ধলেশ্বরী নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধলেশ্বরী নদী
ধলেশ্বরী নদী, বাংলাদেশ
ধলেশ্বরী নদী, বাংলাদেশ
ধলেশ্বরী নদী, বাংলাদেশ
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল ঢাকা বিভাগ
জেলাসমূহ টাঙ্গাইল জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা, মুন্সীগঞ্জ জেলা
উৎস যমুনা নদী
মোহনা মেঘনা নদী
দৈর্ঘ্য ২৯২ কিলোমিটার (১৮১ মাইল)

ধলেশ্বরী নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের টাঙ্গাইল জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা, ঢাকা জেলা নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ধলেশ্বরী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ২৭।[১] নদীটি মূলত বাংলাদেশের মধ্যভাগে দিয়ে প্রবাহিত একটি জলধারা। এটি যমুনা নদীর একটি শাখা। ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী হচ্ছে বুড়িগঙ্গা । এই নদীর কিছু অংশ ভারতের আসাম রাজ্যের হাইলাকান্দি (জিলা) দিয়ে বয়ে গেছে।

সূচনা[সম্পাদনা]

টাঙ্গাইল জেলার উত্তর পশ্চিম প্রান্তে যমুনা নদী হতে ধলেশ্বরীর সূচনা। এটি এর পর দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় - উত্তরের অংশটি ধলেশ্বরী আর দক্ষিণের অংশটি কালীগঙ্গা নামে প্রবাহিত হয়। এই দুইটি শাখা নদী মানিকগঞ্জ জেলার কাছে মিলিত হয়, এবং সম্মিলিত এই ধারাটি ধলেশ্বরী নামে প্রবাহিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাছে শীতলক্ষা নদীর সাথে মিলিত হয়ে পরবর্তীকালে মেঘনা নদীতে পতিত হয়।

ধলেশ্বরী বর্তমানে যমুনার শাখা, কিন্তু প্রাচীন কালে এটি সম্ভবত পদ্মা নদীর মূল ধারা ছিলো। ১৬০০ হতে ২০০০ সালের মধ্যে পদ্মার গতিপথ ব্যাপকভাবে পাল্টে গেছে। ধারণা করা হয়, কোনো সময়ে পদ্মার মূল ধারাটি রামপুর-বোয়ালিয়া এলাকা ও চলন বিল এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, পরে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর মাধ্যমে মেঘনায় গিয়ে পড়তো। ১৮শ শতকে পদ্মার নিম্ন প্রবাহটি ছিলো আরো দক্ষিণে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মূল প্রবাহ ধলেশ্বরী হতে দক্ষিণের প্রবাহে, তথা কীর্তিনাশা নদীতে সরে যায়, যা বর্তমানে পদ্মার মূল গতিপথ।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৫৩-২৫৪। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  2. Majumdar, Dr. R.C., History of Ancient Bengal, First published 1971, Reprint 2005, pp. 3-4, Tulshi Prakashani, Kolkata, আইএসবিএন ৮১-৮৯১১৮-০১-৩.