পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ
| পুরাতন ব্রহ্মপুত্র | |
|---|---|
| অবস্থান | |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ ঢাকা বিভাগ |
| জেলা | জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ |
| প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
| উৎস | ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ |
| মোহনা | মেঘনা নদী |
• স্থানাঙ্ক | ২৪°০২′০০″ উত্তর ৯০°৫৯′০০″ পূর্ব / ২৪.০৩৩৩৩° উত্তর ৯০.৯৮৩৩৩° পূর্ব |
| দৈর্ঘ্য | ২৮৩ কিমি (১৭৬ মা) |
| প্রস্থ | |
| • গড় | ২০০ মিটার (০.২০ কিলোমিটার) |
| অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
| নদী ব্যবস্থা | ব্রহ্মপুত্র–যমুনা নদী ব্যবস্থা |
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গাইবান্ধা, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদ। নদটির দৈর্ঘ্য ২৮৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২০০ মিটার এবং নদটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৩৭।[১][২]
যমুনার যে ধারাটি জামালপুর জেলাধীন বাহাদুরাবাদের উজানে বৈরালসারের কাছে জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভেতর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা (অপার) নদীতে পড়েছে সে ধারাটির নামই হলো পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। একসময় এই পথেই নদীটির মূল গতিধারা প্রবাহিত হত।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিস্তা নদীতে প্রবল বন্যা এবং ভুমিকম্পের কারণে মধুপুর অঞ্চল উঁচু হয়ে যায়, যার ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যমুনা নদীতে পড়ে। এরপর থেকে নদটির পুরনো গতিপথ ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকে।[৩]
প্রবাহ
[সম্পাদনা]পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে শাখা হিসেবে বের হয়ে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা দিয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হয়েছে।[২]
১৭৮৭ সালের আসাম ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যমুনা নদীর দিয়ে চলে যায়। আর আগে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়েই এই নদের বেশির ভাগ জল প্রবাহিত হতো।[৪]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃ. ২৬১-২৬২। আইএসবিএন ৯৮৪৭০১২০০৪৩৬৪।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|আইএসবিন=মান: অবৈধ উপসর্গ পরীক্ষা করুন (সাহায্য) - 1 2 ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- 1 2 এজাজ, মোহাম্মদ (জানুয়ারি ২০২৫)। ঢাকার নদী ও জলাশয়। দ্যু প্রকাশন। পৃ. ১৮৫। আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৯১১৪০১।
- ↑ "ব্রহ্মপুত্র নদের সাতকাহন"। কালেরকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |