বিষয়বস্তুতে চলুন

ঘুংঘুর নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঘুংঘুর নদী
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাসমূহ কুমিল্লা জেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
উৎস নিম্নাঞ্চল
মোহনা সালদা নদী
দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল)

ঘুংঘুর নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লাব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩১ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। নদীটির নাম ঘুংঘুর হলেও স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘বড় খাল’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ঘুংঘুর নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ০৫।[]

উৎপত্তি ও প্রবাহ

[সম্পাদনা]

ঘুংঘুর নদীর উৎপত্তিস্থল কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হানকীজ্বলা গ্রামের নিম্নাঞ্চল। সেখান থেকে উৎপত্তি লাভ করে উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর যথাক্রমে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দভাগ বাজারের নিকট এসে সালদা নদীতে পতিত হয়েছে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঘুংঘুর নদীর প্রকৃত ইতিহাস নিশ্চিত নয়। এই নদীর নামকরণের পিছনে অনেক মতামত থাকলেও কোনো এক বিখ্যাত নর্তকীর পায়ের ঘুংঘুরের ইতিহাসটি বেশি জোরালো।

কালের পরিক্রমায় নদীটি নালা বা মরা নদীর সরূপ রূপান্তর হয়ে পড়েছিল। তখন আইয়ুব খান শাসনামলে উক্ত নদীর পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন হয়। তখন থেকে ফিরে পায় তার হারানো যৌবন। বর্ষায় সে পূর্ণ যৌবনা, শরতে মধ্যবয়সী আর শীত আর বসন্তে বার্ধক্য। এই তার চিরন্তন রূপ।

অন্যান্য তথ্য

[সম্পাদনা]

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের প্রথম দিক দিয়েও নদীটি সর্বশেষ পুনঃখনন করা হয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৯৮-২৯৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4