বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (চাঁদপুরের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৪ জুন ১৯৮৮[]
কুমিল্লা-২৪[] আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২ এপ্রিল ১৯৭৯ – ২৪ মার্চ ১৯৮২
পূর্বসূরীমিজানুর রহমান চৌধুরী[]
উত্তরসূরীপদ বিলুপ্ত
চাঁদপুর-৬ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১০ জুলাই ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
পূর্বসূরীপদ সৃষ্টি
উত্তরসূরীআলমগীর হায়দার খান[]
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যু (বয়স ৭১)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশি

আবদুল মান্নান (মৃত্যু: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)[] ছিলেন একজন বাংলাদেশি ধর্মীয় নেতা এবং সাংবাদিক। তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযুক্ত ছিলেন।[]

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

মান্নান আইয়ুব খানের প্রশাসনের সময় ইসলামিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল এবং আঞ্চলিক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিতর্ক

[সম্পাদনা]

২৯ সেপ্টেম্বর, মান্নানের নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি দল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই বৈঠকে, মান্নান নিয়াজীকে একটি কোরআন উপহার দেন এবং পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও ইসলামের মর্যাদা রক্ষা করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির কথা জানান।[]

মুক্তিযুদ্ধের সময়, মান্নানের বিরুদ্ধে চিকিৎসক এ এফ এম আলীম চৌধুরীর অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।[]

১৯৭১-পরবর্তী জীবন

[সম্পাদনা]

স্বাধীনতার পর, তিনি মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি সংগঠন - বাংলাদেশ জমিয়ত-ই-মুদাররেসিনের সভাপতি হন। তিনি দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র - দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা।[] সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায়, মান্নান দাবি করেন যে তিনি কখনও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন না এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের গণহত্যার সমর্থনে কোনো বক্তব্য দেননি।[]

১৯৭৯ সালে তিনি চাঁদপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী নিযুক্ত হন।[১০]

বিচার ও মুক্তি

[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিরপেক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করে। মান্নান এই নিরপেক্ষ অঞ্চলের একটিতে আশ্রয় নেন।[১১]

১৯৯৪ সালের মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, পিপলস ইনকোয়ারি কমিশন গোলাম আযমসহ আটজনকে আল-বদরের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করে। মান্নান সেই অভিযুক্তদের একজন ছিলেন।[১০]

ডা. এ এফ এম আলীম চৌধুরীর স্ত্রী, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অভিযোগ করেন যে তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য মান্নান দায়ী।[১২]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে মান্নান ঢাকার বনানীতে তার নিজ বাসভবনে মারা যান। পরের দিন মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই তাকে দাফন (সমাধিস্থ) করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Ershad Fires Religion Minister"AP News। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২০ 
  2. "List of 2nd Parliament Members" (পিডিএফ)Bangladesh Parliament। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. "List of 1st Parliament Members"Bangladesh Parliament। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. "List of 5th Parliament Members"Bangladesh Parliament। ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  5. "দ্য ডেইলি স্টার Web Edition Vol. 5 Num 603"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১ 
  6. "Inqilab press sealed, 3 arrested - bdnews24.com"web.archive.org। ২০১৫-০৪-২৫। ২০১৫-০৪-২৫ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১ 
  7. Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendraঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ১০৭। ওসিএলসি 21593686 
  8. Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendraঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ১০৮–১১০। ওসিএলসি 21593686 
  9. "President and PM condole death of Maulana Mannan - bdnews24.com"web.archive.org। ২০১৬-০৮-২০। ২০১৬-০৮-২০ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১ 
  10. "BANGLADESH: A BENGALI ABBASI LURKING SOMEWHERE? | South Asia Analysis Group"web.archive.org। ২০১২-১১-০১। ২০১২-১১-০১ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১ 
  11. Śarīpha, Āhamada (১৯৮৭)। Genocide '71, An Account of the Killers and Collaborators. Dhaka: Muktijuddha Chetana Bikash Kendraঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিকাশ কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ৭৭। ওসিএলসি 21593686 
  12. "News Details"web.archive.org। ২০১৬-০৮-২৭। ২০১৬-০৮-২৭ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১১