বিষয়বস্তুতে চলুন

খড়খড়িয়া-তিলাই নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খড়খড়িয়া-তিলাই নদী
পার্বতীপুর উপজেলার নিকটে রেলসেতু থেকে খড়খড়িয়া নদীর দৃশ্য।
পার্বতীপুর উপজেলার নিকটে রেলসেতু থেকে খড়খড়িয়া নদীর দৃশ্য।
পার্বতীপুর উপজেলার নিকটে রেলসেতু থেকে খড়খড়িয়া নদীর দৃশ্য।
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল রংপুর বিভাগ
জেলাসমূহ দিনাজপুর জেলা, নীলফামারী জেলা
উৎস সিঙ্গিমারি বিল
মোহনা ছোট যমুনা নদী
দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার (৪৭ মাইল)

খড়খড়িয়া নদী বা তিলাই নদী বাংলাদেশের উত্তরাংশের নীলফামারীদিনাজপুর জেলার একটি নদী।[] নদীটির দৈর্ঘ্য ৭৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০ মিটার যা কোন্দলের নিকট পরিমাপকৃত এবং সেখানে গভীরতা ৬ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ২৬৫ বর্গকিলোমিটার। সৈয়দপুর, পার্বতীপুর উপজেলা শহর এই নদীর পাড়েই অবস্থিত।[]

প্রবাহ

[সম্পাদনা]

খড়খড়িয়া নদী বাংলাদেশের নীলফামারী জেলা সদরের সিঙ্গিমারি বিল হতে উৎপত্তি লাভ করে নদীটি দিনাজপুর জেলার সৈয়দপুর, পার্বতীপুরফুলবাড়ী উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অতঃপর নদীটি ফুলবাড়ীতে ছোট যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। এই নদীর পানিপ্রবাহ মৌসুমি প্রকৃতির। জুলাই হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রবাহের পরিমাণ বেশি থাকে। তখন প্রবাহের আনুমানিক পরিমাণ ৭৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড হয়। এই নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। এই নদীর উপর সৈয়দপুর-দিনাজপুর সড়কে ১টি সেতু, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কে ২টি সেতু রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি উপপ্রকল্প রয়েছে সিঙ্গিমারি বিলে।[]

তীরবর্তী স্থাপনা

[সম্পাদনা]

খড়খড়িয়া নদীর তীরে পার্বতীপুর পৌরসভা, নীলফামারী পৌরসভা এবং সৈয়দপুর পৌরসভা অবস্থিত। এই নদীতে কোনো ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ১০১
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৭৪।