শুক নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শুক নদী
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রবাহিত শুক নদীর দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রবাহিত শুক নদীর দৃশ্য।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রবাহিত শুক নদীর দৃশ্য।
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল রংপুর বিভাগ
জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা,
উৎস পাটিয়াডাঙ্গি হাট সংলগ্ন বিলাঞ্চল,
মোহনা টাঙ্গন নদী
দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল)

শুক নদী বা সোজ নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ছোট সোজ নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১১৩।[১]

প্রবাহ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাটিয়াডাঙ্গি হাট সংলগ্ন বিল হতে উৎপন্ন হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন নদীতে মিলিত হয়েছে। এই নদীটির দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। প্রস্থ ২০ মিটার এবং গভীরতা ৪.৫ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন ১০০ বর্গকিলোমিটার।[২]

শুক নদী বাঁকের আধিক্যের কারণে খুব ভাঙ্গনপ্রবণ। বুড়িবাঁধ সেচ প্রকল্প রয়েছে এই নদীতে। এই নদীতে ভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর, তাই ফসলও ভালো জন্মে।[২]

নদীর গতিপ্রবাহ সারা বছরই থাকে। এই নদীতে এপ্রিল মাসে কম প্রবাহ থাকে। তখন প্রবাহের পরিমাণ ০.৯০ ঘনমিটার/ সেকেন্ড হয় এবং পানির গভীরতা থাকে ১.২ মিটার। জুলাই ও আগস্টে প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.২৫ ঘনমিটার/ সেকেন্ড দাঁড়ায়। শুক নদীতে জোয়ার-ভাটা হয় না। এই নদীর তীরে ঠাকুরগাঁও শহর অবস্থিত।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৬৪-১৬৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৪০-৩৪১।