বাংলা ভাষা
| বাংলা | |
|---|---|
| বাঙলা, বাঙ্গালা, বাঙ্গলা | |
বাংলা লিপিতে লেখা "বাংলা" শব্দ | |
| উচ্চারণ | /bɑːŋlɑː/ () |
| অঞ্চল | |
| জাতি | বাঙালি জাতি |
মাতৃভাষী | ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি) (২০১১–২০২১)[২][৩] দ্বিতীয় ভাষা: ৪০ মিলিয়ন (৪.০ কোটি) [২] |
পূর্বসূরী | |
| উপভাষা |
|
| সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা |
|
| নিয়ন্ত্রক সংস্থা | |
| ভাষা কোডসমূহ | |
| আইএসও ৬৩৯-১ | bn |
| আইএসও ৬৩৯-২ | ben |
| আইএসও ৬৩৯-৩ | ben |
| গ্লোটোলগ | beng1280[৭] |
| লিঙ্গুয়াস্ফেরা | |
বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষার বিস্তৃতি
প্রধান ভাষা
আঞ্চলিক ভাষা
১০ লক্ষাধিক প্রবাসী জনসংখ্যা
১ লক্ষাধিক প্রবাসী জনসংখ্যা
১০ সহস্রাধিক প্রবাসী জনসংখ্যা
১ সহস্রাধিক প্রবাসী জনসংখ্যা | |
দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাভাষী অঞ্চল | |
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত) একটি ধ্রুপদী ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ২৪.২ কোটি মাতৃভাষী এবং আরও প্রায় ৪.৩ কোটি দ্বিতীয় ভাষাভাষীর[৮] সমন্বয়ে বাংলা ভাষা মাতৃভাষীর সংখ্যায় বিশ্বে ষষ্ঠ[৯] এবং মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা।[১০][১১]
বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা।[১২] বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা' ও রণসংগীত 'নতুনের গান' বাংলাতে রচিত এবং জাতীয় পর্যায়ের সকল কার্যক্রম বাংলাতে পরিচালিত হয়।
বহু ভাষাভাষীর দেশ ভারতের কোনো স্বীকৃত রাষ্ট্রভাষা নেই। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে ২২ টি ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে, যা সংবিধান স্বীকৃত ভাষা বা, তফসিলি ভাষা নামে পরিচিত। ১৯৫০ সালে প্রারম্ভিক কাল থেকেই বাংলা ভারতের সংবিধান স্বীকৃত ভাষা। ভারত সরকার কর্তৃক ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবরে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।[১৩] ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া, ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে[১৪] এবং হিন্দির পরেই বাংলা ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা।[১৫][১৬] ভারতের জাতীয় সংগীত 'জনগণমন' বাংলা ভাষায় রচিত। বাংলা ভাষায় রচিত 'গীতাঞ্জলী' কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম ভারতীয় তথা প্রথম এশিয়াবাসী হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে।[১৭] সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৮.৫ কোটিরও অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে।[১৮][১৯][২০]
বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ইতিহাস ১৪০০ বছর পুরোনো।[২১] চর্যাপদ এ ভাষার আদি নিদর্শন। সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভান্ডারের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা বিকশিত হয়। বাংলা ভাষার লিপি হলো বাংলা লিপি। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত বাংলা ভাষার মধ্যে শব্দগত ও উচ্চারণগত সামান্য পার্থক্য রয়েছে। বাংলার নবজাগরণে ও বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে এক সূত্রে গ্রন্থনে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে তথা বাংলাদেশ গঠনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলায় প্রায় ৭৫,০০০ পৃথক শব্দ রয়েছে, যার মধ্যে ৫০,২৫০টি (৬৭%) শব্দ "তৎসম" (সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি গৃহীত); ২১,০০০টি (২৮%) শব্দ "তদ্ভব" (পালি ও এবং প্রাকৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে); এবং প্রায় ৫০০০টি বিদেশি।[২২]
১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব বাংলায় সংগঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলন এই ভাষার সাথে বাঙালি অস্তিত্বের যোগসূত্র স্থাপন করেছে। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।[২৩] ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের সংগ্রামের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।[২৪][২৫]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলা ভাষার ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:[২৬]
- প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০-১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ) — চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান এই সময়কার লিখিত নিদর্শন। এই সময় আমি, তুমি ইত্যাদি সর্বনাম এবং — ইলা, — ইবা, ইত্যাদি ক্রিয়াবিভক্তির আবির্ভাব ঘটে।
- মধ্য বাংলা (১৪০০-১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ) — এ সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ইত্যাদি। শব্দের শেষে "অ" ধ্বনির বিলোপ, যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন, ফারসি ভাষার প্রভাব এই সময়ের সাহিত্যে লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো ভাষাবিদ এই যুগকে আদি ও অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন।
- আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে-বর্তমান) — এই সময় ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষেপণ ঘটে, যেমন তাহার → তার; করিয়াছিল → করেছিল।
বাংলার প্রাচীন ভাষা
[সম্পাদনা]খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে বাংলায় হিন্দু ব্রাহ্মণগণ এবং বৌদ্ধ আচার্যগণ সংস্কৃত ভাষার চর্চা করত[২৭], কিন্তু স্থানীয় বৌদ্ধরা প্রাকৃত ভাষার কোনো কোনো রূপে (ভ্যারাইটি) কথা বলত, যাকে ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন মাগধী প্রাকৃতের পূর্ব রূপ বা ভ্যারাইটি হিসেবে। গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়, বাংলা ছিল হিন্দু যাজক বা পুরোহিতদের জন্য সংস্কৃত সাহিত্যের একটি কেন্দ্র, যা স্থানীয়দের কথ্য ভাষাকে প্রভাবিত করে।[২৮] প্রথম সহস্রাব্দে বাংলা যখন মগধ রাজ্যের একটি অংশ ছিল তখন মধ্য ইন্দো-আর্য উপভাষাগুলি বাংলায় প্রভাবশালী ছিল। এই উপভাষাগুলিকে মাগধী প্রাকৃত বলা হয় এবং এটি আধুনিক বিহার, বাংলা ও আসামে কথিত হত। এই ভাষা থেকে অবশেষে অর্ধ-মাগধী প্রাকৃতের বিকাশ ঘটে।[২৯][৩০] প্রথম সহস্রাব্দের শেষের দিকে অর্ধ-মাগধী থেকে অপভ্রংশের বিকাশ ঘটে।[২৬] সময়ের সাথে সাথে বাংলা ভাষা একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিকশিত হয়।[৩১]
প্রাচীন যুগ
[সম্পাদনা]
অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের মতো বাংলাও সংস্কৃত ও মগধী প্রাকৃত থেকে ১০০০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দে বিকশিত হয়।[৩৩] সেসময় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় অপভ্রংশ ছিল পূর্ব অপভ্রংশ বা অবহট্ঠ ("অর্থহীন ধ্বনি"), সেটা থেকেই অবশেষে আঞ্চলিক উপভাষাসমূহের বিকাশ ঘটে, এক্ষেত্রে তিনটি ভাষাদল গঠিত হয় - বাংলা–অসমীয়া ভাষাসমূহ, বিহারি ভাষাসমূহ এবং ওড়িয়া ভাষাসমূহ। অনেকে যুক্তি দেখান যে, এই ভাষাদলগুলোর পৃথকীকরণ অনেক আগেই ঘটেছে, কেউ কেউ ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কথাও বলেন। অনেকে বলেন, মধ্যযুগে প্রাচীন সাহিত্যসমূহের অনেকগুলোকেই আর পাওয়া যায় না, যার ফলে সেসময়কার অনেক শব্দই আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।[৩৪] কিন্তু ভাষা স্থির ছিল না: সেসময় ভাষার বিভিন্ন রূপের সহাবস্থান ছিল, আর সেসময়ে লেখকগণ প্রায়ই একাধিক উপভাষায় লিখেছিলেন।[৩৫] উদাহরণস্বরূপ, ষষ্ঠ শতাব্দীর আশেপাশে অর্ধ-মাগধী থেকে অবহট্ঠ ভাষার বিকাশ ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়, এই অবহট্ঠ ভাষা কিছুসময়ের জন্য বাংলা ভাষার পূর্বপুরুষ প্রোটো-বাংলার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।[৩৫] প্রোটো-বাংলা ছিল পাল সাম্রাজ্য এবং সেন রাজবংশের ভাষা। [৩৬][৩৭]
