মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (চাঁদপুরের রাজনীতিবিদ)
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান | |
---|---|
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৪ জুন ১৯৮৮[১] | |
কুমিল্লা-২৪[২] আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২ এপ্রিল ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | মিজানুর রহমান চৌধুরী[৩] |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্ত |
চাঁদপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১০ জুলাই ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি |
উত্তরসূরী | আলমগীর হায়দার খান[৪] |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | (বয়স ৭১) ঢাকা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
আবদুল মান্নান (মৃত্যু: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)[৫] ছিলেন একজন বাংলাদেশি ধর্মীয় নেতা এবং সাংবাদিক। তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযুক্ত ছিলেন।[৬]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]মান্নান আইয়ুব খানের প্রশাসনের সময় ইসলামিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল এবং আঞ্চলিক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিতর্ক
[সম্পাদনা]২৯ সেপ্টেম্বর, মান্নানের নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি দল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকে, মান্নান নিয়াজীকে একটি কোরআন উপহার দেন এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও ইসলামের মর্যাদা রক্ষা করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির কথা জানান।[৭]
মুক্তিযুদ্ধের সময়, মান্নানের বিরুদ্ধে চিকিৎসক এ এফ এম আলীম চৌধুরীর অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।[৮]
১৯৭১-পরবর্তী জীবন
[সম্পাদনা]স্বাধীনতার পর, তিনি মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি সংগঠন - বাংলাদেশ জমিয়ত-ই-মুদাররেসিনের সভাপতি হন। তিনি দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র - দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।[৯] সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায়, মান্নান দাবি করেন যে তিনি কখনও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন না এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের গণহত্যার সমর্থনে কোনো বক্তব্য দেননি।[৭]
১৯৭৯ সালে তিনি চাঁদপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী নিযুক্ত হন।[১০]
বিচার ও মুক্তি
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিরপেক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করে। মান্নান এই নিরপেক্ষ অঞ্চলের একটিতে আশ্রয় নেন।[১১]
১৯৯৪ সালের মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, পিপলস ইনকোয়ারি কমিশন গোলাম আযমসহ আটজনকে আল-বদরের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে। মান্নান সেই অভিযুক্তদের একজন ছিলেন।[১০]
ডা. এ এফ এম আলীম চৌধুরীর স্ত্রী, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অভিযোগ করেন যে তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য মান্নান দায়ী।[১২]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে মান্নান ঢাকার বনানীতে তার নিজ বাসভবনে মারা যান। পরের দিন মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই তাকে দাফন (সমাধিস্থ) করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ershad Fires Religion Minister"। AP News। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "List of 2nd Parliament Members" (পিডিএফ)। Bangladesh Parliament। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "List of 1st Parliament Members"। Bangladesh Parliament। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "List of 5th Parliament Members"। Bangladesh Parliament। ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "দ্য ডেইলি স্টার Web Edition Vol. 5 Num 603"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১।
- ↑ "Inqilab press sealed, 3 arrested - bdnews24.com"। web.archive.org। ২০১৫-০৪-২৫। ২০১৫-০৪-২৫ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১।
- ↑ ক খ Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendra। ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ১০৭। ওসিএলসি 21593686।
- ↑ Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendra। ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ১০৮–১১০। ওসিএলসি 21593686।
- ↑ "President and PM condole death of Maulana Mannan - bdnews24.com"। web.archive.org। ২০১৬-০৮-২০। ২০১৬-০৮-২০ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১।
- ↑ ক খ "BANGLADESH: A BENGALI ABBASI LURKING SOMEWHERE? | South Asia Analysis Group"। web.archive.org। ২০১২-১১-০১। ২০১২-১১-০১ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১।
- ↑ Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendra। ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ৭৭। ওসিএলসি 21593686।
- ↑ "News Details"। web.archive.org। ২০১৬-০৮-২৭। ২০১৬-০৮-২৭ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১।
- তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশী মুসলিম
- চাঁদপুর জেলার রাজনীতিবিদ
- দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- চতুর্থ জাতীয় সংসদ সদস্য
- ১৯৩৫-এ জন্ম
- ২০০৬-এ মৃত্যু
- আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সদস্য
- ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- এরশাদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রী
- চাঁদপুর জেলার ব্যক্তি
- বৃহত্তর কুমিল্লার ইসলামি ব্যক্তিত্ব