উত্তর দিনাজপুর জেলা
উত্তর দিনাজপুর জেলা | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের জেলা | |
পশ্চিমবঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রশাসনিক বিভাগ | মালদা |
সদরদপ্তর | রায়গঞ্জ |
মহকুমা | ৯ |
সরকার | |
• জেলাধ্যক্ষ | শ্রী সুরেন্দ্র কুমার মিনা, আইএএস[১] |
• লোকসভা কেন্দ্র | রায়গঞ্জ |
• বিধানসভা আসন | চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ইটাহার |
আয়তন | |
• মোট | ৩,১৪০ বর্গকিমি (১,২১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩০,০৭,১৩৪ |
• জনঘনত্ব | ৯৬০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৫৯.০৭ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৩৯ |
প্রধান মহাসড়ক | ৩১ নং জাতীয় সড়ক, ৩৪ নং জাতীয় সড়ক |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
উত্তর দিনাজপুর জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা বিভাগের একটি জেলা। এই জেলার জন্ম হয় ১৮ই চৈত্র ১৩৯৮ বঙ্গাব্দে (১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল), পূর্ব্বতন দিনাজপুর জেলাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে। এটি রায়গঞ্জ সদর মহকুমা এবং ইসলামপুর মহকুমা নিয়ে গঠিত, রায়গঞ্জ এই জেলার জেলাসদর৷
নামকরণ
[সম্পাদনা]জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর, যা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত৷ পরবর্তীতে ব্রিটিশরা রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর। দেশভাগের পর দিনাজপুর জেলার পশ্চিমাংশ পশ্চিম দিনাজপুর নামে পশ্চিবঙ্গে যুক্ত হলে পরে তার উত্তরাংশ এবং বিহারের কিশানগঞ্জের ইসলামপুর অঞ্চলকে এক করে উত্তর দিনাজপুর জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে৷
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দিনাজপুর জেলার ইতিহাস প্রায় দু'হাজার বছর পুরানো৷ পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃৃতিক, প্রাকৃৃৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ উত্তর দিনাজপুর জেলাটি সেন, পাল, মৌর্য ও ইসলামিক শাসনের ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের স্মৃৃতি বহন করে চলেছে৷
প্রাক-ইসলামিক যুগ
[সম্পাদনা]প্রাচীনকালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা পুণ্ড্র সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো৷ জনমতানুসারে, উচ্চবর্ণ পুণ্ড্ররা প্রাচীন ঐতরেয় ব্রাহ্মণদের উত্তরসূরী৷ পুণ্ড্রদের অস্তিত্ব হরিবংশম ও মহাভারতেরবপ্রাথমিক পর্যায়গুলোতে পাওয়া যায়৷ ঐতিহাসিকদের মতে পুণ্ড্রবর্ধন সাম্রাজ্যের রাাজধানী মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষ বর্তমান বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে পাওয়া যায়৷ সাম্রাজ্যের অন্য নগরগুলি হল পুণ্ড্রনগর ও কোটিবর্ষ৷ হিন্দু শাস্ত্র মতে, শ্রীকৃৃষ্ণ দ্বারা বানরাজার হত্যার পর রাজা বিরাট কোটিবর্ষ অঞ্চলের শাসনভার গ্রহণ করেন যা বর্তমান উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ অঞ্চলের বিস্তৃত অংশ৷ বিরাট রাজ্যের রাজধানী পরে আবার স্থানান্তরিত করা হয়, স্থানান্তরিত রাজধানীটি বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাইরহট্ট অঞ্চলে বলে অনুমান করা হয়৷
মুলতঃ মৌর্য শাসনকালে নির্দিষ্ট করে এই অঞ্চলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়৷ পুরানমতে, রাজা পুত্রাকের স্ত্রী পাটলি জাদুবলে এই অঞ্চল সুসজ্জিত করেন এবং নাম রাখেন পাটলিগ্রাম৷[২] পরবর্তীকালে সমগ্র অঞ্চল গৌড় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় ও রাজা গণেশের সময় বিখ্যাত শিল্পস্থানে পরিণত হয়৷ তবে গুপ্ত, পাল, ও সেন যুগে প্রামাণ্য কোনো স্থাপত্য বা শিলালিপি আবিষ্কৃত না হলেও বিভিন্ন নথির মাধ্যমে বোঝা যায় যে অঞ্চলগুলি উক্ত শাসনকালেও খ্যাত ছিলো৷
ইসলামিক শাসনকাল
[সম্পাদনা]১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কী সেনানায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজী নবদ্বীপ আক্রমণ করলে গৌড়রাজ লক্ষ্মণসেন মাত্র ১৮ জন সৈনিকের ভয়ে আত্মসমর্পণ করেন৷ পরে খিলজী দেবকোটে রাজধানী স্থাপন করেন ও বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চল প্রভুত্ব বিস্তার করেন৷ পরে ১২০৬ সনে সহস্র সৈন্য নিয়ে তিব্বতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷
এরপর আলি মর্দন খিলজী ও মুহাম্মাদ সিরান খিলজী লক্ষণাবতীর সিংহাসনে বসেন৷ দিনাজপুরের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে আলি মর্দন দেওয়ান নিয়োগ হলে ১২১০ সনে হামিম উদ্দিন ইওয়াজ তাকে হত্যা করে পরবর্তী ১৪ বছরের শাসনভার গ্রহণ করেন৷ তার শাসনকালে রাজধানী আবার দেবকোট থেকে গৌড়-লক্ষ্মণাবতীতে স্থানান্তরিত করা হয়৷ ১২২৭ সনে দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশের জ্যেষ্ঠ পুত্র নসির উদ্দিন; হাসিম উদ্দিন ইওয়াজকে পরাজিত করেন ও ১২৮৭ অবধি পরবর্তী ৬০ বছর শাসন করেন৷ গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র বুগরা খানের নেতৃত্বে গৌড় অঞ্চল দিল্লির শাসনবহির্ভূত একটি পৃৃথক রাজ্যে রূপান্তরিত হয়৷ ১৩২৮ সনে মুহাম্মদ বিন তুগলক বাংলায় শাসন কায়েম করলে শাসনের সুবিধার্থে তিনটি খণ্ড তথা লক্ষ্মণাবতী, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অঞ্চলে বিভক্ত করেন৷ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর গাজী ইলিয়াস শাহ ১৪৮৭ সন অবধি শাসন করেন৷ এরপর ১৪৯৩ সনে আলাউদ্দিন হোসেন শাহকে বাংলার সুলতান ঘোষণা করা হলে তিনিই এই অঞ্চলে প্রথম দক্ষ সরকার গঠন করেন৷ ১৫৮৫ সনে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা আক্রমণ করেন৷ মুঘল শাসন চালু হওয়ার পর দিনাজপুরে জমিদার প্রথা প্রচলন হলেও এই দুশত বছরে বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি এসময় পশ্চিম দিনাজপুর তাজপুর ও পানজারা সরকার ও ইসলামপুর অঞ্চল পূর্ণিয়া পরগণার অংশ ছিলো৷
