হাতিয়া পৌরসভা
হাতিয়া | |
---|---|
পৌরসভা | |
হাতিয়া পৌরসভা | |
বাংলাদেশে হাতিয়া পৌরসভার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২২′১৬″ উত্তর ৯১°৭′৩৬″ পূর্ব / ২২.৩৭১১১° উত্তর ৯১.১২৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | নোয়াখালী জেলা |
উপজেলা | হাতিয়া উপজেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০০৫ |
সরকার | |
• বর্তমান পৌর মেয়র (১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন)। | কে এম ওবাইদুল্লা (আওয়ামী লীগ) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫ বর্গকিমি (১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬৫,০০০ |
• জনঘনত্ব | ১,৯০০/বর্গকিমি (৪,৮০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৮৯০ |
হাতিয়া পৌরসভা বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা।
আয়তন[সম্পাদনা]
হাতিয়া পৌরসভার আয়তন ৩৫ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পৌরসভা।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী হাতিয়া পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
অবস্থান ও সীমানা[সম্পাদনা]
হাতিয়া উপজেলার উত্তরাংশে হাতিয়া পৌরসভার অবস্থান। এ পৌরসভার উত্তরে চর কিং ইউনিয়ন , পূর্বে চর ঈশ্বর ইউনিয়ন ও বুড়ির চর ইউনিয়ন, দক্ষিণে বুড়ির চর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে তমরুদ্দিন ইউনিয়ন ও চর কিং ইউনিয়ন অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিনএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের অনুরোধে হাতিয়া পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনেে এসে তিনি হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় হাতিয়াকে পৌরসভা ঘোষণা করেন রাজনৈতিক বিবেচনায় ।[১]
প্রতিষ্ঠাকাল[সম্পাদনা]
২০০৫ সালে চর ঈশ্বররায়, তমরদ্দি, বুড়িরচর, লক্ষ্মীদিয়া ও গুল্লাখালি এ ৫টি মৌজার অংশ নিয়ে গঠিত হয় হাতিয়া পৌরসভা।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
হাতিয়া পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। হোল্ডিং রয়েছে ১০,২০০ টি। এ পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতিয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৩নং নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৬ এর অংশ। এটি একটি গ শ্রেণীর পৌরসভা।।[১]
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
পৌরসভার সাথে হাতিয়ার প্রধান রোড সমূহের সংযোগ রয়েছে। তাই তমরুদ্দি, নলচিরা, আফাজিয়া বাজার, জাহাজমারা সহ পুরো হাতিয়া হতে বাস, রিক্সা, অটো রিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সহ যে কোনভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় সহজে।
শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
হাতিয়া পৌরসভার সাক্ষরতার হার ৭০%। এ পৌরসভায় ২টি কলেজ, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি মদ্রাসা ও ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- কলেজ
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- এ এম উচ্চ বিদ্যালয়
- ওছখালী এস টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- ওছখালী কে এস এস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়
- ছৈয়দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়
- হাতিয়া শহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা
- সুখচর আজহারুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা।
- চরকিং মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
- ওছখালাী হাদীয়া ফাজিল(ডিগ্রী) মাদ্রাসা।
- রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা।
- চৌমুহনী তবারকীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
পৌরসভার প্রধান অর্থনেতিক উৎস হল কৃষি। কৃষি খাতের অবদান প্রায় ৮৫%। বাকি ১০-১৫% আয় আসে মৎস্য, রেমিট্যান্স, সরকারি ও বেসরকারি চাকুরী এবং সেবা ভিত্তিক খাত থেকে।।[২]
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা পার্ক
- কাজিরবাজার সী বিচ
- সূর্যমুখী সী বিচ
- নিমতলী সী বিচ
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
- প্রথম নির্বাচিত পৌর মেয়র: এ, কে, এম, ইউছুফ আলী (সময়কালঃ ২০১১খ্রিঃ থেকে ২০২০খ্রিঃ)[৩]