বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাবেক সংসদ সদস্য
সাংবাদিক শফিকুর রহমান
শফিকুর রহমান
চাঁদপুর-৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৩ জানুয়ারি ২০১৯  ৬ আগষ্ট, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীশামছুল হক ভূঁইয়া
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1949-09-25) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৬)[]
ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পিতামাতা
  • পিতা : মৌলভী আবদুল হামিদ
  • মাতা : আয়েশা খাতুন
শিক্ষাস্নাতকোত্তর
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসাংবাদিকতা ও রাজনীতি
জীবিকাসাংবাদিক
ধর্মইসলাম

সাংবাদিক শফিকুর রহমান একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ[][]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

সাংবাদিক শফিকুর রহমানের পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামের মিয়াজী বাড়ি। তার বাবার নাম মৌলভী আবদুল হামিদ আর মায়ের নাম আয়েশা খাতুন। তিনি তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন প্রথম মাদ্রাসা থেকে। একাধারে মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। তিনি প্রথমে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯৬৫ সালে কামিল হাদিস বিষয়ে (ডিগ্রী) লাভ করেন। তারপর ১৯৬৭ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ ডিগ্রী লাভ করেন ১৯৭১ সালে। []

রাজনৈতিক জীবন ও বিতর্ক

[সম্পাদনা]

সাংবাদিক শফিকুর রহমান ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামিলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ও পরাজিত হন। ২০১৮ ও ২০২৪ এর বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের পর তৎকালীন পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। তিনি সবসময় জনবিচ্ছিন্ন থাকায় ও অপেশাদার বক্তব্যের কারণে নিজ এলাকায় বরাবরই ব্যাপক সমালোচিত। পাশাপাশি তার অনুপস্থিতিতে তার নেতাকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় বহুবার তিনি দেশজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা

[সম্পাদনা]

শফিকুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি পরপর দুইবার (২০১৫-২০১৮) জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। [] বর্তমানে তিনি বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে শফিকুর সম্পর্কে, বলেন, ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। তাকে আমি ডেকে নিয়ে এই (চাঁদপুর-৪) আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছি।’ [][]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]


তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "নির্বাচনী এলাকাঃ ২৬৩ চাঁদপুর-৪"www.parliament.gov.bd। ২৪ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২১
  2. 1 2 3 "সাংবাদিক থেকে সাংসদ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান"দৈনিক প্রথম আলো। ৪ জানুয়ারি ২০১৯। ২১ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৯
  3. "১১ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)"জাতীয় সংসদের অফিসিয়াল সাইট। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৯
  4. "জাতীয় প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ"দৈনিক যুগান্তর। ৯ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৯
  5. "জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি"এবেলা সংবাদপত্র। ২৮ মে ২০১৫। ২১ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৯