ব্রিটিশ শাসনকাল ও স্বাধীনতা যুদ্ধ
[সম্পাদনা]১৭৬৫ খ্রীষ্টাব্দে যখন বাংলার দেওয়ানী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন থেকে দিনাজপুর ব্রিটিশ শাসনের আওতাভুক্ত হয়৷ ব্রিটিশ শাসনের প্রথম দিকে মালদহের বামনগোলার মদনাবতীতে প্রথম নীল কারখানা স্থাপিত হয়৷ ১৭৯৮ খ্রীষ্টাব্দে উইলিয়াম কেরি কলকাতার পর প্রথম এই অঞ্চলে বাংলাতে বই ছাপানো শুরু করেন কিন্তু ১৭৯৯ তে নীল কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়৷
অষ্টাদশ শতকের মধ্যেই সন্নাসী ফকিরদের জমি জায়গা দিয়ে দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বসতি করে দেওয়া হয়৷ পরে তারাই আবার সাধারণ মানুষর ওপর লুঠতরাজ শুরু করলে ইষ্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তত্ত্বাবধানে তার অবসান ঘটে৷
১৮৫৭ সনের সিপাহী বিদ্রোহ বা নবজাগরণের সময় এই জেলা নিজ স্থান অক্ষুণ্ণ রাখে৷ ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রথমবার বঙ্গভঙ্গের সময় এই জেলার জনগণ প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে, অন্যান্য বাঙালী ভাই বোনেদের মতোই৷ লাল মোহন ঘোষের নেতৃৃত্বে বৎসরকালীন বয়কট তথা জেলা রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামীণস্তরের সরকারি নীতির বিরোধীতা চলতে থাকে৷ মহারাজা গিরিজানাথ রায় তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন৷ ইংরেজ সরকারের প্রতিপক্ষ তৈরীর জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুশীলন সমিতি ও ব্রতী সমিতি গড়ে তোলা হয়৷
১৯১৯ সনে জাতীয় কংগ্রেসের সহযোগীতায় সমান্তরাল প্রশাসন তৈরী করা হয় ও ১৯২৪ সনে শ্রী পুর্ণচণ্দ্র দাস গ্রেপ্তার হন৷ স্বরাজ্য দল বালুরঘাট ও দিনাজপুরের আসন দখল করতে সক্ষম হয় ও ১৯২৮ এ সাইমনে কমিশনের বিরূদ্ধে সমগ্র জেলাজুড়ে বন্ধ ঘোষিত হয়৷ ১৯৪২ এ পুর্ণচন্দ্র দাসের গ্রেপ্তার সহ তেভাগা ও অসহযোগ আন্দোলনে রায়গঞ্জ, ইটাহার অগ্নিরূপ ধারণ করে৷ অতঃপর জেলাভাগ ও চরম বিশৃৃঙ্খলার সহিত ভারত স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ হিসাবে পশ্চিম দিনাজপুরের আত্মপ্রকাশ ঘটে৷
স্বাধীনতা ও তার পরবর্তী
[সম্পাদনা]দিনাজপুর জেলা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৯৪৭ সাালে বাংলা ভাগের সময়৷ বালুরঘাট, রায়গঞ্জ ও গঙ্গারামপুর মহকুমা ভারতীয় যুক্ত রাষ্ট্রে যুক্ত হলেও বাকী দিনাজপুর ও পূর্ববঙ্গে দ্বিখণ্ডিত থাকে দিনাজপুর ও রাজশাহীর মধ্যে।
- অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা : ১০৩০২ বর্গকিলোমিটার
- ভারতে যুক্ত হয়:
- পশ্চিম দিনাজপুর জেলা : ৩৫৫৮ বর্গকিলোমিটার (৩৪.৫৪%)
- পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) যুক্ত হয়:
- বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলা : ৫২৫৪ বর্গকিলোমিটার (৫১.০০%)
- বাংলাদেশের রাজশাহীতে(বর্তমানে রংপুর বিভাগ) যুক্ত হওয়া অবিভক্ত দিনাজপুরের অংশ : ১২০০ বর্গকিলোমিটার (১১.৬৫%)
- বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা : ২৯০ বর্গকিলোমিটার (২.৮১%)
- ভারতে যুক্ত হয়:
১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের সঙ্গে বিহারের বাঙালী-সুরজাপুরী অঞ্চল ইসলামপুর মহকুমা যুক্ত করা হয়৷ ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে জেলাটির উত্তর অংশ পৃৃথক করে ৩১৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট উত্তর দিনাজপুর জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে৷
ঐতিহাসিক আন্দোলন
[সম্পাদনা]১৯৩৯ সালের আধিয়ার আন্দোলন
[সম্পাদনা]কৃষক সমিতির নেতৃত্বে ১৯৩৯ সালে একবার দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলার আধিয়ার কৃষকরা জোতদারের খামারের পরিবর্তে নিজেদের খোলানে ধান তোলবার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। সে আন্দোলনের সঙ্গে তেভাগার কোনো সম্পর্ক ছিল না। সেদিনের ঐ জেলার তোলাবটি আন্দোলন ও মেলার লেখাই-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ঐ আধিয়ার আন্দোলনও ছিল মূলতঃ জোতদারদের নানারকম আবওয়াব ও বে-আইনি আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সংগ্রাম। ধান কেটে জোতদারের খামারে তুললে আধিয়াররা তাদের উৎপন্ন ফসলের অর্ধাংশও ঠিকমতো পেত না। জোতদাররা ছিল খুবই শক্তিশালী ও বিরাট। নিজেদের অর্ধাংশ নিয়েই তারা খুশি থাকত না। আধিয়ারের অংশ থেকে মার্চা, তহুরী, খোলানচাঁহা, মহলদারী, গোলাপূজা, বরকন্দাজী, মন্ডপসেলামী, সন্ন্যাসী, হাতি খোয়া (হাতির খোরাকী), মাছ খোয়া, পার্বণ, গাজন, থিয়েটার প্রভৃতি বিভিন্ন নামে বে-আইনিভাবে দফায় দফায় ধান কেড়ে নিত এবং কর্জা ধান পরিশোধের নামে আধিয়ারের অংশ থেকে সুদসহ দ্বিগুণ-তিনগুণ ধান কেটে নিত। এরই বিরুদ্ধে আধিয়াররা তখন প্রতিরোধ করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও মহকুমা শাসকের মধ্যস্থতায় আপস হয় ও ‘দশের খোলানে’ ধান তোলা সাব্যস্ত হয়। পরবর্তীকালে ঐ চুক্তিও জোতদাররা বাতিল করে।
- অন্যান্য ক্ষেত্র -
সাবেক এই উত্তর দিনাজপুর নামক জেলায় প্রখ্যাত আইনজীবী নিশীথ নাথ কুন্ডু গান্ধীজির ডাকে সাড়া দিয়ে আদালত বর্জন করে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন দেশের স্বার্থে।কলকাতায় ছাত্র জীবনে নেতাজী সুভাষ বোসের সাথে যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল তার ধারা অব্যাহত ছিল জীবনের অন্তিম কাল পর্যন্ত।
২০১৮ দাঁড়িভীট বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলন
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাঁড়িভীট বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্রদের দাবি বাংলার শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ভাষার জন্য শিক্ষক নিয়োগ না করে উর্দুভাষায় শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।[৩] বাঙালি জাতির উপর এহেন অন্যায়ের প্রতিবাদে মাতৃভাষাপ্রেমী বিদ্যালয়ের বাঙালি ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, গ্রামের অন্যান্য তরুণ-তরুণী ও অভিভাবকমণ্ডলী সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করেন। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে ও গুলি চালায়। মৃৃত্যু হয় আন্দোলনকারী রাজেশ সরকার[৪] ও তাপস বর্মণের[৫] এছাড়া দশম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব সরকার গুলিবিদ্ধ হয়। তার পায়ে গুলি লাগে।
ভূপ্রকৃৃতি
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলার মাটিকে মুলতঃ তিন প্রকারে বিভক্ত করা যায় যথা; পুরানো পললমৃৃত্তিকা, মধ্যবর্তী পললমৃৃত্তিকা, নবীন পললমৃত্তিকা দিয়ে গঠিত ভূমি৷ পুরানো পললমৃৃত্তিকা অঞ্চলে এঁটেল ও দোঁয়াশ মাটির রূপভেদ স্পষ্ট৷ মাটির বর্ণ গাঢ় এবং প্রশম অথবা ঈষৎ আম্লিক প্রকৃতির৷ জেলাটি সাধারণভাবে সমতল হলেও উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য ঢালু, এর ফলস্বরূপ মুল নদীগুলির অভিমুখও উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী৷
বনভূমি
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলার মাত্র ১০ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল বনভূমি আচ্ছাদিত৷ বনভুমিগুলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করলেও কুলিক নদীর তীর বরাবর ও জেলাটির দক্ষিণপ্রান্তে উপস্থিতি অধিক৷ কুলিক পাখিরালয় একটি অন্যতম আকর্ষণ৷
কৃৃষিভূমি
[সম্পাদনা]ধান এই জেলার মূল উৎপাদন৷ বিস্তৃৃত ২৭০০ বর্গকালোমিটার অঞ্চলে চাষ হয় যার অধিকাংশ দূই-ফসলি জমি৷ এছাড়া গবাদিপশুর চারণক্ষেত্র রয়েছে৷
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর একটি কৃষিপ্রধান, এবং খনিজ অপ্রতুল জেলা৷ ধানচাষের জন্য জেলাটি স্বনামধন্য; কিছু বিখ্যাত চালের প্রকারগুলি হলো তুলাইপঞ্জি, ঝিঙাশাল, পারিজাত ইত্যাদি৷ বিগত কিছু বছর ধরে সরকারি উদ্যোগে করণদিঘি, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জে ভুট্টাচাষে উন্নতিসাধন সম্ভব হয়েছে৷ ভুট্টাকে কেন্দ্র করে জেলাটিতে ছোটো ছোটো কিছু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রবিশিষ্ট পাটচাষের জমি রয়েছে যা কৃৃষিজ সর্বাধিক আয় বহন করে৷ প্রতিটি ব্লকেই উন্নতমানের পাটচাষ হয়৷ পাটকে কেন্দ্র করে কিছু কুটিরশিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ জেলাটির উত্তরভাগে আনারসের চাষ উৎকৃৃষ্ট, তা থেকে জেলি, আচার ইত্যাদি প্রক্রিয়া হয়৷ এছাড়াও প্লাস্টিক শিল্প, গুঁড়ো মশলা প্রস্তুতি এবং ইসলামপুর ও চোপড়াতে চা-এর বাজার উল্লেখযোগ্য৷
কৃৃষি ছাড়াও পর্যটন, ধর্মীয়ক্ষেত্র ও প্রাকৃৃতিক সৌন্দর্য জেলাটির অর্থনীতির অন্যতম উৎস৷
- জেলাটির উত্তরে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র
- জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) : বাংলাদেশ রাষ্ট্র
- জেলাটির পূর্বে : বাংলাদেশ রাষ্ট্র
- জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা
- জেলাটির দক্ষিণে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলা
- জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলা ও বিহার রাজ্য
- জেলাটির পশ্চিমে : বিহার রাজ্য
- জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) : বিহার রাজ্য
- অক্ষাংশ: ২৫ ডিগ্রী ১৫' ৩৫" উঃ থেকে ২৬ ডিগ্রী ৩৫' ১৫" উঃ
- দ্রাঘিমাংশ: ৮৭ ডিগ্রী ৪৮' ৩৭" পূঃ থেকে ৮৮ ডিগ্রী ৩৩' ১৯" পূঃ
- জেলার আয়তন: ৩১৪০ বর্গ কিমি
- রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৫তম
- জেলার আয়তনের অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৩.৫৪% আয়তন
- মোট জনসংখ্যা (২০০১ জনগণনা): ২৪,৪১,৭৯৪ (২০১১ জনগণনা): ৩০,০৭,১৩৪
- রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৪তম
- জেলার জনসংখ্যার অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৩.২৯% লোক উত্তর দিনাজপুর জেলাতে বাস করেন ৷
- জেলার জনঘনত্ব : ২০০১ সালে ৭৭৮ এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫৮ হয়েছে
- জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ২৩.১৫% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ২৮.৭২% বৃদ্ধির হারের থেকে কম ৷
- লিঙ্গানুপাত : ২০১১
- সমগ্র : ৯৩৯
- শিশু(০-৬ বৎ) : ৯৫৩
- স্বাক্ষরতা : ৪৭.৮৯%(২০০১) ৫৯.০৭%(২০১১)
- পুরুষ : ৫৮.৪৮%(২০০১) ৬৫.৫২%(২০১১)
- নারী : ৩৬.৫১%(২০০১) ৫২.১৭% (২০১১)
- শিশুর অনুপাত : সমগ্র জনসংখ্যার ১৬.১৩%
ভাষা
[সম্পাদনা]সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী ভাষাভিত্তিক তালিকাবদ্ধ জনসংখ্যা নিম্নরূপ :
ইসলামপুর মহকুমা
[সম্পাদনা]ইসলামপুর মহকুমাটিতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাটি হলো বাংলা যা সমগ্র মহকুমার ১৬৬৯৮৯৫ জনের মধ্যে ৮২২০৩৪ (৪৯.২৩%) জনের মাতৃভাষা৷ এছাড়া মহকুমাটিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রচলিত ভাষাটি হলো সুরজাপুরী যা সমগ্র মহকুমার ৩৯৫১৩৮ (২৩.৬৬%) জনের মাতৃৃভাষা এবং তৃতীয় বৃহত্তম প্রচলিত ভাষাটি হলো উর্দু যা সমগ্র মহকুমার ২৮৩৯৬৬ (১৭.০১%) জনের মাতৃভাষা।
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা - ২০১১ | সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | তৃৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | চতুর্থ সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | অন্যান্য ভাষাসমূহের জনসংখ্যা | পাই চিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইসলামপুর | ৩০৮৫১৮ | সুরজাপুরী - ১৭৬৮৩৭ (৫৭.৩২%) | বাংলা - ৯১৮৮৪ (২৯.৭৮%) | উর্দু - ২৬০২৬ (৮.৪৪%) | সাঁওতালি - ৭৬১০ (২.৪৭%) | হিন্দী - ৪৭১৯ (১.৫৩%), অন্যান্য - ১৪৬১ | |
২ | করণদিঘি | ৩৬৮৩৩২ | বাংলা - ২৮৯১৯৫ (৭৮.৫১%) | সাঁওতালি - ২৩৩৯০ (৬.৩৫%) | সুরজাপুরী - ২৩১৭১ (৬.২৯%) | হিন্দী - ১৬০১০ (৪.৩৫%) | উর্দু - ৫০৯৬ (১.৩৮%), সাভারা - ৩৪৩৮ (০.৯৩%), পাঞ্জাবি - ২৭১৯ (০.৭৪%), অন্যান্য - ৫৩১৩ | |
৩ | গোয়ালপোখর-১ | ৩২৬১২০ | উর্দু - ১৫৪৯৭৫ (৪৭.৫২%) | বাংলা - ১০১৫২৭ (৩১.১৩%) | সুরজাপুরী - ৪৯৩৫৫ (১৫.১৩%) | সাঁওতালি - ৯৭৩৮ (২.৯৯%) | হিন্দী - ৮৩০২ (২.৫৫%), অন্যান্য - ২২২৩ | |
৪ | গোয়ালপোখর-২ | ২৯১২৫২ | বাংলা - ১২৪৩৩২ (৪২.৬৯%) | উর্দু - ৮৭৪৯৬ (৩০.০৪%) | সুরজাপুরী - ৪৬৫৩৪ (১৫.৯৮%) | সাঁওতালি - ১৫১০২ (৫.১৯%) | হিন্দী - ১৪০৭১ (৪.৮৩%), অন্যান্য - ৩৭১৭ | |
৫ | চোপড়া | ২৮৪৪০৩ | বাংলা - ১৬০৫৫০ (৫৬.৪৫%) | সুরজাপুরী - ৯৪৯৮৭ (৩৩.৪০%) | হিন্দী - ৭৬৯০(২.৭০%) | সাঁওতালি - ৭৬৩৯ (২.৬৯%) | সাদরি - ৬৬৮৪ (২.৩৬%), ওরাওঁ - ২০২২ (০.৭১%), অন্যান্য - ৪৮৩১ | |
৬ | ইসলামপুর পৌরসভা | ৫৪৩৪০ | বাংলা - ২৭২৩৬ (৫০.১২%) | হিন্দী - ১৪৫১২ (২৬.৭১%) | উর্দু - ৮৭৫৮ (১৬.১২%) | সুরজাপুরী - ৩১৩০ (৫.৭৬%) | অন্যান্য - ৭০৪ | |
৭ | ডালখোলা পৌরসভা | ৩৬৯৩০ | বাংলা - ২৭৩১০ (৭৩.৯৫%) | হিন্দী - ৬৩২৪ (১৭.১২%) | সুরজাপুরী - ১১২৪ (৩.০৪%) | উর্দু - ৯১৬ (২.৪৮%) | সাঁওতালি - ৯০১ (২.৪৪%), অন্যান্য - ৩৫৫ |
রায়গঞ্জ মহকুমাটিতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাটি হলো বাংলা যা সমগ্র মহকুমার ১৩৩৭২৩৯ জনের মধ্যে ১২২৪৬৩২(৯১.৫৮%) জনের মাতৃভাষা৷
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা - ২০১১ | সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | তৃৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | চতুর্থ সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | অন্যান্য ভাষাসমূহের জনসংখ্যা | পাই চিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | রায়গঞ্জ | ৪৩০২২১ | বাংলা - ৩৮৯,৭৯২ (৯০.৬০%) | সাঁওতালি - ১৬,৫৮৫ (৩.৮৫%) | হিন্দী - ১১,০৫৯ (২.৫৭%) | সাভারা - ৩৫২১ (০.৮২%) | অন্যান্য - ৯,২৬৪ | |
২ | হেমতাবাদ | ১৪২,০৫৬ | বাংলা - ১৩৫৮৩৬ (৯৫.৬২%) | সাঁওতালি - ৪১৭৮ (২.৯৪%) | হিন্দী - ১৫১২ (১.০৬%) | অন্যান্য -৫৩০ | ||
৩ | কালিয়াগঞ্জ | ২২৪১৪২ | বাংলা - ২১১৭৫৯ (৯৪.৪৮%) | সাঁওতালি - ৭০৯২ (৩.১৬%) | সাদরি - ২০৮০ (০.৯৩%) | হিন্দী - ১৯৩৪ (০.৮৬%) | অন্যান্য - ১২৭৭ | |
৪ | ইটাহার | ৩০৩৬৭৮ | বাংলা - ২৭৯১৮৭ (৯১.৯৪%) | সাঁওতালি - ১৯২৭১ (৬.৩৫%) | হিন্দী - ৩০৫১ (১.০১%) | অন্যান্য - ২১৬৯ | ||
৫ | রায়গঞ্জ পৌরসভা | ১৮৩৬১২ | বাংলা - ১৫৬৫৫১ (৮৫.২৬%) | হিন্দী - ২৩১০৩ (১২.৫৮%) | অন্যান্য - ৩৯৫৮ | |||
৬ | কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা | ৫৩৫৩০ | বাংলা - ৫১৫০৭ (৯৬.২২%) | সাঁওতালি - ৯৯৬ (১.৮৬%) | হিন্দী - ৭৬৬ (১.৪৩%) | অন্যান্য - ২৬১ |
ধর্ম
[সম্পাদনা]সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা নিম্নরূপ[১০] -
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা ২০১১ - ১৬৬৯৮৯৫ | হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৫৮১৬৭২ (৩৪.৮৩%) | ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১০৭২৮২২ (৬৪.২৫%) | খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১২০৭৩ (০.৭২%) | শিখ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২১১ (০০.০১%) | বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২২৫ (০০.০১%) | জৈন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৯৬৩ (০০.০৬%) | অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১৯২৯ (০০.১২%) | সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম ২০১১ - ইসলাম |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | চোপড়া | ২৮৪৪০৩ | ৯৬৪৬৯ (৩৩.৯২%) | ১৮২০৫০ (৬৪.০১%) | ৫২৩৫ (১.৮৪%) | ৫৭ (০.০২%) | ১০৮ (০.০৪%) | ২৯ (০.০১%) | ৪৫৫ (০.১৬%) | ইসলাম |
২ | ইসলামপুর | ৩০৮৫১৮ | ৮৫০৩৯ (২৭.৫৬%) | ২২২৫৪৮ (৭২.১৪%) | ৭৮১ (০.২৫%) | ১৬ | ৫ | ৩১ (০.০১%) | ৯৮ (০.০৩%) | ইসলাম |
৩ | গোয়ালপোখর-১ | ৩২৬১২০ | ৭২৪৯২ (২২.২৩%) | ২৫১৯৬৫ (৭৭.২৬%) | ৬৭৬ (০.২১%) | ৬৮ (০.০২%) | ৩৭ (০.০১%) | ৪১ (০.০১%) | ৮৪১ (০.২৬%) | ইসলাম |
৪ | গোয়ালপোখর-২ | ২৯১২৫২ | ১০০৫৪৬ (৩৪.৫২%) | ১৮৬৮১৮ (৬৪.১৪%) | ৩৩৪৮ (১.১৫%) | ২৩ (০.০১%) | ১০ | ২৩৯ (০.০৮%) | ২৬৮ (০.০৯%) | ইসলাম |
৫ | করণদিঘি | ৩৬৮৩৩২ | ১৬৮৪৬২ (৪৫.৭৪%) | ১৯৭৮৩২ (৫৩.৭১%) | ১৪৬০ (০.৪০%) | ৩১ (০.০১%) | ২২ | ৯ | ৫১৬ (০.১৪%) | ইসলাম |
৬ | ইসলামপুর পৌরসভা | ৫৪৩৪০ | ৩৬৭৪৯ (৬৭.৬৩%) | ১৭০০৮ (৩১.৩০%) | ২১৯ (০.৪০%) | ১১ (০.০২%) | ২৮ (০.০৫%) | ২৩৮ (০.৪৪%) | ৮৭ (০.১৬%) | হিন্দু |
৭ | ডালখোলা পৌরসভা | ৩৬৯৩০ | ২১৫১৫ (৫৮.২৬%) | ১৪৬০১ (৩৯.৫৪%) | ৩৫৪ (০.৯৬%) | ৫ (০.০১%) | ১৫ (০.০৪%) | ৩৭৬ (১.০২%) | ৬৪ (০.১৭%) | হিন্দু |
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা ২০১১ - ১৩৩৭২৩৯ | হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৯০১২৭১ (৬৭.৪০%) | ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৪২৮৩৪৮ (৩২.০৩%) | খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৪৬২৯ (০.৩৫%) | শিখ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২৬৬ (০০.০২%) | বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২০৭ (০০.০১%) | জৈন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৩৬১ (০০.০৩%) | অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২১৫৭ (০০.১৬%) | সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম ২০১১ - হিন্দু |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইটাহার | ৩০৩৬৭৮ | ১৪৪০৪৯ (৪৭.৪৩%) | ১৫৭৮৫৫ (৫১.৯৮%) | ১২৯৫ (০.৪৩%) | ৩২ (০.০১%) | ২৮ (০.০১%) | ৬ | ৪১৩ (০.১৪%) | ইসলাম |
২ | কালিয়াগঞ্জ | ২২৪১৪২ | ১৭৭২৫৭ (৭৯.০৮%) | ৪৬০৬৬ (২০.৫৫%) | ৬৪৬ (০.২৯%) | ১৭ (০.০১%) | ৮ | ৭ | ১৪১ (০.০৭%) | হিন্দু |
৩ | রায়গঞ্জ | ৪৩০২২১ | ২৮০২১৪ (৬৫.১৩%) | ১৪৬৮৭১ (৩৪.১৪%) | ২০৭৫ (০.৪৮%) | ১০৫ (০.০৩%) | ৮৯ (০.০২%) | ২৭ | ৮৪০ (০.২০%) | হিন্দু |
৪ | হেমতাবাদ | ১৪২০৫৬ | ৬৯৯৫৭ (৪৯.২৫%) | ৭১২২৫ (৫০.১৪%) | ৩৩১ (০.২৩%) | ১৮ (০.০১%) | ৩৩ (০.০২%) | ৩ | ৪৮৯ (০.৩৫%) | ইসলাম |
৫ | কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা | ৫৩৫৩০ | ৫১০১৬ (৯৫.৩০%) | ২৩৭২ (৪.৪৩%) | ৪৬ (০.০৯%) | ১০ (০.০২%) | ৬ (০.০১%) | ২০ (০.০৪%) | ৬০ (০.১১%) | হিন্দু |
৬ | রায়গঞ্জ পৌরসভা | ১৮৩৬১২ | ১৭৮৭৭৮ (৯৭.৩৭%) | ৩৯৫৯ (২.১৬%) | ২৩৬ (০.১৩%) | ৮৪ (০.০৪%) | ৪৩ (০.০২%) | ২৯৮ (০.১৬%) | ২১৪ (০.১২%) | হিন্দু |
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগননা অনুসারে উত্তর দিনাজপুর জেলার জনসংখ্যা ৩০০৭১৩৪ [১১] যেটি মঙ্গোলিয়া বা আর্মেনিয়া-এর জনসংখ্যার প্রায় সমান৷ [১২][১৩] ভারতে ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যা অনুসারে এটির স্থান ১২২তম।[১১] জেলার জনঘনত্ব ৭৫৫ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৯৬০ জন/বর্গমাইল)।[১১] ২০০১-২০১১ তে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৩.১৫%। [১১] উত্তর দিনাজপুর জেলার লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৩৯ জন নারী[১১] এবং সাক্ষরতার হার ২০০১ সালে ৪৭.৮৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৫৯.০৭% (পুরুষ সাক্ষরতা ৬৫.৫২% ও নারী সাক্ষরতা ৫২.১৭%) হয়েছে।[১১] শিশু সংখ্যা (০-৬ বৎসর অবধি) ৪৮৫১৫৭ , যা সমগ্র জনসংখ্যার ১৬.১৩% ৷
নদনদী
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলার জমির ঢালের ওপর নির্ভর করে এই জেলাতে প্রবাহিত নদনদীগুলো উত্তর থেকে দক্ষিণ কোণে বাহিত৷ নদনদীগুলি নিম্নরূপ[১৪][১৫][১৬][১৭][১৮] -
- কুলিক নদী (কুলিক নদীর তীরে রায়গঞ্জ পৌরসভা অবস্থিত)
- নাগর নদী
- মহানন্দা নদী (মহানন্দা-তিস্তা নদী পুষ্ট তিস্তা খালের তীর ইসলামপুর পৌরসভা অবস্থিত)
- সুধানী নদী
- টাঙ্গন নদী
- করতোয়া নদী
- গামারি নদী
- শ্রীমতী নদী (শ্রীমতী নদীর তীরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা অবস্থিত)
- গোবরা নদী - ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটির ২.৫ কিলোমিটার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া অঞ্চলে প্রবাহিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণকারী নদী৷
- ডাহুক নদী
- ফুলহার নদ (ফুলহার নদের তীরে ডালখোলা পৌরসভা অবস্থিত)
- সুই নদী
- নোনা নদী
- গন্দর নদী
- বেরং নদী
- দোলঞ্চা নদী
- সুধা নদী
- পিতানু নদী
- কাহালাই নদী
- ভাটা নদী
- কুর্তা নদী
- রতুয়া নদী
- সেরয়ানী নদী
- কুরসা নদী
- বালাকর নদী
- গয়রা নদী
- তুলাই নদী
পরিবহন ও যোগাযোগ
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলাটি বিভাগীয় সদর মালদা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী নগর কলকাতার সাথে রেল ও সড়ক পথে যুক্ত৷ জেলাটির পূর্বাংশের বৃহৎ অংশ বাংলাদেশরাষ্ট্র সংলগ্ন|
রেল
