বিষয়বস্তুতে চলুন

কুলিক নদী

স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৩′৩০″ উত্তর ৮৮°০২′৩০″ পূর্ব / ২৫.৫৫৮২৫৬° উত্তর ৮৮.০৪১৭৬১° পূর্ব / 25.558256; 88.041761
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুলিক নদী
দেশসমূহ বাংলাদেশ, ভারত
রাজ্যসমূহ রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ
অঞ্চলসমূহ বিভাগ, রংপুর বিভাগ
জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা
উপনদী
 - বাঁদিকে নেহারা নদী, কাহালাই নদী, নাগর নদী
 - ডানদিকে মেচী নদী, কাছ নদী, বালাসন নদী, কালিন্দ্রী নদী
উৎস ঠাকুরগাঁও সদর
 - স্থানাঙ্ক ২৬°০২′৪৪″ উত্তর ৮৮°১৮′৪১″ পূর্ব / ২৬.০৪৫৫০৩১° উত্তর ৮৮.৩১১২৭৩১° পূর্ব / 26.0455031; 88.3112731
মোহনা নাগর নদী
 - অবস্থান বিশাহার, উত্তর দিনাজপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
 - স্থানাঙ্ক ২৫°৩৩′৩০″ উত্তর ৮৮°০২′৩০″ পূর্ব / ২৫.৫৫৮২৫৬° উত্তর ৮৮.০৪১৭৬১° পূর্ব / 25.558256; 88.041761
দৈর্ঘ্য ৩৬০ কিলোমিটার (২২৪ মাইল)

কুলিক নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী[] রাজা টংকনাথের প্রাসাদ এই কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত।[] এই নদীর একটি প্রধান উপনদী হচ্ছে কাহালাই নদী

কুলিক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৬.৩৬ কিমি এবং ভারতের অংশে ৭৫.৬৪ কিমি।[]

নদীটির ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মিটার এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মিটার। আর নদী অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গকিমি। নদীটিতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে। এপ্রিল মাসের দিকে শুকনো মৌসুমে প্রবাহ কমে যায়। আগস্ট মাসের বর্ষা মৌসুমে যখন পানিপ্রবাহ সর্বোচ্চ হয় তখন পানিপ্রবাহের পরিমাণ হয় ১১৫ ঘ্নমিটার/সেকেন্ড। এই নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই।[]

বাংলাদেশ

[সম্পাদনা]
রানীশংকাইল উপজেলার পূর্ব পাশ থেকে কুলিক নদীর দৃশ্য।

নদীটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিলাঞ্চল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের হরিপুর উপজেলার বাংলাদেশ অংশে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকাইল ও হরিপুর উপজেলা রয়েছে।[]

পশ্চিমবঙ্গে, এটি উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে গেছে এবং এর চারপাশে রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য রয়েছে। ২০১৭ সালে এই নদীর প্লাবনে তিনজনের মৃত্যু হয়। অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলা এবং নদীর জমি দখলের কারণে নদীটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নদীটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

উপনদীসমূহ

[সম্পাদনা]

কুলিক নদী তার বাম দিকের প্রবাহে যেসব উপনদী নিয়েছে সেগুলো হচ্ছে নেহারা নদী, দুধিয়ামনি নদী এবং কাহালাই নদী। কুলিক নদী তার ডানদিকে শাখানদী গ্রহণ করেছে যেটি কাছ নদী নামে পরিচিত।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "আন্তঃসীমান্ত_নদী"বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪ 
  2. "Raja Tonkonath's Palace in ruins"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২১ 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৭১।