চৈতন্য মহাপ্রভুর যুগে ও বাংলার নবজাগরণের সময় বাংলা সাহিত্য সংস্কৃত ভাষা দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিল।[৩৮] সংস্কৃত থেকে যে সমস্ত শব্দ বাংলা ভাষায় যোগ করা হয়, তাদের উচ্চারণ অন্যান্য বাংলা রীতি মেনে পরিবর্তিত হলেও সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়।
মধ্যযুগ
[সম্পাদনা]
বাংলা ভাষার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বাংলার মুসলিম শাসকগোষ্ঠী। ফারসির পাশাপাশি বাংলাও বাংলার সালতানাতের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ছিল এবং ব্যাপক হারে ব্যবহার হতো।
মধ্য বাংলার লক্ষণ
[সম্পাদনা]মধ্য স্তরের বাংলা ভাষায় দুইটি সুস্পষ্ট উপস্তর দেখা যায়, আদি-মধ্য আর অন্ত্য-মধ্য। আদি-মধ্য বাংলার স্থিতিকাল আনুমানিক ১৩৫০ হতে ১৪৫০ সন পর্যন্ত । চতুর্দশ শতাব্দে ও পঞ্চদশ শতাব্দে লেখা বলে নিশ্চিতভাবে নেওয়া যেতে পারে এমন কোনো রচনা মিলে না। সুতরাং ১৩৫০ হতে ১৪৫০ অবধি শতাব্দ কালের কতটা প্রাচীন বাংলার অন্তর্গত ছিল এবং কতটা আদি-মধ্য বাংলার অন্তর্গত ছিল তা নিশ্চয় করে বলবার উপায় নাই। সব প্রাচীন রচনায় অষ্টাদশ শতাব্দীর নকল করা উচিত এ পাওয়া গিয়েছে। তাই পঞ্চদশ-ষোড়শ শতাব্দের ভাষার পরিপূর্ণ রূপটি এগুলিতে প্রতিফলিত নয়। তবে চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি তেমনি পুরানো না হলেও মূলে হস্তক্ষেপ খুব বেশি না পড়ায় আদি-মধ্য বাংলার পরিচয় খানিকটা পাওয়া যায়।
অন্ত্য-মধ্য বাংলার স্থিতিকাল ১৬০১ হতে ১৮০০ সন পর্যন্ত। মনে রাখতে হবে যে এই কালসীমা অত্যন্ত আনুমানিক। সাধু ভাষার পরিবর্তনের কথা মনে রাখলে অন্ত্য-মধ্য উপস্তরের শেষসীমা ১৭৫০ সন ধরাই সঙ্গত। তবে সেই সঙ্গে সাহিত্যে ব্যবহারের দিকেও লক্ষ রাখলে ১৮০০ সন ধরতে হয়।
আদি-মধ্য বাংলার প্রধান বিশেষত্ব
[সম্পাদনা]- আ-কারের পরস্থিত ই-কার ও উ-কার ধ্বনির ক্ষীণতা, এবং পাশাপাশি দুই স্বরধ্বনির স্থিতি। যেমন — বড়াই > বড়াই, আউলাইল > আউলাইল।
- মহাপ্রাণ নাসিক্যের মহাপ্রাণতার লোপ অথবা ক্ষীণতা অর্থাৎ ‘হ্ন (ন্হ) > ন’, এবং ‘হ্ম (ম্হ) > ম’। যেমন — কাহ্ন > কান, আহ্মি > আমি।
- [রা] বিভক্তির যোগে সর্বনামের কর্তৃকারকের বহুবচন পদ সৃষ্টি। যেমন — আহ্মারা, তোহ্মারা, তারা।
- [-ইল] -অন্ত অতীতের এবং [-ইব] -অন্ত ভবিষ্যতের কতৃবাচ্যে প্রয়োগ। যেমন — “মো শুনিলোঁ” (=আমি শুনিলাম), “মোই করিবোঁ” (=মুই করিব)।
- প্রাচীন [-ইঅ-] বিকরণযুক্ত কর্মভাব-বাচ্যের ক্রমশ অপ্রচলন এবং ‘যা’ ও ‘ভূ’ ধাতুর সাহায্যে যৌগিক কর্মভাব-বাচ্যের সামরিক প্রচলন। যেমন— “ততেকে সুঝাল গেল মোর মহাদানে”, “সে কথা কহিল নয়”।
- অসমাপিকার সহিত ‘আছ্’ ধাতুর যোগে যৌগিক ক্রিয়াপদ গঠন। যেমন — লইছে < লই + (আ)ছে, রহিলছে < রহিল + (আ)ছে (=রহিয়াছে)।
- যথাক্রমে বক্তার প্রাতিমুখ্য ও আভিমুখ্য বুঝাতে ‘গিয়া’ ও ‘সিয়া’ (< এসে) অসমাপিকা ক্রিয়াপদ অনুসর্গরূপে ব্যবহার। যেমন — দেখ গিয়া > দেখ গে, দেখ সিয়া > দেখ সে।
- ষোড়শ-মাত্রিক পাদাকুলক-পজ্ঝটিকা হতে চতুর্দশাক্ষর পয়ারের বিকাশ।
আধুনিক
[সম্পাদনা]ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে নদিয়া অঞ্চলে প্রচলিত পশ্চিম-মধ্য বাংলা কথ্য ভাষার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন আঞ্চলিক কথ্য বাংলা ভাষা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে।[৩৯]
আধুনিক বাংলা শব্দভান্ডারে মাগধী প্রাকৃত, পালি, সংস্কৃত, ফারসি, আরবি ভাষা এবং অস্ট্রো-এশীয় ভাষাসমূহ অন্যান্য ভাষা পরিবারের শব্দ স্থান পেয়েছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বে, বাংলা ব্যাকরণ রচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ভাওয়াল জমিদারীতে কর্মরত অবস্থায় পর্তুগিজ খ্রিষ্টান পুরোহিত ও ধর্মপ্রচারক ম্যানুয়েল দ্য আসুম্পসাঁও সর্বপ্রথম ভোকাবোলারিও এম ইডিওমা বেঙ্গালা, এ পোর্তুগুয়েজ ডিভিডিডো এম দুয়াস পার্তেস (পর্তুগিজ: Vocabolario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes) নামক বাংলা ভাষার অভিধান ও ব্যাকরণ রচনা করেন। [৪০] ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হালেদ নামক এক ইংরেজ ব্যাকরণবিদ আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ (ইংরেজি: A Grammar of the Bengal Language) নামক গ্রন্থে একটি আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন, যেখানে ছাপাখানার বাংলা হরফ প্রথম ব্যবহৃত হয়। [৪১] বাঙালি সমাজসংস্কারক রাজা রামমোহন রায়[৪২] ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে গ্র্যামার অফ্ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ্ (ইংরেজি: Grammar of the Bengali Language) নামক একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন।[৪৩]
ভাষা আন্দোলন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]১৯৫১-৫২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমান বাংলাদেশ এর মানুষদের উপর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি না দেওয়া এবং ঊর্দু কে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা আন্দোলন নামক একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নিকট বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি দাবি করা হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা প্রদান করে।
ভারত
[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ ছাড়াও ১৯৫০-এর দশকে ভারতের বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলন ঘটে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় একইরকম ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন সংঘ ভাষা বঙ্গ অঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীর মাতৃভাষা। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। এছাড়া ভারতের আসাম রাজ্যের দক্ষিণাংশেও এই ভাষা বহুল প্রচলিত। ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন।
ভৌগোলিক ভাষাভাষী
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশ (৬১.৩%)
- পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) (২৮%)
- ভারতের অন্যান্য রাজ্য (৯.২%)
- অন্যান্য (১.৫%)

বাংলা ভাষা বঙ্গভূমির অধিবাসীদের মাতৃভাষা, যা বর্তমান স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত।

মূল অঞ্চলের পাশাপাশি ত্রিপুরা,দক্ষিণ আসাম এবং ভারতীয় সংযুক্ত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসরত বাঙালীদেরও মাতৃভাষা বাংলা। ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিবেশী রাজ্যসমূহের বাংলা ভাষায় কথা বলা হয় এবং দিল্লি, মুম্বাই, বারাণসী এবং বৃন্দাবন সহ বঙ্গের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলা ভাষাভাষী রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য,[৪৪][৪৫][৪৬] যুক্তরাষ্ট্র,[৪৭] সিঙ্গাপুর [৪৮] মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইতালিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাঙালি বসবাস করেন।
সরকারি মর্যাদা
[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা বাংলা।[১২] ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।[২৩] বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা।
ভারতে ভারতের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ২৩টি সরকারি ভাষার মধ্যে বাংলা একটি।[৪৯] ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি ভাষা হল বাংলা।[৫০][৫১] এছাড়াও বাংলা ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম প্রধান ভাষা।[৫২][৫৩] ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস হতে বাংলা ভাষা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে স্বীকৃত। পাকিস্তানের করাচি শহরের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে বাংলাকে গ্রহণ করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নোবেলজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুইটি বাংলা কবিতা বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।[৫৪] অধিকন্তু, অনেকে মনে করেন যে, শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত (শ্রীলঙ্কা মাতা) মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাংলা কবিতার প্রভাবে লেখা হয়েছিল,[৫৫][৫৬][৫৭][৫৮] আবার অনেকে এমনটাও মনে করেন যে জাতীয় সঙ্গীতটি প্রথমে বাংলায় রচিত হয়েছিল এবং তারপর তা সিংহলিতে অনুবাদ করা হয়েছিল।[৫৯][৬০][৬১][৬২]
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবী জানান।[৬৩]
কথ্য ও সাহিত্যের ভাষার বিবিধতা
[সম্পাদনা]বাংলার কথ্য ও লেখ্য রূপের মধ্যে বিবিধতা বর্তমান।[৬৪][৬৫] বিভিন্ন শব্দভান্ডার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে বাংলায় দুই ধরনের লিখনপদ্ধতি তৈরি হয়েছে।[৬৬]
সাধু ভাষা
[সম্পাদনা]সাধু ভাষা বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে সংস্কৃত ও পালি ভাষাসমূহ থেকে উদ্ভূত তৎসম শব্দভান্ডার দ্বারা প্রভাবিত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই ধরনের ভাষা বাংলা সাহিত্যে বহুল ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সাহিত্যে এই ভাষারূপের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
মান্য চলিত ভাষা
[সম্পাদনা]চলিতভাষা, যা ভাষাবিদদের নিকট মান্য চলিত বাংলা নামে পরিচিত, বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে মানুষের কথ্য বাগ্ধারায় স্থান পায়। এই লিখনশৈলীতে অপেক্ষাকৃত ছোটো আকারের ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমান বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের শৈলী অনুসরণ করা হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরের দুলাল প্রভৃতি রচনাগুলিতে এই ধরনের শৈলী সাহিত্যে জায়গা করে নেয়।[৬৭] এই শৈলী নদিয়া জেলার শান্তিপুর অঞ্চলে প্রচলিত কথ্য উপভাষা থেকে গঠিত হয়েছে, ফলে একে অনেক সময় শান্তিপুরি বাংলা বা নদিয়া উপভাষা বলা হয়ে থাকে।
মান্য চলিত বাংলায় অধিকাংশ বাংলা সাহিত্য রচিত হলেও, কথ্য বাংলা ভাষার উপভাষাসমূহ মধ্যে যথেষ্ট বিবিধতা রয়েছে। কলকাতাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীরা মান্য চলিত বাংলায় কথা বলে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলগুলির কথ্য ভাষা মান্য চলিত বাংলার থেকে অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের কথ্য ভাষার সঙ্গে মান্য চলিত বাংলার খুব সামান্যই মিল রয়েছে।[৬৮] তবে অধিকাংশ বাঙালি নিজেদের মধ্যে ভাব আদানপ্রদানের সময় মান্য চলিত বাংলা সহ একাধিক উপভাষায় কথা বলতে সক্ষম বলে মনে করা হলেও অনেক ভাষাবিদ তা স্বীকার করেন না।[৬৯][৭০]
উপভাষা
[সম্পাদনা]
কথ্য বাংলাতে আঞ্চলিক প্রকরণ একটি উপভাষার ধারাবাহিকতা গঠন করে। ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই উপভাষাগুলি চারটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত করেছেন — রাঢ়ি, বঙ্গ, কামরূপী উপভাষা এবং বরেন্দ্রী;[৪১] তবে অনেক বিকল্প শ্রেণীকরণ প্রকল্পও প্রস্তাব করা হয়েছে।[৭৩] দক্ষিণ-পশ্চিমা উপভাষাগুলি (রাঢ়ি উপভাষা) আধুনিক মান্য ভাষাগত বাঙালির ভিত্তি তৈরি করে। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপাখ্যানগুলিতে (বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগ), পশ্চিমবঙ্গে শোনা অনেক যতি ও সুস্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনিকে উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি হিসাবে উচ্চারণ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে তালুদন্তমূলীয় ঘৃষ্টধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনি চ [tɕɔ], ছ [tɕʰɔ], জ [dʑɔ] যথাক্রমে প্রাচ্যের চ [sɔ], ছ [sɔ], জ [zɔ] এর সাথে সম্পর্কিত। বাংলার কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম এবং চাকমা ভাষার সুর রয়েছে বৈপরীত্য; বক্তার কণ্ঠের উচ্চারণের তীক্ষ্মতা শব্দগুলোকে পৃথক করতে পারে। খারিয়া থাট এবং মাল পাহাড়িয়া ভাষা পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সাধারণভাবে তাদেরকে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও হাজং কে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [৭৪]
উনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলা ভাষার প্রমিতীকরণের সময় ব্রিটিশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ছিল বঙ্গভূমির সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমানার পাশে অবস্থিত নদিয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বর্তমান প্রমিত রূপটি গৃহীত হয়েছে।[৭৫] মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের একজন বক্তা আদর্শ বাংলায় যে শব্দ ব্যবহার করবেন তা বাংলাদেশের একজন বক্তা ব্যবহার নাও করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহৃত নুন শব্দটির পরিবর্তে পশ্চিমপ্রান্তে লবণ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। [৭৬]
বেশিরভাগ লেখা প্রমিত বাংলায় (এসসিবি) থাকলেও কথ্য উপভাষাগুলি বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে। কলকাতা সহ দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা এসসিবিতে কথা বলে। প্রমিত চলিত থেকে কিছুটা স্বল্প পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য উপভাষাগুলো পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশে যেমন মেদিনীপুরের উপভাষায় কিছু নিজস্ব শব্দ রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক উপভাষায় কথা বলেন, এসসিবি থেকে আলাদা কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকেরা প্রমিত চলিতরূপেই লেখেন [৭৭] চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপভাষাটি সাধারণ বাঙালি জনসাধারণের কাছে সহজে বোধগম্য হয় না। [৭৮]
এমনকি এসসিবিতেও বক্তার ধর্ম অনুসারে শব্দভান্ডার পৃথক হতে পারে: হিন্দুরা সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত শব্দ এবং মুসলমানরা দেশীয় শব্দের পাশাপাশি ফারসি এবং আরবি ভাষার শব্দ ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। [৭৭] উদাহরণস্বরূপ:[৭৬]
| প্রধানত হিন্দুরা ব্যবহার করে | প্রধানত মুসলিমরা ব্যবহার করে |
|---|---|
| নমস্কার | আসসালামু আলাইকুম |
| নিমন্ত্রণ | দাওয়াত |
| অতিথি | মেহমান |
| জল | পানি |
| স্নান | গোসল |
| মাসি | খালা |
| কাকা | চাচা / কাকা |
| পিসী | ফুফু |
| প্রার্থনা | দো'আ/দু'আ |
| আশীর্বাদ | দো'আ/দু'আ |
| প্রদীপ | বাতি |
| নুন | লবণ / নুন |
| আধ | আধা |
ধ্বনিব্যবস্থা
[সম্পাদনা]| সম্মুখ | কেন্দ্রীয় | পশ্চাৎ | |
|---|---|---|---|
| সংবৃত | ই~ঈ i | উ~ঊ u | |
| সংবৃত-মধ্য | এ | ও o | |
| বিবৃত-মধ্য | অ্যা æ | অ ɔ | |
| বিবৃত | আ a |
| সম্মুখ | কেন্দ্রীয় | পশ্চাৎ | |
|---|---|---|---|
| সংবৃত | ইঁ~ঈঁ ĩ |
উঁ~ঊঁ ũ | |
| সংবৃত-মধ্য | এঁ ẽ |
ওঁ õ | |
| বিবৃত-মধ্য | অ্যাঁ æ̃ |
অঁ ɔ̃ | |
| বিবৃত | আঁ ã |
| উভয়ৌষ্ঠ্য | দন্তৌষ্ঠ্য | দন্তমূলীয় | তালু-দন্তমূলীয়/দন্তমূলীয় | তালু-দন্তমূলীয়/তালব্য | পশ্চাত্তালব্য | কণ্ঠনালীয় | ||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| নাসিক্য | m | n | ŋ | ◌̃ | ||||
| স্পর্শ | অঘোষ | p pʰ | t̪ | t tʰ | tʃ tʃʰ | k kʰ | ||
| ঘোষ | b bʱ | d̪ d̪ʱ | d dʱ | dʒ dʒʱ | ɡ gʱ | |||
| উষ্ম | (f) | s, (z) | ʃ, (ʒ) | h | ||||
| নৈকট্য | (w) | l | j | |||||
| তাড়ন | ɾ | ɽɽʱ | ||||||
বাংলা ভাষায় প্রচুর স্বরদ্যোতনা রয়েছে; একই অক্ষরে একাধিক স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। [৭৯] এর মধ্যে /oi̯/ এবং /ou̯/ দ্বয় কেবলমাত্র একটি করে স্বরবর্ণ ঐ এবং ঔ দ্বারা লেখা হয়। সর্বমোট যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ১৭ থেকে ৩১ এর মধ্যে রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন। সরকার (১৯৮৫) কর্তৃক প্রদত্ত একটি লেখ নিচে দেয়া হল:[৮০]
| e̯ | i̯ | o̯ | u̯ | |
|---|---|---|---|---|
| a | ae̯ | ai̯ | ao̯ | au̯ |
| æ | æe̯ | æo̯ | ||
| e | ei̯ | eu̯ | ||
| i | ii̯ | iu̯ | ||
| o | oe̯ | oi̯ | oo̯ | ou̯ |
| u | ui̯ |
শ্বাসাঘাত
[সম্পাদনা]আদর্শ বাংলায় সাধারণত শুরুতে শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। বাংলা শব্দগুলো বিমুর্তভাবে দ্বিপর্ববিশিষ্ট; শব্দের প্রথম অক্ষরে মুখ্য শ্বাসাঘাত পড়ে এবং প্রায়ই বিজোড় অবস্থানের অক্ষরগুলোতে গৌণ শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। ফলে সহযোগিতা শব্দটি উচ্চারিত হয় shô-hô-jo-gi-ta "cooperation", যেখানে মোটাদাগ মুখ্য এবং গৌণ শ্বাসাঘাত নির্দেশ করে।
যুক্তব্যঞ্জন
[সম্পাদনা]স্থানীয় বাংলা ভাষায় শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণ থাকে না;[৮১] সর্বোচ্চ ব্য-স্ব-ব্য আকারের অক্ষর হতে পারে(স্বরধনির দুপাশে ব্যঞ্জনধ্বনি)। অনেক বাঙালি এমনকি ইংরেজি কিংবা সংস্কৃত থেকে ধারকৃত শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রেও এই ধারাটি বজায় রাখে যেমন গ্রাম (ব্য-ব্য.ব্য-স্ব-ব্য) উচ্চারণ করেন গেরাম (ব্য-স্ব.ব্য-স্ব-ব্য), স্কুল(ব্য-ব্য-স্ব-ব্য) উচ্চারণ করেন ইস্কুল(স্ব-ব্য.ব্য-স্ব-ব্য) হিসেবে।
বানানতাত্ত্বিক গভীরতা
[সম্পাদনা]সাধারণভাবে বাংলা লিপির তুলনামূলক বানানতাত্ত্বিক গভীরতা বেশি নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাঙালীদের ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে উচ্চারণ-বানান অসঙ্গতি ঘটে।
এক ধরনের অসঙ্গতি হল একই শব্দের জন্য লেখায় বেশ কয়েকটি বানানের উপস্থিতি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কিছু পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও, বাংলা বানান পদ্ধতি সংস্কৃত ভাষার জন্য ব্যবহৃত বানানরীতির উপর ভিত্তি করেই রচিত হচ্ছে [৪১] এবং এভাবে কথ্য ভাষায় কিছু শব্দ সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনায় থাকে না। উদাহরণস্বরূপ,অঘোষ দন্তমূলীয়-তালব্য ব্যঞ্জন [ɕ]-এর জন্য তিনটি বর্ণ (শ, ষ, এবং স রয়েছে যদিও স বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন স্খলন-এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ দন্তমূলীয় উষ্মধ্বনি [s] শব্দ ধরে রাখে; যেমন [skʰɔlɔn] "স্কুল", স্পন্দন [spɔndɔn] ইত্যাদি। ষ বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন কষ্ট-এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ মূর্ধন্য উষ্মধ্বনি [ʂ] শব্দ ধরে রাখে; যেমনঃ কষ্ট [kɔʂʈɔ], গোষ্ঠী [ɡoʂʈʰi] ইত্যাদি। একইভাবে,ঘোষ তালব্য-দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি [dʑ] প্রকাশ করার জন্য দুটি অক্ষর রয়েছে (জ এবং য)। তাছাড়া, আগে উচ্চারিত [ɳ] এবং লিখিত মূর্ধন্য অনুনাসিক ণ কে এখন সাধারণ আলাপচারিতায় দন্তমূলীয় [n] হিসেবে উচ্চারণ করা হয় (যখন উচ্চারণ করা হয় তখন পার্থক্য বোঝা যায়) (যদি না অপর একটি মূর্ধন্যধ্বনির যেমন ট ঠ, ড এবং ঢ-এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে), তবে বানানে এই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। অর্ধ-সংবৃত সম্মুখ স্বরবর্ণ [æ] বানানতাত্ত্বিকভাবে একাধিক উপায়ে নিরূপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ: এত [ætɔ], এ্যাকাডেমী [ækademi], অ্যামিবা [æmiba], দেখা [dækʰa], ব্যস্ত [bæstɔ], ব্যাকরণ [bækɔrɔn]।
অন্য ধরনের অসঙ্গতিটি লেখায় যথেষ্ট ঔচ্চারণিক তথ্যের ঘাটতিসম্পর্কিত। পূর্ববর্তী ধ্বনির স্বরসঙ্গতির উপর নির্ভর করে লেখায় প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে জড়িত অন্তর্নিহিত স্বরবর্ণটি [o] কিংবা [ɔ] হতে পারে; কিন্তু লেখায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ না পাওয়ায় তা পাঠকের জন্য দ্ব্যর্থতা তৈরি করে। তাছাড়া অন্তর্নিহিত স্বরটি প্রায়শই শব্দের শেষে ঊহ্য থাকে (যেমন: কম [kɔm]; তবে তা বানানে প্রতিফলিত না হওয়ায় নতুন পাঠকের পক্ষে এটি কঠিন করে তোলে।
অনেক যুক্তব্যঞ্জন তাদের মূল ব্যঞ্জনবর্ণের চেয়ে আলাদা রূপে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যঞ্জনবর্ণের ক্ [k] এবং ষ [ʂ] যুক্ত হয়ে ক্ষ গঠন করে এবং তা [kkʰɔ](রুক্ষ উচ্চারিত হয় [rukkʰɔ]) কিংবা [kkʰo] (ক্ষতি — [kkʰot̪i]) অথবা [kkʰɔ] (যেমন ক্ষমতা এর উচ্চারণ [kkʰɔmɔt̪a]) হিসেবে উচ্চারিত হতে পারে যা কোনও শব্দে যুক্তব্যঞ্জনটির অবস্থানের উপর নির্ভর করে। বাংলা লেখার ব্যবস্থাটি তাই সর্বদা উচ্চারণের সত্যিকারের সহায়ক নয়।
ব্যবহারসমূহ
[সম্পাদনা]বাংলা, অসমীয়া এবং অন্যান্য ভাষার জন্য ব্যবহৃত লিপিটি বাংলা লিপি হিসাবে পরিচিত। বাংলা এবং তার উপভাষায় বাংলা লিপি হিসেবে এবং কিছু ছোটোখাটো পরিবর্তনের সঙ্গে অসমীয়া ভাষায় অসমীয়া বর্ণমালা হিসেবে পরিচিত। নিকটবর্তী অঞ্চলের অন্যান্য সম্পর্কিত ভাষা যেমন ভারতীয় রাজ্য মণিপুরে মৈতৈ মণিপুরী ভাষাও বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে, যেখানে মৈতৈ ভাষা বহু শতাব্দী ধরে বাংলা বর্ণমালায় রচিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মৈতৈ লিপি প্রচার করা হয়েছে।
লিখন পদ্ধতি
[সম্পাদনা]
বাংলা লিপি একটি আবুগিদা ভিত্তিক শব্দীয় বর্ণমালা লিপি বা অক্ষরমূলক লিপি। এতে প্রতিটি ব্যঞ্জনের জন্য স্বতন্ত্র অক্ষর থাকে, স্বরের জন্য বিভিন্ন কারচিহ্ন ডায়াক্রিটিক আকারে ব্যবহৃত হয়। কোনো স্বরচিহ্ন যুক্ত না থাকলে ব্যঞ্জনে অন্তর্নিহিত স্বর বা স্বয়ংক্রিয় স্বরবর্ণ ‘‘অ’’ ([ɔ] বা ‘‘ô’’) ধরা হয়।[৮২] সমগ্র বাংলাদেশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে (আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা) বাংলা-অসমীয়া লিপি ব্যবহৃত হয়। আনুমানিক খ্রিস্টীয় ১০০০ অব্দে (অর্থাৎ ১০ম–১১শ শতকে) সংশোধিত ব্রাহ্মী লিপি থেকে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়।[৮৩] উল্লেখযোগ্য যে বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ হয়েও পাকিস্তানে ব্যবহৃত শাহমুখি লিপির মতো আরবি বর্ণমালা ব্যবহার না করে বাংলা লিপিই ব্যবহার করে।
হস্তলিখিত বাংলা লিপি কার্সিভ/বক্রলিপি চরিত্রের। এখানে মোট ১১টি গ্রাফিম (বর্ণ) দিয়ে নয়টি স্বর এবং দুটি যৌগিক স্বরধ্বনি বোঝানো হয়; এবং ৩৯টি গ্রাফিমে বিভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি ও অন্যান্য বিশেষ ব্যাঞ্জনবর্ণ ব্যবহৃত হয়।[৮৩] বাংলা লিপিতে লাতিনের মতো বড় ও ছোট হাতের কোন আলাদা রূপ নেই। বর্ণগুলো বাম থেকে ডানে লেখা হয় এবং শব্দ আলাদা করতে ফাঁকা স্থান ব্যবহৃত হয়। তবে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলায় শব্দের মাঝে ফাঁকা দেওয়ার রীতি ছিল না। প্রতিটি বর্ণের ওপর দিয়ে টানা অনুভূমিক দাগকে ‘‘মাত্রা’’ বলা হয়।[৮৪]
বাংলা লিপি আবুগিদা হওয়ায় ব্যঞ্জনচিহ্ন সাধারণত খণ্ডধ্বনি নয়, বরং অন্তর্নিহিত স্বরযুক্ত বর্ণ (অক্ষরমূল) নির্দেশ করে। অন্তর্নিহিত স্বর ‘‘অ’ সাধারণত [ɔ] বা কিছু ক্ষেত্রে [o] কিংবা কিছু পরিবর্তিত রূপ হতে পারে। কোনো ব্যঞ্জনে অন্তর্নিহিত স্বর নেই তা দেখাতে ব্যঞ্জনের নিচে ‘‘হসন্ত’’ (্) বসানো হয় (যেমন ম্ [m])। বাংলা লেখায় হসন্ত খুব বেশি ব্যবহৃত হয় না; এটি সাধারণত উচ্চারণগত বৈপরীত্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় শব্দের শেষে বা মাঝখানে ব্যঞ্জনে হসন্ত না থাকলেও হলন্ত উচ্চারণ হয় হয়, অর্থাৎ কোনো স্বর উচ্চারিত হয় না—যেমন মন [mon]-এর শেষের ‘‘ন’’; আবার গামলা [ɡamla]-র ‘‘ম’’–তেও অন্তর্নিহিত স্বর থাকে না।
ব্যঞ্জনের পরে যদি অন্তর্নিহিত স্বর ছাড়া অন্য কোনো স্বর আসে, তবে তা ব্যঞ্জনের চারপাশে, অর্থাৎ উপরে, নিচে, আগে বা পরে বসা বিভিন্ন কারচিহ্ন দ্বারা লেখা হয়। এগুলো ডায়াক্রিটিক হওয়ায় স্বাধীনভাবে লেখা যায় না। উদাহরণ: মি [mi], মা [ma], মী, মু, মূ, মৃ, মে, মৈ, মো, মৌ। এই সব ক্ষেত্রেই ব্যঞ্জনের অন্তর্নিহিত স্বর বাদ দিয়ে স্বরচিহ্ন বসে (তবে অন্তর্নিহিত স্বরের অপসারণ আলাদা করে চিহ্নিত হয় না)।
বাংলা স্বরচিহ্ন দুটি রূপে দেখা যায়: স্বতন্ত্র/স্বাধীন রূপ (যখন স্বরবর্ণ স্বাধীনভাবে লেখা হয়), এবং নির্ভরশীল/অলোগ্রাফ রূপ (যা কারচিহ্ন হিসেবে ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়)। শব্দের শুরুতে বা ব্যঞ্জন থেকে আলাদা অবস্থায় স্বর লিখতে স্বতন্ত্র রূপ ব্যবহৃত হয়—যেমন ইলিশ, মই ইত্যাদি।
হসন্ত ছাড়াও বাংলায় আরও তিনটি ডায়াক্রিটিক প্রচলিত: উপরের ‘‘চন্দ্রবিন্দু’’ (ঁ), যা স্বরের নাসিক্য উচ্চাওরণ নির্দেশ করে (যেমন চাঁদ); পরে বসা ‘‘অনুস্বার’’ (ং) কণ্ঠ্য নাসিক্য [ŋ] বোঝায় (যেমন বাংলা); এবং পরে বসা ‘‘বিসর্গ’’ (ঃ) অঘোষ কণ্ঠনালীয় উষ্মধ্বনি [h] (যেমন উঃ!) অথবা পরবর্তী ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব নির্দেশ করে (যেমন দুঃখ)। অন্যান্য ভারতীয় লিপির মতো বাংলা লিপিতেও প্রায়ই শোওয়া বিলুপ্তি ঘটে—বিশেষত পদান্তে।
বাংলা যুক্তবর্ণ বা যুক্তব্যঞ্জন সাধারণত লিগেচার আকারে লেখা হয়। এক্ষেত্রে প্রথম ব্যঞ্জনটি পরের ব্যঞ্জনের ওপর বা বাম দিকে যুক্ত হয়। যুক্তবর্ণে কখনও কখনও ব্যঞ্জনগুলোর মূল আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে মূল রূপের চেয়ে এতটাই বিকৃত হয় যে, আলাদা করে চেনা কঠিন হয়ে পড়ে—যেমন ক্ষ (ক+ষ), হ্ম (হ+ম) ইত্যাদি। বাংলা লিপিতে এমন প্রায় ২৮৫টি যুক্তব্যঞ্জন বিদ্যমান। কিছু যুক্তরূপের দৃশ্যত নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ছোটবেলা থেকে রপ্ত করতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরূপ সহজে চেনাতে ‘‘স্বচ্ছ’’ রূপ ব্যবহার শুরু করেছে। তবে মুদ্রণ সহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরোনো ‘‘অস্বচ্ছ’’ রূপই প্রচলিত হওয়ায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের উভয় রূপই শিখতে হয়।
বাংলা যতিচিহ্নে ‘‘।’’ (দাঁড়ি) রয়েছে, যা বাংলায় ‘‘পূর্ণচ্ছেদ’’ নির্দেশ করে। অন্যান্য যতিচিহ্ন পশ্চিমা লিপি (যেমন লাতিন, সিরিলিক) থেকে গৃহীত এবং ব্যবহারও প্রায় একই।
পশ্চিমা লিপি যেখানে অদৃশ্য ভিত্তিরেখার ওপর দাঁড়ায়, বাংলায় বর্ণগুলো ওপরের দৃশ্যমান মাত্রা থেকে ঝুলে থাকে। মাত্রার উপস্থিতি/অনুপস্থিতি অনেক ক্ষেত্রে বর্ণের পার্থক্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ—যেমন ‘‘ত’’ বনাম সংখ্যা ‘‘৩’’, ‘‘ত্র’’ (ত+র ফলা) বনাম স্বাধীন স্বর ‘‘এ’’, ‘‘হ’’ বনাম ‘‘ঽ’’, ‘‘ও’’ বনাম যুক্তব্যঞ্জন ‘‘ত্ত’’ (ত+ত) প্রভৃতি। বর্ণের উচ্চতা (মাত্রা থেকে নিচের অদৃশ্য ভিত্তি পর্যন্ত) ও প্রস্থ—দুটির ধারণাই লিপির চেহারায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলা গ্রাফিম সাজানোর (অভিধান, সূচি বা কম্পিউটারিক ক্রমবিন্যাস) কোনো সর্বজনস্বীকৃত একক ‘‘ক্রমবিন্যাস-মান’’ এখনো নির্ধারিত হয়নি। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা একটি যৌথ মান নির্ধারণের কাজ করছেন।
বিকল্প ও ঐতিহাসিক লিপি
[সম্পাদনা]
ইতিহাসজুড়ে কিছু সময়ে বাংলা ভাষা ভিন্ন ভিন্ন লিপিতে লেখা হয়েছে। তবে এসব লিপি কখনও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়নি এবং নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাভাষী সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভাষার ওপর পারস্পরিক প্রভাব পড়েছে। ওডিশা-সীমান্তবর্তী মেদিনীপুরে অল্পসংখ্যক মানুষ বাংলা লেখার জন্য ওড়িয়া লিপি ব্যবহার করতেন। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সীমান্ত অঞ্চলে কিছু বাংলা-ভাষী সম্প্রদায় ঐতিহাসিকভাবে দেবনাগরী, কৈথি ও তিরহুতা লিপিতে বাংলা লিখেছেন।[৮৫]
সিলেট ও বাঁকুড়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কৈথি লিপির কিছু পরিবর্তিত রূপ একসময় প্রচলিত ছিল। সিলেট অঞ্চলের রূপটি হিন্দুস্তানি ভাষার বৈতালি কৈথির সঙ্গে মূলত একই ছিল, শুধু সিলেটি নাগরিতে মাত্রা ব্যবহৃত হতো।[৮৬] সিলেটি নাগরি লিপি আনু. ১৮৬৯ সালে মুদ্রণের জন্য মান্য করা হয়।[৮৭]
১৯শ শতক পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন স্থানে আরবি লিপির নানা রূপ ব্যবহৃত হয়েছে।[৮৫][৮৮][৮৯] বাংলার ১৪শ শতকের দরবারি পণ্ডিত নূর কুতব আলম ফারসি বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলা কবিতা রচনা করেছিলেন।[৯০][৯১] ২০শ শতকে ভারত ভাগের পর পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে বাংলার মানক লিপি হিসেবে ফারসি-আরবি লিপি চালু করার চেষ্টা করে। পূর্ব বাংলাজুড়ে এই উদ্যোগ বিরোধিতার সম্মুখীন হয় এবং তা বাংলা ভাষা আন্দোলনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৯২]