[সম্পাদনা]জেলাটির রেলপথকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা- দক্ষিণাংশে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃৃত বারসোই-রাধিকাপুর রেলশাখার ৪১ কিলোমিটার এবং উত্তরাংশে উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত বারসোই-নিউ জলপাইগুড়ি রেলশাখার ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, যা জেলাটির অন্তর্ভুক্ত৷ কিছু উল্লেখযোগ্য রেলস্টেশন ও জংশনগুলি হলো-
দুটি প্রস্তাবিত রেলসংযোগ হলো-
- রায়গঞ্জ-ডালখোলা
- রায়গঞ্জ-ইটাহার-গাজোল
সড়ক
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলাতে অবস্থিত জাতীয় সড়ক গুলি হলো - ৩৪ নং, ১২ নং, ২৭ নং৷ ২৭ নং জাতীয় সড়কটি উত্তর-পূর্ব(ঈশান) ভারত থেকে পশ্চিম ভারত অবধি বিস্তৃৃৃত৷
এবং রাজ্য সড়কটি হলো - ১০এ নং যা ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘায়িত৷
এছাড়াও জেলা সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক রয়েছে যা জেলাটির বিভিন্ন ব্লকে বিস্তৃৃৃত৷
বিমানবন্দর
[সম্পাদনা]বর্তমানে জেলাটিতে বিমানবন্দর বা বিমান পরিসেবার ব্যবস্থা না থাকলেও রায়গঞ্জে একটি বিমানবন্দর নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে৷
আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর
[সম্পাদনা]জেলাটিতে বামাইরে একটি সড়কপথে ও রাধিকাপুরে রেলপথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও উভয়ই আপাতত বিশেষ কারণে অপ্রচলিত৷ উভয় স্থলবন্দরই রায়গঞ্জ মহকুমার পূর্বাংশে অবস্থিত৷
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- উত্তর দিনাজপুর জেলা সংগ্রহশালা
- রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য, রায়গঞ্জ
- সাপনিকলা বনাঞ্চল, চোপড়া
- বিজোলিয়া প্রকৃতিবান্ধব পর্যটন
- বিন্দোল ভৈরবী মন্দির
- বুরহানা ফকিরের মসজিদ
- বয়রা কালী মন্দির, কালিয়াগঞ্জ
- কুনোরে, টেরাকোটা শিল্পখ্যাত গ্রাম
- করণজোড়া যাদুঘর ও উদ্যান
- স্বামীনাথ মন্দির
- হরি দিঘি
- বাহিন রাজবাড়ী
- মহারাজাহাট
- শাহ আতা দরগা
- নাট মন্দির, কালিয়াগঞ্জ
- শ্রী শ্রী বৈদ্যনাথ ধাম, শ্রী শ্রী শিব গোপাল এর জাগ্রত মন্দির (সাধিকা - বীীনাপানি ব্যানার্জি), কালিয়াগঞ্জ (নিউ শিবানি হার্ড ওয়ার এর পাশের গলিতে)
ধর্মীয় উৎসব
[সম্পাদনা]সকল ধর্মের উৎসবই খুব আনন্দ সহকারে উৎযাপিত হয় ৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
- দুর্গাপূজা
- কালীপূজা
- রথযাত্রা
- শিবরাত্রি
- বসন্ত পঞ্চমী
- মহরম
- ঈদ উল ফিতর
- ঈদুল আযহা
- গুরু নানক জয়ন্তী
- বড়দিন
- শ্রী শ্রী বৈদ্যনাথ ধাম, শিব গোপাল এর জাগ্রত মন্দির এর বাৎসরিক পুজো (প্রত্যেক অঘ্রান মাসের প্রথম সোমবার), কালিয়াগঞ্জ
মেলা
[সম্পাদনা]জেলাটির কিছু বিখ্যাত মেলা হলো-
- পীরের উরস
- শনি মন্দির মেলা প্রাঙ্গণ, মহারাজাহাট
- মহারাজাহাট কিরতন মেলা 5দিনের মেলা
- করণদিঘি শিরুয়া মেলা(1বৈশাখ)
- লক্ষণীয়া বাউল মেলা, 3 দিনের বিরাট বাউল উৎসব ।# কালিয়াগঞ্জ বৈদ্যনাথ কৃর্তন মেলা। # মা বয়রা কালী মেলা ইত্যাদি।
ঐতিহ্য ও সংস্কৃৃতি
[সম্পাদনা]সহজলভ্যতার জন্য সমগ্র জেলা জুড়েই ছোটো-বড় বাঁশের কাজ দেখা যায়৷ একে কেন্দ্র করে কালিয়াগঞ্জের ধানকলে বাঁশের তৈরী বাঁদর-মুখোশ তৈরী করা হয়৷ কুলো তেরীর কাজ,বিন্দলের হরেন দাসের তৈরি কুলো জেলার মধ্যে বিখ্যাত । তাতে রং করা ও কুলোর ব্যবহার করে বিভিন্ন কুটির শিল্পের জন্য জেলাটি বিখ্যাত৷ মালগাঁওতে পাট ব্যবহার করে উৎকৃষ্ট ও সুদর্শন পাটি, আসন, শতরঞ্চি তৈরী করা হয়৷ রংবেরঙের পাটের ঢোকরার কাজ জগৎবিখ্যাত৷ ডালখোলা ও করণদিঘি অঞ্চলে বোঞ্জ এর পুতুল তৈরী বা পাতের ওপর কাজ করা হয়৷
খাঁ/খান
[সম্পাদনা]মুলতঃ সমগ্র দিনাজপুর অঞ্চলে এর প্রচলন থাকলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে এর অধিক প্রচলন৷ উত্তর দিনাজপুরে এই প্রথা প্রায় লুপ্ত হলেও দক্ষিণাংশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি অনুষ্ঠিত হয়৷
নাটুয়া
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার ব্লকের কিছু গ্রামেই নাটুয়া নাচ করার রীতি আছে ৷ পুরুলিয়াতে ও একই নামে অপর একটি নাচ উপস্থাপনের রীতি থাকলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের নাটুয়া রাধা-কৃৃৃষ্ণ লীলার উপর তৈরী হয় ৷
জঙ গান
[সম্পাদনা]দিনাজপুরী ও সুরজাপুরি উপভাষাতে রচিত জঙগানগুলি হেমতাবাদ, চোপড়া অঞ্চলের ঐতিহ্য ৷
মোখ নাচ(মুখোশ নাচ)
[সম্পাদনা]এই ধরনের নাচ জনজাতি ও আদিবাসীগোষ্ঠী দ্বারা উপস্থাপিত হয় ৷ ছেলেরাই সাধারণত এটি করে থাকে ৷ কাঠ দিয়ে তৈরী মুখোশগুলিতে বিভিন্ন পশু , দেব-দেবী বা কৌনো কৌতুকের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয় ৷ নাচিয়েরা ছাড়াও বাদনদার ও বাঁশিবাদকরা তাদের সঙ্গ দেয় ৷
হালনা-হালনানী
[সম্পাদনা]এটি দুটি রূপক গ্রামীণ চরিত্র , পুরুষটি হালনা ও মহিলা হালনানী ৷ এদের প্রধান কাজ হলো সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন ও উদ্যোগমূলক কাজে সরকার ও সাধারণের যোগসাধন ঘটানো ৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলার কিছু খ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নিম্নরূপ -
বিদ্যালয়
[সম্পাদনা]- লক্ষ্মীপুর মহিমচন্দ্র বিদ্যাভবন,ধনকৈল
- উত্তরবঙ্গ আল-আমিন মিশন
- শিবরাম উচ্চ বিদ্যালয়
- ইটাহার উচ্চ বিদ্যালয়
- দিগনা উচ্চ বিদ্যালয়
- কাপাশিয়া এ.এম উচ্চ বিদ্যালয়
