টাঙ্গন নদী
টাংগন নদী | |
টাঙ্গন নদী | |
River | |
![]() পশ্চিম বঙ্গের মালদা অংশে টাঙ্গন নদী
| |
দেশসমূহ | ভারত, বাংলাদেশ |
---|---|
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলাসমূহ | ঠাকুরগাঁও জেলা, উত্তর দিনাজপুর জেলা |
নগর | ঠাকুরগাঁও পৌরসভা |
উৎস | জলপাইগুড়ি জেলা |
- স্থানাঙ্ক | ২৬°১৯′৩৮″ উত্তর ৮৮°২৯′২৭″ পূর্ব / ২৬.৩২৭১২৯৮° উত্তর ৮৮.৪৯০৮১৬৮° পূর্ব |
মোহনা | মহানন্দা নদী |
- স্থানাঙ্ক | ২৪°৫৭′৩৩″ উত্তর ৮৮°১৩′৪৬″ পূর্ব / ২৪.৯৫৯২২৬১° উত্তর ৮৮.২২৯৪৮৭° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) |
টাঙ্গন নদী (অন্য বানানে: টাংগন নদী) বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] এটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। এটি পুনর্ভবা নদীর একটি উপনদী।[২] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক টাংগন নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৪৮।[৩]
প্রবাহ
[সম্পাদনা]অতীতে এই নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রবাহিত হত এবং বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তবে এটির বর্তমান উৎপত্তিস্থল হচ্ছে পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বিলাঞ্চল থেকে।[৪] এটি পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওের পীরগঞ্জ, রুহিয়া, এবং বোচাগঞ্জ, এবং দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা দিয়ে পুনরায় পশ্চিমবঙ্গের দিকে চলে যায়।[১][৫][৬] এই নদী পুনরায় গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং পুনর্ভবা নদীর সাথে মিলিত হয়। শীতকালে এই নদীর পানি কমে গেলেও বর্ষাকালে নৌ যোগাযোগের উপযুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও শহর টাংগন নদীর তীরে অবস্থিত।[৬]
ব্যারেজ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ অংশে
[সম্পাদনা]১৯৮৯ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার দশ কিলোমিটার পশ্চিমে টাংগন নদীতে একটি ব্যারেজ নির্মিত হয়। এর মাধ্যমে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন থানার প্রায় ৫,০০০ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]চিত্রসংগ্রহ
[সম্পাদনা]-
ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন সেতু থেকে টাঙ্গন নদীর দৃশ্য।
-
বাংলাদেশ অংশে টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত বাঁধ
-
নব্বইয়ের দশকে এর নির্মাণ কাজ শুরু
-
বাঁধের ছেড়ে দেওয়া পানিতে মাছ ধরার উৎসব
-
প্রতি বছর শীতের প্রাক্কালে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া হয়
-
বাঁধের ভাটির প্যানারমিক দৃশ্য
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ Mesbah-us-Saleheen। "Tangon River"। Banglapedia। Asiatic Society of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-৩০।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১১৮-১১৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ১৫২।
- ↑ "Dakshin Dinajpur"। Rivers। District administration। ২০০৯-০৬-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-৩০।
- ↑ ক খ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ২১০-২১১।

![]() |
বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |