ইসলামি বর্ষপঞ্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৬০ নং লাইন: ৬০ নং লাইন:


{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:ইসলামি বর্ষপঞ্জি}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:ইসলামি বর্ষপঞ্জি}}
[[বিষয়শ্রেণী:বর্ষপঞ্জি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি পরিভাষা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি পঞ্জিকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামি পঞ্জিকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:আরব উদ্ভাবন]]

১০:৪০, ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে একটি লাইব্রেরির হিজরি প্রতিষ্ঠার তারিখ

ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা মুসলিম বর্ষপঞ্জি (আরবি: التقويم الهجري at-taqwīm al-hijrī; হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবেও পরিচিত) একটি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জি। বিভিন্ন মুসলিম দেশ এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, আর পৃথিবীব্যাপী মুসলমানগণ অনুসরণ করেন ইসলামের পবিত্র দিনসমূহ উদযাপনের জন্য।[১]

ইতিহাস

ইসলাম ধর্মের শেষ বাণীবাহক হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মক্কার ক্বুরায়েশদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনা চলে যান। তার এই জন্মভূমি ত্যাগ করার ঘটনাকে ইসলামে 'হিজরত' হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। নবি হযরত মুহাম্মাদ(সঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই হিজরি সাল গণনার সূচনা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে ১৭ই হিজরি অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ(সঃ) এর ইন্তেকালের সাত বছর পর চন্দ্র মাসের হিসাবে এই পঞ্জিকা প্রবর্তন করা হয়। হিজরতের এই ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ফলেই হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে যখন মুসলমানদের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র পঞ্জিকা প্রণয়নের কথা উঠে আসে তখন তারা সর্বসম্মতভবে হিজরত থেকেই এই পঞ্জিকার গণনা শুরু করেন। যার ফলে চন্দ্রমাসের এই পঞ্জিকাকে বলা হয় ‘হিজরি সন’।[২]

বিবরণ

প্রতিদিন সূর্যাস্তের মাধ্যমে দিন গণনার শুরু হয়। তবে মাস গণনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভূখন্ডে খালি চোখে অথবা খালি চোখানুগ যন্ত্রপাতির (যেমন: দূরবীন, সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র) সহায়তায় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। মাসগুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়। যেমাসে ২৯ দিন শেষ হলে নতুন মাসের চাঁদ দেখা যায় না, সে মাসে ৩০ দিন পূর্ণ করে মাস শেষ করা হয়।

মাসের নাম

ইসলামি বর্ষপঞ্জির মাসসমূহ নিম্নরূপ:

নং মাসের নাম আরবি নাম অর্থ টীকা
মুহররম محرّم নিষিদ্ধ এই মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ (হারাম) বিধায় এটি পবিত্র মাস বলে বিবেচিত। এ মাসের ১০ম দিনে আশুরা পালিত হয়।
সফর صفر রিক্ত, শূন্য, ভ্রমণ এ মাসের এরূপ নামকরণের কারণ সম্ভবত এটি যে, প্রাক-ইসলামিক যুগে আরবীয় ঘর-বাড়ি এই সময়ে শূন্য থাকতো যখন গৃহস্থরা খাবার সংগ্রহ করতো। অন্যমতে, তারা তাদের শত্রুদের যুদ্ধে পরাজিত করে সবকিছু লুট করে নিয়ে যেত বলে এ মাসের নাম সফর।

সফর শব্দের আরেকটি অর্থ হল ভ্রমণ। এ মর্মে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত হলো,তৎকালীন আরবরা এ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বেশি ভ্রমণ করত বলে এ মাসের নাম রাখা হয়েছে সফর।

রবিউল আউয়াল ربيع الأولي প্রথম বসন্ত অন্য অর্থ চারণ, কেননা এই সময়ে গবাদি পশু চারণ করা হতো। মাসটি মুসলমানদের জন্য পবিত্র একটি মাস বলে বিবেচিত কারণ মুহাম্মাদ এই মাসে জন্মগ্রহণ করেন।
রবিউস সানি ربيع الاخري দ্বিতীয় বসন্ত
জমাদিউল আউয়াল جمادى الأولی প্রথম শুকনো ভূমিখণ্ড প্রাক-ইসলামিক গ্রীষ্মকাল হিসেবে বিবেচিত।
জমাদিউস সানি جمادي الآخر ي দ্বিতীয় শুকনো ভূমিখণ্ড
রজব رجب শ্রদ্ধা, সম্মান এটি আরবি বছরের দ্বিতীয় মাস যখন যুদ্ধ নিষিদ্ধ। 'রজব' শব্দের অন্য অর্থ 'সরিয়ে নেওয়া'। কেননা প্রাক-ইসলামিক যুগে আরবরা এ মাসে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য বর্শার মাথা সরিয়ে রাখতো।
শা'বান شعبان বিক্ষিপ্ত এর নামকরণের সম্ভাব্য কারণ এ মাসের পানির অভাব। তৎকালীন আরবেরা এ মাসে পানির সন্ধানে চারদিকে ছড়িয়ে পড়তো। তাই এর নাম 'শাবান'। এর অন্য অর্থ দুইয়ের মাঝামাঝি, কেননা এটি রজব এবং রমজান মাসের মাঝখানে।
রমজান رمضان দহন দহন বলতে উপবাস বা রোজাকে বোঝানো হয়েছে, কেননা উপবাস বা রোজার মাধ্যমে ব্যক্তির পার্থিব লালসা দগ্ধ হয়। রমজান মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র মাস। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী এ মাসে পবিত্র কুরআন নাজিলের সূচনা হয়। এ মাসে মুসলমানদেরকে সুবহে সাদিক(শেষরাত) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বাধ্যতামূলক রোজা রাখতে হয়।
১০ শাওয়াল شوّال উত্থিত এ নামের কারণ এই সময়ে স্ত্রী-উট বাচ্চা প্রসব করে এবং লেজ উত্থিত করে।
১১ জ্বিলকদ ذو القعدة সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাস এ মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ, তবে আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষা বৈধ।
১২ জ্বিলহজ্জ ذو الحجة হজ্জের মাস এই মাসে মুসলমানরা মক্কায় কাবার উদ্দেশ্যে হজ্জ করতে যায়। এ মাসের ৮, ৯ ও ১০ তারিখে হজ্জ হয়। ঈদুল আযহা এই মাসের ১০ তারিখে শুরু হয় এবং ১২ তারিখ সূর্যাস্তের সাথে সাথে শেষ হয়। এই মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান (ডিসেম্বর ২০১১)। "শুধু আরবদের নয়, হিজরী মুসলমানদের সন, ইসলামী সন"। মাসিক আলকাউসার। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. হোসাইন, মুহাম্মাদ ত্বহা (জানুয়ারি ২০১০)। "হিজরতের ইতিকথা"। মাসিক আলকাউসার। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