- দুর্গাপুর সাধারণ বিদ্যালয়
- হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ সেন্ট জেভিয়ার্স উচ্চ বিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ শ্রী শ্রী রামকৃৃষ্ণ বিদ্যাভবন
- সুভাষগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (উ:মা)
- রায়গঞ্জ মোহনবাটি উচ্চ বিদ্যালয়
- উত্তর দিনাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কুনোর কে.সি.হাই স্কুল
- জিনগাঁও টি.এন.উচ্চ বিদ্যালয়
- করণদিঘী হাইস্কুল,
- শ্যামলালগ্রাম এফ.পি বিদ্যালয়
- আলতাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ডালখোলা উচ্চ বিদ্যালয়
- দাঁড়িভীট উচ্চ বিদ্যালয়
- টাটু সিংহ স্মৃৃতি বিদ্যালয়, সুপোলগাছ
- বেগুয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- দমদমা উচ্চ বিদ্যালয়
- কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, রায়গঞ্জ
- চোপড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- বিন্দোল উচ্চ বিদ্যালয়
- ধানতলা উচ্চ বিদ্যালয়
- ডাঙ্গিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়
- কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
- জগতাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
- গোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
- গোয়ালপোখর লোধান উচ্চ বিদ্যালয়
- কালিয়াগঞ্জ পার্ব্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়
- কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী উচ্চ বিদ্যালয়
- কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- ডালিমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়
- বাঙালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়
- ইটাহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- করণদিঘি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- সেন্ট মেরি উচ্চ বিদ্যালয়, ডালখোলা
- ভুপাল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ, রাজবাড়ীগেট
- দারিমানপুর বি.এস.সি হাই স্কুল (উঃ মা)
- বানাবোল হাই স্কুল (ইটাহার)
- বানাবোল মহিলাল হাই স্কুল (ইটাহার)
- হেমতাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- সমস পুর উচ্চ বিদ্যালয় (উ: মা:) [সমস পুর]
- খোকসা় বীণাপাণি তপাসিলি হাই স্কুল(খোকসা)
- বাহারাইল ভুবন চন্দ্র হাই স্কুল
- সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র, রায়গঞ্জ
- দেবিনগর কৈলাশ চন্দ্র রাধারাণী বিদ্যাপীঠ,রায়গঞ্জ
- দুয়ারীন উচ্চ বিদ্যালয়,করনদিঘি
প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়(ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ)
[সম্পাদনা]- রিনপোচে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
স্নাতক মহাবিদ্যালয়(ডিগ্রী কলেজ)
[সম্পাদনা]- চোপড়া কমলা পাল স্মৃৃতি মহাবিদ্যালয়
- ডঃ মেঘনাথ সাহা মহাবিদ্যালয়
- ইসলামপুর মহাবিদ্যালয়
- কালিয়াগঞ্জ মহাবিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়
- শ্রী অগ্রসেন মহাবিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ বি.এড মহাবিদ্যালয়
- মৌলানা আবুল কালাম আজাদ শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, ইটাহার
- নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, রায়গঞ্জ
- পশ্চিমবঙ্গ পশু ও মৎস্যবিদ্যা মহাবিদ্যালয়
- রবীন্দ্র নজরুল স্মৃতি শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্র মহাবিদ্যালয়
- প্রতিচি বি.এড মহাবিদ্যালয়
- মহানন্দা নহাবিদ্যালয়
- উত্তরবঙ্গ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র
- করণজোড়া মহাবিদ্যালয়
- আই.টি.আই রায়গঞ্জ
- আই.টি.আই কালিয়াগঞ্জ
চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (মেডিকেল কলেজ)
[সম্পাদনা]বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়(পলিটেকনিক কলেজ)
[সম্পাদনা]- ইসলামপুর সরকারি বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
- রায়গঞ্জ বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]ক্ষেত্রফলভিত্তিক
[সম্পাদনা]- উত্তর দিনাজপুর জেলা - ৩১৪০.০০ বর্গকিলোমিটার
- ইসলামপুর মহকুমা : ১৭৭৪.২৩ বর্গকিলোমিটার
- ইসলামপুর ব্লক : ৩৩১.৮৭ বর্গকিলোমিটার
- করণদিঘি ব্লক : ৩৬৯.৯৫ বর্গকিলোমিটার
- গোয়ালপোখর-১ ব্লক : ৩৫৮.৫৫ বর্গকালোমিটার
- গোয়ালপোখর-২ব্লক : ৩১০.২৬ বর্গকিলোমিটার
- চোপড়া ব্লক : ৩৭৬.৫৮ বর্গকিলোমিটার
- ইসলামপুর পৌরসভা : ১১.০৭ বর্গকিলোমিটার
- ডালখোলা পৌরসভা : ১৫.৯৫ বর্গকিলোমিটার
- রায়গঞ্জ মহকুমা : ১৩৬৫.৭৭ বর্গকিলোমিটার
- ইটাহার ব্লক : ৩৬৯.৮০ বর্গকিলোমিটার
- কালিয়াগঞ্জ ব্লক : ২৯১.৯৫ বর্গকালোমিটার
- রায়গঞ্জ ব্লক : ৪৮৮.৩২ বর্গকিলোমিটার
- হেমতাবাদ ব্লক : ১৯৩.২৭ বর্গকিলোমিটার
- কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা : ১১.৬৭ বর্গকিলোমিটার
- রায়গঞ্জ পৌরসভা : ১০.৭৬ বর্গকিলোমিটার (২০১১)
- ইসলামপুর মহকুমা : ১৭৭৪.২৩ বর্গকিলোমিটার
প্রশাসনিক
[সম্পাদনা]উত্তর দিনাজপুর জেলাটি দুটি মহকুমাতে বিভক্ত৷
১) ইসলামপুর মহকুমা
[সম্পাদনা]ইসলামপুর মহকুমা জেলাটির উত্তরে অবস্থিত যা ৫ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত৷
তহশিলটি ১১৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - চোপড়া, দাসপাড়া, হাপতিয়াগছ, মাঝিয়ালী, চুটিয়াখোরে, ঘিরনিগাঁও, সোনাপুর, লক্ষ্মীপুর৷ সদরটি চোপড়া-তে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১৪৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ধরমপুর ১ ও ২, সাহাপুর ১ ও ২, গোটি, লোধন, গোয়ালপোখর, মহুয়া, গোয়াগছ ১ ও ২, জৈনগাঁও, পাঞ্জিপাড়া, খাগড়, পোখরিয়া৷ সদরটি গোয়ালপোখর-এ অবস্থিত৷
তহশিলটি ১৬৯ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বেলন, কানকি, সাহাপুর ১ ও ২, সুরজাপুর ১ ও ২, বিদ্যানন্দপুর, নিজামপুর ১ ও ২, চাকুলিয়া, তোরিয়াল৷ সদরটি চাকুলিয়া-তে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১০১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অগদিম্তি-খিনতি, গুঞ্জারিয়া, মাটিকুণ্ড ১ ও ২, রামগঞ্জ ১ ও ২, গাইশাল ১ ও ২, ইসলামপুর, পন্ডিতপোতা ১ ও ২, কমলগাঁও-সুজালি, গোবিন্দপুর৷ সদরটি ইসলামপুর-এ অবস্থিত৷
তহশিলটি ২১১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আলতাপুর ১ ও ২, ডালখোলা ১, লাহুতারা ১ ও ২, দোমোহনা, বাজারগাঁও ১ ও ২, করণদিঘি ১ ও ২, রাণীগঞ্জ, রসখোয়া ১ ও ২৷ সদরটি করণদিঘি-তে অবস্থিত৷
২) রায়গঞ্জ মহকুমা
[সম্পাদনা]রায়গঞ্জ মহকুমা জেলাটির দক্ষিণে অবস্থিত যা ৪ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত৷
তহশিলটি ১১৪ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাঙালবাড়ি, চৈনগর, নওদা, বিষ্ণুপুর, হেমতাবাদ৷ সদরটি হেমতাবাদ-এ অবস্থিত৷
তহশিলটি ২১১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ছয়ঘড়া, গুলন্দর ১ ও ২, জয়হাট, পাতিরাজপুর, দুর্গাপুর, কাপাশিয়া, সুরুন ১ ও ২, দুর্লভপুর, ইটাহার, মারনাই৷ সদরটি ইটাহার-এ অবস্থিত৷
তহশিলটি ১৯১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অনন্তপুর, ভাণ্ডার, ধানকৈল, মুস্তাফানগর, বরুণা, বোচাডাঙ্গা, মালগাঁও, রাধিকাপুর৷ সদরটি কালিয়াগঞ্জ-এ অবস্থিত৷
তহশিলটি ২২০ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাহিন, গৌরী, মাহিপুর, শীতগ্রাম, বরুয়া, ভিন্দোলে, জগদীশপুর, মারাইকুড়া, ভাতুন, কমলাবাড়ি ১ ও ২, শেরপুর, রামপুর মহারাজাহাট, বীরঘই৷ সদরটি রায়গঞ্জ-এ অবস্থিত৷
জেলাটির পৌরসভা চারটি হলো -
- রায়গঞ্জ (রায়গঞ্জ)
- কালিয়াগঞ্জ (কালিয়াগঞ্জ)
- ইসলামপুর (ইসলামপুর)
- ডালখোলা (করণদিঘি)
জেলাটির জনগণনা নগর পাঁচটি হলো -
- চোপড়া (চোপড়া)
- হাঁসকুন্দ (গোয়ালপোখর ১)
- নছরতপুর কাটাবাড়ি (রায়গঞ্জ)
- কসবা (রায়গঞ্জ)
- ইটাহার (ইটাহার)
সীমান্ত
[সম্পাদনা]অন্তর্রাজ্য সীমান্ত
[সম্পাদনা]মালদহ জেলার গাজোল, চাঁচল-১, চাঁচল-২, রতুয়া-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর, কুশমণ্ডি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমানা বন্টিত৷
আন্তঃরাজ্য সীমান্ত
[সম্পাদনা]বিহার রাজ্যের কিশানগঞ্জ জেলার পোথিয়া, কিশানগঞ্জ তহশিল; পূর্ণিয়া জেলার আমাউর, বইনসি তহশিল; কাটিহার জেলার বলরামপুর, বারসোই তহশিলের সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমানা বন্টিত৷
আন্তর্জাতিক সীমান্ত
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিরল, বোচাগঞ্জ উপজেলা; ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর উপজেলা; পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী উপজেলার সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমানা বন্টিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "জেলা শাসকের প্রোফাইল"। দিনাজপুর জেলা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "india news | Hindustan Times"। www.hindustantimes.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২১।
- ↑ "Bengal: Students clash with police in school over appointment of teachers, one dead"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২১।
- ↑ "Islampur Clash: Another Student Dies, BJP Bandh Underway"। The Wire। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-২১।
- ↑ https://www.census2011.co.in/census/district/5-dakshin-dinajpur.html
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
- ↑ "DISTRIBUTION OF THE 22 SCHEDULED LANGUAGES-INDIA/STATES/UNION TERRITORIES - 2011 CENSUS" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৬।
- ↑ https://www.census2011.co.in/census/district/4-uttar-dinajpur.html
- ↑ http://www.censusindia.gov.in/2011census/c-01.html
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ https://en.m.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_population_(United_Nations)
- ↑ https://www.bengallive.in/bengallive-special/kulik-river-story-of-uttar-dinajpur-district-in-west-bengal/
- ↑ https://www.bengallive.in/bengallive-special/river-story-of-uttar-dinajpur-second-part/
- ↑ https://www.bengallive.in/bengallive-special/river-story-of-uttar-dinajpur-third-part/
- ↑ https://www.bengallive.in/bengallive-special/river-story-of-uttar-dinajpur-fourth-part/
- ↑ https://www.bengallive.in/bengallive-special/river-story-of-uttar-dinajpur-fifth-part/
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |