিমি (৬৫.৮০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৯০,৮৪৬ |
• জনঘনত্ব | ১,৭০০/বর্গকিমি (৪,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫.৭৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৮২৭ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৭৫ ৮৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
সোনাইমুড়ি উপজেলা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা, এটি ২০০৫ সালে গঠিত হয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলা ভেঙ্গে সোনাইমুড়ি উপজেলা গঠিত হয়েছে।
অবস্থান[সম্পাদনা]
আয়তন: ১৭০.৪২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°০২´ থেকে ২৩°০৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°০০´ থেকে ৯১°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।[২] এ উপজেলার পশ্চিমে চাটখিল উপজেলা, দক্ষিণে বেগমগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে সেনবাগ উপজেলা এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
সোনাইমুড়ি উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সোনাইমুড়ি থানার আওতাধীন।
- ১নং জয়াগ
- ২নং নদনা
- ৩নং চাষীরহাট
- ৪নং বারগাঁও
- ৫নং অম্বরনগর
- ৬নং নাটেশ্বর
- ৭নং বজরা
- ৮নং সোনাপুর
- ৯নং দেওটি
- ১০নং আমিশাপাড়া
ইতিহাস[সম্পাদনা]
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ[সম্পাদনা]
বজরা শাহী জামে মসজিদ (১১৫৩ হিজরী),
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালে এ উপজেলা ২ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ২১ এপ্রিল সোনাইমুড়ি রেলস্টেশনের আউটার সিগনালের কাছে এবং ১১ মে সোনাইমুড়ির বগাদিয়া নামক স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াইয়ে প্রায় ২০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এছাড়াও এ লড়াইয়ে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৭ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
মসজিদ ১৬৫, উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: বজরা শাহী জামে মসজিদ, সোনাইমুড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নদনা জামে মসজিদ, উত্তর শাক্তলা জামে মসজিদ_ মোল্লাপারা জামে মসজিদ
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
মোট জনসংখ্যা ২৯০৮৪৬; পুরুষ ১৪১০২৯, মহিলা ১৪৯৮১৭। মুসলিম ২৮১৩৬৫, হিন্দু ৯৩০৯, বৌদ্ধ ১৩, খ্রিস্টান ১১৪ এবং অন্যান্য ৪৫।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৫.৭৭%; পুরুষ ৫৬.২৪% ও মহিলা ৫৫.৩২%। কলেজ ৪, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১৪, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬, মাদ্রাসা ১৯। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সোনাইমুড়ি ডিগ্রী কলেজ (১৯৭০), সোনাইমুড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বজরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), সোনাইমুড়ি হামিদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা (১৯২৬)। বড় গাও ইসলামিয়া মাদ্রাসা ১৯৭৩ ।মারকাজ আমির হামজা রাঃ ২০০৫ ।লাইফ শাইন স্কুল ২০০৮।[৩]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন
- আহমদ নজীর, সাবেক সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক
- কামরুল আহসান, বাংলাদেশ সরকারের সচিব এবং বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্বরত।।ইতিপূর্বে সিংগাপুর ও কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
- গোলাম মোস্তফা :বীর প্রতীক
- মোহম্মদ সিরাজুদ্দীন সিএসপি, সাবেক সচিব ও ঐতিহাসিক।
- এম এ হাসেম, সাবেক এমপি ও শিল্পপতি।
- আলী আহমদ, ভাষা সৈনিক, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চৌমুহনী কলেজ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক
নদনদী[সম্পাদনা]
নোয়াখাল নদী এই উপজেলায় অবস্থিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার।[৪]
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২৭.৩২%, অকৃষি শ্রমিক ২.০৬%, শিল্প ০.৬৩%, ব্যবসা ১৬.৪৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৩.৬০%, চাকরি ১৮.১৫%, নির্মাণ ১.২৯%, ধর্মীয় সেবা ০.৩৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১৪.৩৮% এবং অন্যান্য ১৫.৭৩%। হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৩০, মেলা ২। সোনাইমুড়ি হাট, থানার হাট, কামারের হাট, নদনা হাট, কাশিপুর হাট, শান্তির হাট, লালমিয়ার হাট, জয়াগ বাজার, বজরা স্টেশন বাজার, মুসলিমগঞ্জ বাজার, সোনাপুর বাজার, বাংলা বাজার ও আমিশাপাড়া বাজার উল্লেখযোগ্য।
শিল্প ও কলকারখানা চালকল, বরফকল, করাতকল, বিস্কুট কারখানা, ওয়েল্ডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, সুচিশিল্প, দারুশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ।
কৃষি[সম্পাদনা]
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬০.৩৮%, ভূমিহীন ৩৯.৬৯%। প্রধান কৃষি ফসল ধান, সুপারি, সরিষা, ডাল, শাকসবজি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, তিসি, অড়হর, চীনা। প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, নারিকেল, কলা, জাম, পেয়ারা, পেঁপে, সুপারি। মোল্লাপারা বাজার
যোগাযোগ[সম্পাদনা]
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৯৬.৫৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ৭৩২.৩৯ কিমি। বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়ার গাড়ি, মহিষের গাড়ি।
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৮ নোয়াখালী-১ | চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ি উপজেলা (বারগাঁও, অম্বরনগর ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন ব্যতীত) | এইচ এম ইব্রাহিম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬৯ নোয়াখালী-২ | সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগর ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা | মোরশেদ আলম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ক্রম নং. | পদবী | নাম | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | খন্দকার রুহুল আমিন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | মোঃ নিজাম উদ্দিন সুজন | |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | আয়েশা আক্তার |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে সোনাইমুড়ী উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ বাংলাপিডিয়া
- ↑ http://bn.banglapedia.org/index.php?title=সোনাইমুড়ি_উপজেলা
- ↑ ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ১৫৮।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ছাতারপাইয়া বাজার