উমিয়াম নদী
উমিয়াম নদী | |
উমিয়েও নদী | |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
রাজ্য | মেঘালয় |
অঞ্চল | সিলেট বিভাগ |
জেলা | সুনামগঞ্জ জেলা |
উৎস | খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় |
মোহনা | জালিয়া ছড়া (ভোলাগঞ্জ) |
দৈর্ঘ্য | ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) |
উমিয়াম নদী বা উমিয়েও নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৫২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক উমিয়াম নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ০৬।[২] উমিয়াম নদীর গভীরতা ৮ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ৪৮ বর্গকিলোমিটার।
উৎপত্তি ও প্রবাহ
[সম্পাদনা]উমিয়াম নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় হতে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের দোয়ারাবাজার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারপর ছাতকের সুরমা নদীতে প্রবেশ করেছে।[৩]
অন্যান্য তথ্য
[সম্পাদনা]এই নদীতে সারা বছরই পানিপ্রবাহ থাকে। শুষ্ক মৌসুমে ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে প্রবাহের গভীরতা কমে গিয়ে ২.৫ মিটার পর্যন্ত থাকে। তবে বর্ষা মৌসুমে জুন-আগস্টে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। নদীটিতে জোয়ার ভাটার প্রভাব নেই।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
[সম্পাদনা]উমিয়াম নদীর তীরে ছাতক শহর অবস্থিত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৭৩। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৪০-১৪১।