১৬শ শতকে পর্তুগিজ মিশনারিরা বাংলা লিপ্যন্তরের জন্য রোমান বর্ণমালার ব্যবহার শুরু করেন। পর্তুগিজ পদ্ধতিটি তেমন বিস্তার পায়নি, তবে খ্রিস্টধর্ম ও বাংলা ব্যাকরণ-সংক্রান্ত কিছু রোমান বাংলা গ্রন্থ ১৭৪৩ সালে লিসবন পর্যন্ত ছাপা হয়েছিল। পরে ইংরেজ ও ফরাসিরা বাংলা ব্যাকরণ ও লিপ্যন্তর সম্পর্কিত গ্রন্থ রচনা করেন। জন গিলক্রিস্ট ইংরেজি ধ্বনিমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে রোমান হরফে প্রথম ঈশপের উপকথাগুলো বাংলায় প্রকাশ করেন। এরপর প্রতি শতাব্দীতেই রোমান বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা দেখা গেছে। সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা এবং মুহাম্মদ এনামুল হকসহ অনেকে এসব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন।[৮৫] ডিজিটাল বিপ্লব বাংলা লেখায় ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহারের প্রসারেও ভূমিকা রেখেছে,[৯৩] এবং বর্তমানে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবক সম্পূর্ণ উপন্যাসও রোমান বাংলায় প্রকাশ করছেন।[৯৪]
অর্থোগ্রাফিক গভীরতা
[সম্পাদনা]সাধারণভাবে বাংলা লিপির অর্থোগ্রাফি অগভীর—অর্থাৎ বহু ক্ষেত্রে শব্দের ধ্বনি (ফোনিম) ও বর্ণের (গ্রাফিম) মধ্যে এক-একটির মিল দেখা যায়। ইংরেজি বা ফরাসির লাতিন লিপিতে এ মিল তুলনামূলকভাবে কম। তবে অন্য অনেক ক্ষেত্রে বাংলা লিপিতে গ্রাফিম-ফোনিমের অমিল দেখা যায়। আসলে, ভারতীয় লিপিগুলোর মধ্যে বাংলা-অসমীয়ার অর্থোগ্রাফিক গভীরতা সবচেয়ে বেশি। সাধারণভাবে গ্রাফিম থেকে ফোনিম অনুমান করা বা বানান দেখে উচ্চারণ বোঝা তুলনামূলক সহজ। কিন্তু ফোনিম থেকে গ্রাফিম—অর্থাৎ উচ্চারণ থেকে বানান অনুমান করা তুলনামূলক কঠিন।
এক ধরনের অমিল তৈরি হয়েছে একই ধ্বনির জন্য একাধিক বর্ণ থাকার কারণে। ১৯শ শতকে কিছু সংস্কার হলেও বাংলা বানান এখনো সংস্কৃত-নির্ভর, এবং কথ্য ভাষায় যে সব ধ্বনিমিল হয়েছে, সেগুলো বানানে প্রতিফলিত হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, [ʃ] ধ্বনির জন্য তিনটি বর্ণ (শ, ষ ও স) আছে। তবে বিশেষ কিছু যুক্তব্যাঞ্জনে এখনো স্বতন্ত্র স [s] ধ্বনি বিদ্যমান, যেমন স্খলন [skʰɔlon] ("পতন"), স্পন্দন [spɔndon] ("কম্পন") ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে ষ বর্রও [ʂ] ধ্বনি হিসেবে উচ্চারিত হয়—যেমন কষ্ট [kɔʂʈo], গোষ্ঠী [ɡoʂʈʰi] ইত্যাদি। একইভাবে [dʒ] ধ্বনির জন্য জ ও য—এই দুটি বর্ণ ব্যবহৃত হয়। আরও একটি উদাহরণ হলো, ণ ব্যঞ্জনটি আগে [ɳ] ধ্বনিতে উচ্চারিত হতো, কিন্তু কথ্য ভাষায় এখন সাধারণত [n] উচ্চারণ ব্যবহৃত হয় (তবে ট, ঠ, ড, ঢ-জাত মূর্ধন্য ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হলে তা আলাদা)। তবে ন-এর উচ্চারণে মিলে গেলেও বানান অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। একইভাবে, [æ] স্বরধ্বনি বিভিন্নভাবে লিপিতে প্রকাশিত হয়, যেমন: এত [æto] ("এতটা"), এ্যাকাডেমী [ækaɖemi], অ্যামিবা [æmiba], দেখা [dækʰa] ব্যস্ত [bæsto], ব্যাকরণ [bækorɔn]।
আরেক ধরনের অমিল দেখা যায় ধ্বনিতাত্ত্বিক তথ্যের অপূর্ণতার কারণে। প্রতিটি ব্যঞ্জনে যুক্ত অন্তর্নিহিত স্বরধ্বনি কখনো [ɔ] আবার কখনো [o] হয়—এটি আশেপাশের স্বরধ্বনি বা স্বরসঙ্গতির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু এই তথ্য বানানে স্পষ্ট নয়। ফলে পাঠকের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আরও একটি ব্যাপার হলো, অনেক সময় সিলেবলের শেষে অন্তর্নিহিত স্বর উচ্চারিত হয় না—যেমন কম [kɔm] ("কম")—কিন্তু বানানে তা দেখানো হয় না। নতুন পাঠকদের জন্য এটি সমস্যা তৈরি করে।
বহু ব্যঞ্জনসমষ্টির উচ্চারণ তাদের পৃথক ব্যঞ্জনের ধ্বনি থেকে ভিন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, ক্ [k] ও ষ [ʂ] একত্র হয়ে ক্ষ রূপ নেয় এবং শব্দের অবস্থানভেদে এর উচ্চারণ [kkʰo] (যেমন রুক্ষ [rukkʰo]—"রুক্ষ"), [kʰɔ] (ক্ষমতা [kʰɔmota]—"ক্ষমতা") কিংবা [kʰo] (ক্ষতি [kʰoti]—"ক্ষতি") হতে পারে। আবার [ʃ] ধ্বনির জন্য লিপিতে ৭টির মতো ভিন্ন গ্রাফিম রয়েছে। যেমন: 'শ' (শব্দ—śôbdo "শব্দ"), 'ষ' (ষড়যন্ত্র—śoṛōjontrō "ষড়যন্ত্র"), 'স' (সরকার—śorkar "সরকার"), 'শ্ব' (শ্বশুর—śōśur "শ্বশুর"), 'শ্ম' (শ্মশান—śośan "শ্মশান"), 'স্ব' (স্বপ্ন—śopnō "স্বপ্ন"), 'স্ম' (স্মরণ—śorōn "স্মরণ"), 'ষ্ম' (গ্রীষ্ম—griśśō "গ্রীষ্ম") ইত্যাদি। অধিকাংশ ব্যঞ্জনসমষ্টিতে কেবল প্রথম ব্যঞ্জনটি উচ্চারিত হয়, বাকিগুলো নিঃশব্দ থাকে। যেমন লক্ষ্মণ ("লোক্খোন"), বিশ্বাস ("বিস্সাস"), বাধ্য ("বদ্ধো"), স্বাস্থ্য ("শাস্থো")। কিছু ব্যঞ্জনসমষ্টির উচ্চারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়, যেমন 'হ্য' ঐতিহ্য শব্দে jjh রূপে উচ্চারিত হয় (ōitijjhō), আবার হ্যাঁ-তে এটি 'hæ' রূপে শোনা যায় (নাসালাইজড "hæ")।
আরেক ধরনের অমিল দেখা যায় অন্য ("ওন্নো") এবং অন্ন ("ওন্নো")—এই ধরনের শব্দে। এখানে অ অক্ষর দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জনসমষ্টি ন্য ও ন্ন-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে দুটি আলাদা উচ্চারণ (ō ও o) ধারণ করে, কিন্তু ব্যঞ্জনসমষ্টি দুটি একই উচ্চারণ তৈরি করে। ফলে একই অক্ষর ভিন্ন উচ্চারণ পায় এবং ভিন্ন অক্ষর কখনো একই উচ্চারণ তৈরি করে।
এসব অমিলের প্রধান কারণ হলো বাংলায় বহু ধ্বনিমিল বা sound merger ঘটেছে, কিন্তু লিপি সে অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়নি। বাংলায় তৎসম শব্দ—অর্থাৎ সংস্কৃত থেকে সরাসরি আগত শব্দ—অনেক, এবং এসব শব্দে মূল সংস্কৃত বানান রয়ে গেছে, কিন্তু উচ্চারণ সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে। তৎসম শব্দগুলোতে গ্রাফিম-ফোনিম অমিল বেশি দেখা যায়, আর তদ্ভব শব্দে এ মিল তুলনামূলক বেশি।
সব মিলিয়ে, বাংলা লিপি অনেক সময় উচ্চারণের নির্ভরযোগ্য দিকনির্দেশক নয়।
নমুনা পাঠ্য
[সম্পাদনা]নিম্নলিখিত বাংলা ভাষাতে মানবাধিকার সনদের প্রথম ধারার নমুনা পাঠ্য:
বাংলা লিপিতে বাংলা ভাষা
- ধারা ১: সমস্ত মানুষ স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের বিবেক এবং বুদ্ধি আছে; সুতরাং সকলেরই একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব নিয়ে আচরণ করা উচিত।
- Dhara êk: Sômôstô manush sbadhinbhabe sôman môrzada ebông ôdhikar niye jônmôgrôhôn kôre. Tãder bibek ebông buddhi achhe; sutôrang sôkôleri êke ôpôrer prôti bhratritbôsulôbh mônobhab niye achôrôn kôra uchit.
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে বাংলা ভাষার উচ্চারণ
- d̪ʱara æk ʃɔmɔst̪ɔ manuʃ ʃad̪ʱinbʱabe ʃɔman mɔrdʒad̪a ebɔŋ ɔd̪ʱikar nie̯e dʒɔnmɔɡrɔhɔn kɔre. t̪ãd̪er bibek ebɔŋ budd̪ʱːi atʃʰe; sut̪ɔraŋ sɔkɔleri æke ɔpɔrer prɔt̪i bʱrat̪rit̪ːɔsulɔbʱ mɔnobʱab nie̯e atʃɔrɔn kɔra utʃit̪.
সম্পর্কিত ভাষাসমূহ
[সম্পাদনা]বাংলা ভাষার সাথে নেপালি ভাষার ৪০ শতাংশ সাদৃশ্য রয়েছে।[৯৫] এছাড়া অসমীয়া ভাষা, সাদরি ভাষা প্রায় বাংলার অনুরূপ। অনেকেই অসমীয়াকে বাংলার উপভাষা বা আঞ্চলিক রীতি হিসেবে বিবেচনা করেন। সাঁওতালি ভাষা, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার সাথেও বেশ সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। অসমীয়ার পর বাংলার সবথেকে কাছের ভাষা ওড়িয়া।
অসমীয়া, চাটগাঁইয়া, সিলেটি এবং প্রমিত বাংলার সাথে তুলনা
[সম্পাদনা]| রাজবংশী | অসমীয়া | প্রমিত বাংলা | সিলেটি | চাটগাঁইয়া |
|---|---|---|---|---|
| Muĩ kôrû | Môi kôrû | Ami kôri | Ami/Mui xôri | ãi gôri |
| Muĩ kôrûsû | Môi kôri asû | Ami kôrchi | Ami/Mui xôriar/xôrram | ãi gôrir |
| Muĩ kôrsinû | Môi kôrisilû | Ami kôrêchi | Ami/Mui xôrsilam | ãi gôrgi |
| Muĩ kôrûsinû | Môi kôri asilû | Ami kôrchilam | Ami/Mui xôrat aslam | ãi gôrgilam |
| Muĩ kôrim | Môi kôrim | Ami kôrbo | Ami/Mui xôrmu | ãi gôirgôm |
| Muĩ kôrtê thakim | Môi kôri/kôrat thakim | Ami kôrtê thakbo | Ami/Mui xôrat tha'xmu | ãi gorat tàikkôm |
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহ
- ইন্দো-ইরানি ভাষাসমূহ
- ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ
- বাংলাদেশের ভাষা
- বৃহত্তর ময়মনসিংহের ভাষা
- সিলেটি ভাষা
- চাটগাঁইয়া ভাষা
- রংপুরী ভাষা
- বাংলা উপভাষা
- বাংলা লিপি
- বাংলা সংখ্যা পদ্ধতি
- বাংলা ভাষা আন্দোলন
- আরবি লিপিতে বাংলা লিখন
- বাংলা একাডেমি
- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি
- ইংরেজি ভাষা
- হিন্দি ভাষা
- উর্দু ভাষা
- আরবি ভাষা
- ফার্সি ভাষা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Bengalis of Nepal"। Peoplegroups.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- 1 2 টেমপ্লেট:E22
- ↑ "Scheduled Languages in descending order of speaker's strength - 2011" (পিডিএফ)। Registrar General and Census Commissioner of India। ১৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৮।
- ↑ "শিকাগোর অফিস-আদালতে বাংলা | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ প্রতিনিধি, নিউ ইয়র্ক; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "শিকাগোর অফিস-আদালতে এলো বাংলা"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "শিকাগোর অফিস-আদালতে বাংলা ভাষা"। সমকাল। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Bengali"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ টেমপ্লেট:E28
- ↑ "World Population Clock: 7.8 Billion People (2020) - Worldometer"। worldometers.info (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "What are the top 200 most spoken languages?"। Ethnologue (Free All)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্বে বাংলা পঞ্চম অবস্থানে"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- 1 2 "৩৷ রাষ্ট্রভাষা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৯।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|কর্ম=উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র ..."। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Census of India 2011 - LANGUAGE ATLAS - INDIA"।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "Languages of India"। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Languages in Descending Order of Strength — India, States and Union Territories – 1991 Census"। Census Data Online। Office of the Registrar General, India। পৃ. ১। ১৪ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০০৬।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে:|month=(সাহায্য) - ↑ "Bengali language"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh wants Bangla as an official UN language: Sheikh Hasina"। The Times of India। PTI। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "General Assembly hears appeal for Bangla to be made an official UN language"। UN.org। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০। ১ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২।
- ↑ "Hasina for Bengali as an official UN language"। Ummid.com। Indo-Asian News Service। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০। ২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২২।
- ↑ "বাংলা সাহিত্য, বাংলাপিডিয়া"।
- ↑ বাংলা ভাষায় আরবী ফারসী তুর্কী হিন্দী উর্দু শব্দের অভিধান- কাজী রফিকুল হক, বাংলা একাডেমি,২০০৪,পৃষ্ঠা ১৮
- 1 2 "বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭"। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Amendment to the Draft Programme and Budget for 2000–2001 (30 C/5)" (PDF)। General Conference, 30th Session, Draft Resolution। UNESCO। ১৯৯৯। ২১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ "Resolution adopted by the 30th Session of UNESCO's General Conference (1999)"। International Mother Language Day। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- 1 2 (Bhattacharya 2000)
- ↑ Datta, Amaresh (১৯৮৮)। Encyclopaedia of Indian Literature: Devraj to Jyoti (ইংরেজি ভাষায়)। Sahitya Akademi। পৃ. ১৬৯৪। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৬০-১১৯৪-০।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ Shah 1998, পৃ. 11
- ↑ Keith 1998, পৃ. 187
- ↑ (Bhattacharya 2000)
- ↑ (Toulmin 2006:306)
- ↑ "Oberlies, Karl August"। Benezit Dictionary of Artists। Oxford University Press। ৩১ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ (Sen ও Siddhanta 1996)
- 1 2 বাংলাপিডিয়া (২০১২)। "প্রধান পাতা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ "Pala dynasty – Indian dynasty"। Global.britannica.com। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ nimmi। "Pala Dynasty, Pala Empire, Pala empire in India, Pala School of Sculptures"। Indianmirror.com। ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Tagore ও Das 1996, পৃ. 222
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ আমীনুর রহমান (২০১২)। "ব্যাকরণ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- 1 2 3 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং মহাম্মদ দানীউল হক (২০১২)। "বাংলা ভাষা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ Wilson ও Dalton 1982, পৃ. 155
- ↑ "Rammohan Roy's Goudiya Grammar"। Scribd। ২২ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Kuwait restricts recruitment of male Bangladeshi workers | Dhaka Tribune"। www.dhakatribune.com (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Bahrain: Foreign population by country of citizenship, sex and migration status (worker/ family dependent) (selected countries, January 2015) – GLMM"। GLMM (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২০ অক্টোবর ২০১৫। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Saudi Arabia"। Ethnologue। ২৩ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। blls.sg। ৩০ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "Languages of India"। Ethnologue Report। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ Bhattacharjee, Kishalay (৩০ এপ্রিল ২০০৮)। "It's Indian language vs Indian language"। ndtv.com। ২৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ NIC, Assam State Centre, Guwahati, Assam। "Language"। Government of Assam। ৬ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০০৬।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ "Profile: A&N Islands at a Glance"। Andaman District। জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র। ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ "Andaman District"। Andaman & Nicobar Police। National Informatics Center। ১ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ "Statement by Hon'ble Foreign Minister on Second Bangladesh-India Track II dialogue at BRAC Centre on 07 August, 2005"। Ministry of Foreign Affairs, বাংলাদেশ সরকার। ১৮ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ "Sri Lanka"। দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক। ২২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Man of the series: Nobel laureate Tagore"। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। Times News Network। ৩ এপ্রিল ২০১১। ১২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka I-Day to have anthem in Tamil"। দ্য হিন্দু। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Tagore's influence on Lankan culture"। হিন্দুস্তান টাইমস। ১২ মে ২০১০। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Wickramasinghe, Nira (২০০৩)। Dressing the Colonised Body: Politics, Clothing, and Identity in Sri Lanka। Orient Longman। পৃ. ২৬। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৫০-২৪৭৯-৮। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Wickramasinghe, Kamanthi; Perera, Yoshitha। "Sri Lankan National Anthem: can it be used to narrow the gap?"। The Daily Mirror (Sri Lanka)। নং 30 March 2015। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Haque, Junaidul (৭ মে ২০১১)। "Rabindranath: He belonged to the world"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Habib, Haroon (১৭ মে ২০১১)। "Celebrating Rabindranath Tagore's legacy"। The Hindu। ১৩ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ Subir Bhaumik (২২ ডিসেম্বর ২০০৯)। "Bengali 'should be UN language'"। BBC News। ৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Das, Debaprasad (১৬ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Carbon Nanotube and Graphene Nanoribbon Interconnects"। ডিওআই:10.1201/b17853।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ "Bengali Language At Cornell: Language Information"। Department of Asian Studies at Cornell University। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়। ১২ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৮।
- ↑ মহাম্মদ দানীউল হক (২০১২)। "সাধু ভাষা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ মহাম্মদ দানীউল হক (২০১২)। "আলালের ঘরের দুলাল"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ Ray, Hai এবং Ray 1966, পৃ. 89
- ↑ "SSRN Electronic Library"। papers.ssrn.com। ২২ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Indian Linguistic Nation State: A Report"। Scribd। ২২ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ বাংলা ভাষা ও উপভাষা, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স [Bangla language and dialect, Sukumar Sen, Anand Publishers]।
- ↑ The Origin and Development of the Bengali language, Suniti kumar Chatterjee, Vol 1, Page 140, George Allen and Unwin London,New Edition,1970 (English ভাষায়)।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ (২০১২)। "উপভাষা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ "Hajong"। The Ethnologue Report। ১৫ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ মহাম্মদ দানীউল হক (২০১২)। "চলিত ভাষা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- 1 2 "বাংলার ইতিহাস"। বাংলার টেলিযোগাযোগ এবং ইলেকট্রিক কোম্পানি। ৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০০৬।
- 1 2 Ray, Hai এবং Ray 1966
- ↑ Ray, S Kumar। "The Bengali Language and Translation"। Translation Articles। Kwintessential। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ (Masica 1991, পৃ. 116)
- ↑ Sarkar, Pabitra (১৯৮৫)। Bangla diswar dhoni। Bhasa।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থানে প্রকাশক অনুপস্থিত (লিঙ্ক) - ↑ (Masica 1991, পৃ. 125)
- ↑ Escudero Pascual Alberto (২৩ অক্টোবর ২০০৫)। "Writing Systems/ Scripts" (পিডিএফ)। Primer to Localization of Software। it46.se। ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০০৬।
- 1 2 "Bangalah"। ৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। in Asiatic Society of Bangladesh 2003
- ↑ "banglasemantics.net"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- 1 2 3 Chatterji (1926), p. 234–235. উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "FOOTNOTEChatterji1926" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ Saha, RN (১৯৩৫)। "The Origin of the Alphabet and Numbers"। Khattry, DP (সম্পাদক)। Report of All Asia Educational Conference (Benares, December 26–30, 1930)। Allahabad, India: The Indian Press Ltd। পৃ. ৭৫১–৭৭৯।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;bpediaনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Khan Sahib, Maulavi Abdul Wali (২ নভেম্বর ১৯২৫)। A Bengali Book written in Persian Script।
- ↑ Ahmad, Qeyamuddin (২০ মার্চ ২০২০)। The Wahhabi Movement in India। Routledge।
- ↑ "The development of Bengali literature during Muslim rule" (পিডিএফ)। Blogs.edgehill.ac.uk। ৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ শহীদুল্লাহ, মুহাম্মদ (ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩)। "হযরত নূরুদ্দীন নূরুল হক নূর কুতবুল আলম (রহঃ)"। ইসলাম প্রসঙ্গ, ১ম সংস্করণ ইসলাম প্রসঙ্গ (1 সংস্করণ)। ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স। পৃ. ৯৯।
- ↑ Kurzon, Dennis (২০১০)। "Romanisation of Bengali and Other Indian Scripts"। Journal of the Royal Asiatic Society। ২০ (1): ৭১–৭৩। আইএসএসএন 1356-1863। জেস্টোর 27756124। ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Kurzon, Dennis (২০০৯)। Romanisation of Bengali and Other Indian Scripts (অভিসন্দর্ভ)। Cambridge University।
- ↑ Islam, Tahsina (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "The question of standard Bangla"। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ঢাকা। ১২ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০২১।
- ↑ "Bengali"। Ethnologue। ১০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]
|
|
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলাপিডিয়ায় বাংলা ভাষা
- বাংলা একাডেমি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে