শফিক আহমেদ
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ | |
---|---|
বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারি ২০০৯ – ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | মওদুদ আহমেদ |
উত্তরসূরী | আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিবিদ) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নারায়নপুর, শশীদল, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১৬ জুলাই ১৯৩৭
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মাহফুজা খানম |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংস কলেজ লন্ডন |
শফিক আহমেদ (জন্ম: ১৬ জুলাই ১৯৩৭) হলেন বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্রেট মন্ত্রী ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]শফিক আহমেদ ১৯৩৭ সালের ১৬ জুলাই কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শশীদল হাই স্কুল থেকে শিক্ষা লাভের পর তিনি কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৩ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। এর পর ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৫ সালে ইন্টারমিডিয়েটে পাশ করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলেও ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোলে বিএ অনার্স এবং ১৯৫৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী নেন। ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন, অতঃপর উচ্চশিক্ষার্থে যুক্তরাজ্যে গমন করেন।১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কিংস কলেজ লন্ডন থেকে তিনি এলএল.এম ডিগ্রি অর্জন করেন ও পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী লিংকনস্ ইন থেকে কলড টু দ্যা বার হয়ে ব্যারিস্টার অ্যাট ল' সনদ লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]শফিক ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।[৩] তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সিটি ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং পরীক্ষকও ছিলেন। ১৯৬৭ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৮৯ সালে আপীল বিভাগের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। শফিক ১৯৯৯ – ২০০০ এবং ২০০৮ – ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোট বার অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] এছাড়াও তিনি বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনা করতেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]শফিক ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টেকনোক্রেট মন্ত্রী ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]শফিক আহমেদ স্থায়ীভাবে বসবাস করেন ইন্দিরা রোডে। তার স্ত্রী একাডেমিক ও অ্যাক্টিভিস্ট মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এবং একমাত্র নারী ভিপি (১৯৬৬-১৯৬৭ সাল) ছিলেন। তাদের দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে চিকিৎসক হলেও এখন ব্যবসা করছেন। মেয়েও চিকিৎসক। ছোট ছেলে মাহবুব শফিক আইনজীবী।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Profile Of Ministers"। The Daily Star। ২০১৩-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৬।
- ↑ ক খ "আইন মন্ত্রণালয় যাচ্ছে কার হাতে"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-১৩।
পূর্বসূরী: এ. এফ. হাসান আরিফ |
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ৭ জানুয়ারি ২০১৪–বর্তমান |
উত্তরসূরী: আনিসুল হক |
- ১৯৩৭-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- কুমিল্লা জেলার রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশী আইনজীবী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কিংস কলেজ লন্ডনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
- কুমিল্লা জেলার ব্যক্তি
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