সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তান
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ১৯৬৩
টাঙ্গাইল (মধুপুর-গোপালপুর) আসনের আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৩৭ – ১৯৩৯
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ১৯৬৩
টাঙ্গাইল-১ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ৩০ মে ১৯৮১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআনু. ১৯১০
ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৩০ মে ১৯৮১(1981-05-30) (বয়স ৭০–৭১)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলপ্রজা পার্টি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
সন্তানসৈয়দা আশিকা চৌধুরানী
পিতাসৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী
আত্মীয়স্বজনআলতাফ আলী চৌধুরী (ভাই)
মোহাম্মদ আলী বগুড়া (ভাতিজা)
আশরাফ আলী খান চৌধুরী (শশুর)
পেশারাজনীতিবীদ

সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী (আনু. ১৯১০ - ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও ধনবাড়ীর নবাব। তিনি ১৯৬২ সালের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাবনে টাঙ্গাইল (মধুপুর-গোপালপুর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী আনু. ১৯১০ সালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী যিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী ছিলেন। তার মাতার নাম সকিনা খাতুন। সৈয়দ হাসানের ভাতিজা মোহাম্মদ আলী বগুড়া পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[১]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী কৃষক প্রজাদের স্বার্থে রাজনীতিতে যোগ দেন। কৃষক প্রজা পার্টির মনোনয়নে লোকাল বোর্ড, জেলা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে কৃষক প্রজা পার্টির মনোনয়নে টাঙ্গাইলের মধুপুর, গোপালপুর নির্বাচনী এলাকা হতে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২-৬৩ সনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে টাঙ্গাইল-১ মধুপুর নির্বাচনী এলাকা হতে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তিনি ১৯৮১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[১][২] তার মৃত্যুর পর ১৯৮১ সালের উপ নির্বাচনে তার কন্যা সৈয়দা আশিকা আকবর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রাজনীতি ও সমাজসেবায় ধনবাড়ীর নবাব পরিবারের অবদান"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  2. সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও বিবরণ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "আওয়ামী লীগে একক প্রার্থী বিএনপিতে একাধিক"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