খসড়া:মুড়িঘণ্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মধ্যযুগের দরিদ্র নাবিকরা চন্দ্রভাগা অথবা তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে জাহাজ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। দিনের পর দিন এবং মাসের পর মাস জাহাজে থাকাকালীন সেভাবে নাবিকদের জন্য কোনো খাদ্যের রসদ থাকত না। একমাত্র সহজলভ্য ছিল মাছ। নাবিকরা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন রকম মাছের পদ বানাতেন। কিন্তু অবশিষ্ট হিসেবে থেকে যেত মাছের মুড়ো ও লেজ। নাবিকরা মাছের মুড়ো ও লেজ অংশ দুটি পাত্রে চালের সঙ্গে একত্রে রান্না করতেন। কিছুটা হতো পোলাওর মতো। মাছের মুড়ো থাকায় নাম হয়ে গিয়েছিল এই খাদ্যের মুড়িঘণ্ট।

যেহেতু বন্দরে বন্দরে নাবিকরা বাণিজ্য করতেন তাই এই পদ পরিচিতি লাভ করতে বেশি সময় নেয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল পদটি। ধীরে ধীরে তা প্রবেশ করে বাঙালির রন্ধনশালায়।

সাদামাটা মাছের মাথা ও লেজের সঙ্গে বিভিন্ন রকম মসলা ব্যবহার করে পদটির স্বাদ পরিবর্তন করা হয়। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। তারপর আমাদের ডাইনিং টেবিল থেকে বড় বড় রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত মুড়িঘণ্ট সাদরে স্থান করে নিয়েছে।