কাপ্তাই বাঁধ
কাপ্তাই বাঁধ | |
---|---|
![]() কাপ্তাই বাঁধ, ১৯৬৫ সালে | |
আনুষ্ঠানিক নাম | কাপ্তাই বাঁধ |
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | কাপ্তাই |
অবস্থা | পরিকল্পিত |
উদ্বোধনের তারিখ | ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দ |
বাঁধ এবং স্পিলওয়েস | |
বাঁধের ধরণ | বাঁধ |
আবদ্ধতা | কর্ণফুলী নদী |
পাওয়ার স্টেশন | |
স্থাপিত ক্ষমতা | ২৩০ মেগাওয়াট |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′ উত্তর ৯২°২৩′ পূর্ব / ২২.৫০০° উত্তর ৯২.৩৮৩° পূর্ব কাপ্তাই বাঁধ বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত ও কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে সৃষ্ট কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত একটি বাঁধ। ১৯৬২ খ্রীস্টাব্দে নির্মিত বাংলাদেশের বৃহত্তম এ বাঁধটির মাধ্যমে একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১] বাঁধের সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানি সংরক্ষণ করে প্রতিদিন প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে ১৯৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ণে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ কার্য শুরু হয় ও ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়।[২] ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং ইউতাহ ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেট ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ ও ৫৪.৭ মিটার উচ্চতার এ বাঁধটি নির্মাণ করে। এ বাঁধের পাশে ১৬টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দীর্ঘ একটি পানি নির্গমন পথ বা স্প্রিলওয়ে রাখা হয়েছে। এ স্প্রিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গমন করতে পারে। প্রকল্পের জন্য তখন প্রায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা ৪৮ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
প্রভাব[সম্পাদনা]
কাপ্তাই এলাকার স্থায়ী অধিবাসীরা পানি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কৃত্রিমভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে তারা তাদের বাড়ী-ঘর এবং চাষাবাদযোগ্য জমি হারিয়েছেন। চল্লিশ হাজারেরও অধিক চাকমা আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। জমি অধিগ্রহণের ফলে ঐ এলাকায় সৃষ্ট সংঘর্ষের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।[৩] এছাড়াও, এ বাঁধ নির্মাণজনিত কারণে জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। বন্যপ্রাণী এবং তাদের বসবাস উপযোগী আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংগ্রহকাল: ১ নভেম্বর, ২০১২ইং বাংলাদেশের বৃহত্তম, সর্বোচ্চ, দীর্ঘতম ও ক্ষুদ্রতম-বাংলানিউজ২৪.কম"। ১৮ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ দৈনিক যায়যায়দিন, জানুয়ারি ১০, ২০০৮, পৃষ্ঠা: ১০, মুদ্রিত সংস্করণ
- ↑ ""The construction of the Kaptai dam uproots the indigenous population (1957-1963)". Retrieved 2007-02-01."। ২০১২-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Dams Caused Environmental Refugees of Ethnic Minorities
- Profile
- Embankment Dams
- Jum Cultivation and Environmental Degradation in CHT