বিষয়বস্তুতে চলুন

টাঙ্গাইল-৪

স্থানাঙ্ক: ২৪°২৩′ উত্তর ৮৯°৫৯′ পূর্ব / ২৪.৩৮° উত্তর ৮৯.৯৯° পূর্ব / 24.38; 89.99
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টাঙ্গাইল-৪
জাতীয় সংসদের
নির্বাচনী এলাকা
জেলাটাঙ্গাইল জেলা
বিভাগঢাকা বিভাগ
মোট ভোটার
  • ৩,৫৪,৫৮৩ (ডিসেম্বর ২০২৩)[]
  • পুরুষ ভোটার: ১,৭৮,৯১২
  • নারী ভোটার: ১,৭৫,৬৬৯
  • হিজড়া ভোটার: ২
বর্তমান নির্বাচনী এলাকা
সৃষ্ট১৯৭৩

টাঙ্গাইল-৪ হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৩৩নং আসন।

সীমানা

[সম্পাদনা]

টাঙ্গাইল-৪ আসনটি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলা নিয়ে গঠিত।[]

নির্বাচিত সাংসদ

[সম্পাদনা]
নির্বাচন সদস্য দল
১৯৭৩ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ[]
১৯৭৯ শাহজাহান সিরাজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল[]
সীমানা পরিবর্তন
১৯৮৬ লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র[]
১৯৮৮ শাহজাহান সিরাজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ)[]
১৯৯১ শাহজাহান সিরাজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ)
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
জুন ১৯৯৬ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০০১ শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
২০০৮ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০১৪ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০১৭ উপ-নির্বাচন মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০১৮ মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০২৪ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র

নির্বাচন

[সম্পাদনা]

২০১০-এর দশকে নির্বাচন

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের শেষের দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।[] ফলে তিনি নিজ দল আওয়ামী থেকে বহিষ্কৃত হন ও মন্ত্রিত্ব হারান। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।[] পরে তার ভাই, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, উপ-নির্বাচনে একজন প্রার্থী হতে পারে কিনা, তা নিইয়ে আইনি জটিলতায় নির্বাচন বিলম্বিত হয়েছিল। অবশেষে উপ-নির্বাচন জানুয়ারি ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় যাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন নির্বাচিত হন।[]

টাঙ্গাইল-৪ উপ-নির্বাচন, ২০১৭[]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
আ.লীগ মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন ১,৯৩,৫৪৭ ৯৭.৮ +৩৬.৮
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ইমরুল কায়েস ১,৬৯৬ ০.৯ প্র/না
বিএনএফ আতাউর রহমান খান ১,৩২০ ০.৭ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১,৯১,৮৫১ ৯৬.৯ +৭৪.২
ভোটার উপস্থিতি ১,৯৭,৯৭৪ ৬৪.৩ −২৫.৯
আ.লীগ নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে

বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[১০]

২০০০-এর দশকে নির্বাচন

[সম্পাদনা]
সাধারণ নির্বাচন ২০০৮: টাঙ্গাইল-৪[১১][১২]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
আ.লীগ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ১,৩৮,৬৪৬ ৬১.০ +১৬.৩
বিএনপি লুৎফর রহমান ৮৬,৯১২ ৩৮.২ -৩.০
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বাংলাদেশ) মোবারক হোসেন ১,২৩৯ ০.৫ প্র/না
জাসদ ইসমাইল হোসেন ৬৭১ ০.৩ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৫১,৭৩৪ ২২.৭ +২০.০
ভোটার উপস্থিতি ২,২৭,৪৬৮ ৯০.২ +১২.১
বিএনপি থেকে আ.লীগ অর্জন করে
সাধারণ নির্বাচন ২০০১: টাঙ্গাইল-৪[১৩]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
বিএনপি শাহজাহান সিরাজ ৮৯,৯১৬ ৪৭.৫ +৬.৩
আ.লীগ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ৮৪,৭৭৫ ৪৪.৭ -৪.২
কেএসজেএল আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ১৩,৭৪৭ ৭.৩ প্র/না
ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসাদুজ্জামান বাবুল ৮৮২ ০.৫ প্র/না
জাপা (মঞ্জু) সাদেক সিদ্দিকী ১৩২ ০.১ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৫,১৪১ ২.৭ −৫.০
ভোটার উপস্থিতি ১,৮৯,৪৫২ ৭৮.১ −৭.৭
আ.লীগ থেকে বিএনপি অর্জন করে

১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন

[সম্পাদনা]
সাধারণ নির্বাচন জুন ১৯৯৬: টাঙ্গাইল-৪[১৩]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
আ.লীগ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ৭৫,৫৮১ ৪৮.৯ +১০.৭
বিএনপি শাহজাহান সিরাজ ৬৩,৭২০ ৪১.২ +৩৬.২
জাপা আবুল কাশেম আহমেদ ১২,৮০৮ ৮.৩ -৬.৮
জামাত আমজাদ হোসেন ২,৩৯৪ ১.৬ প্র/না
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১১,৮৬১ ৭.৭ +৭.৪
ভোটার উপস্থিতি ১,৫৪,৫০৩ ৮৫.৮ +২১.৬
জাসদ (সিরাজ) থেকে আ.লীগ অর্জন করে
সাধারণ নির্বাচন ১৯৯১: টাঙ্গাইল-৪[১৩]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাসদ (সিরাজ) শাহজাহান সিরাজ ৫১,৪২৯ ৩৮.৬
আ.লীগ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ৫০,৯৬৭ ৩৮.২
জাপা এ হামিদ প্রমানিক ২০,১৩৬ ১৫.১
বিএনপি নূরুল আলম টাঙ্গা ৬,৬৪৫ ৫.০
জাকের পার্টি এ আজিজ ১,২৩৭ ০.৯
জনতা মুক্তি পার্টি ওয়ারসুল হাসান সিদ্দিকী ৯২২ ০.৭
ন্যাপ (মুজাফফর) আলিম উদ্দিন টাঙ্গা ৭৯৫ ০.৬
ওয়ার্কার্স পার্টি হাজেরা সুলতানা ৬০৫ ০.৫
ফ্রিডম পার্টি জহির আলী ৪৩৯ ০.৩
বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি দল তাফাজ্জেল হোসেন ১৮০ ০.১
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৪৬২ ০.৩
ভোটার উপস্থিতি ১,৩৩,৩৫৫ ৬৪.২
জাসদ (সিরাজ) নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "টাঙ্গাইল-৪ কেন্দ্র সংক্রান্ত গেজেট" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. "জাতীয় সংসদীয় আসনবিন্যাস (২০১৩) গেজেট" (পিডিএফ)বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "১ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ সংসদ। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  4. "২য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ সংসদ। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪ 
  5. "৩য় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ সংসদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪ 
  6. "৪র্থ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ সংসদ। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৪ 
  7. "হজ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য লতিফ সিদ্দিকীর"প্রথম আলো। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪। 
  8. "লতিফের আসন শূন্য ঘোষণা"প্রথম আলো। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫। 
  9. "এমপি হাছান ইমামের শপথ গ্রহণ"কালের কণ্ঠ। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। 
  10. "১৫৩ আসনে জয়ী যারা"দৈনিক সমকাল। ৪ জানুয়ারি ২০১৪। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  11. "৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন" (পিডিএফ)বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ২৮ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮ 
  12. "মনোনয়ন জমাদানের তালিকা"বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  13. "Parliament Election Result of 1991,1996,2001 Bangladesh Election Information and Statistics"ভোট মনিটর নেটওয়ার্ক (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]