আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ

স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৫′৪২″ উত্তর ৯০°২৩′৪২″ পূর্ব / ২৪.৭৬১৭৬৩° উত্তর ৯০.৩৯৫১২৩° পূর্ব / 24.761763; 90.395123
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আনন্দ মোহন কলেজ
আনন্দ মোহন কলেজের লোগো.png
নীতিবাক্যজ্ঞানের জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯০৮
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
২০৭ জন
শিক্ষার্থীপ্রায় ৩৮০০০
অবস্থান
কলেজ রোড, ময়মনসিংহ
,
২৪°৪৫′৪২″ উত্তর ৯০°২৩′৪২″ পূর্ব / ২৪.৭৬১৭৬৩° উত্তর ৯০.৩৯৫১২৩° পূর্ব / 24.761763; 90.395123
শিক্ষাঙ্গননগর, ১৫.২৪ একর
অধিভুক্তিবাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটhttp://anandamohangovtcollege.edu.bd
Map

আনন্দ মোহন কলেজ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের অবস্থিত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কলেজটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এ কলেজে স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তিত হয়।

আনন্দ মোহন কলেজের প্রধান ফটক

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাঙালি শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক আনন্দমোহন বসু ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন। ১৮৮০ সালে এই ইনস্টিটিউশন কার্যক্রম শুরু করে ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল নামে। ১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহের দু'টি নাগরিক কমিটি ময়মনসিংহ সভা ও আঞ্জুমানে ইসলামিয়া একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবী জানায়। এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দমোহন বসুর সহায়তায় ১৯০১ সনের ১৮ জুলাই সিটি কলেজিয়েট স্কুল ময়মনসিংহ সিটি কলেজ নামে শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ করে। তখন এই কলেজটি কলকাতার সিটি কলেজ কাউন্সিলের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হতো। কিন্তু ১৯০৮ সালে সেই আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ১৯০৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি কলেজ আনন্দ মোহন কলেজ নামে যাত্রা শুরু করে যার পুরো জায়গা দান করেন মৌলভী হামিদ উদ্দিন তবে কলেজের শিক্ষাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয় ১৯০৯ সালে। প্রতিষ্ঠাকালে আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র ছিল মাত্র ১৭৮ জন ও শিক্ষক ছিলেন ৯ জন। কলেজটি ১৯৬৪ সালে সরকারিকরণ করা হয়।[১][২]

বর্তমান চিত্র[সম্পাদনা]

বর্তমানে আনন্দ মোহন কলেজে ২২টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক তিনটি বিষয়ে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়। সব মিলিয়ে এসব বিষয়ে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষক রয়েছেন ২০৭ জন। কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে; ছাত্রদের জন্য ৬টি ও ছাত্রীদের জন্য ২টি হল। প্রায় ৫০,০০০ বই নিয়ে আছে সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেডিকেল সেন্টার চালু করা হয়েছে | চালু করা হয়েছে ইন্টারনেট ক্যাফে।[৩]

আনন্দমোহন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নির্মিত নতুন ভবন

এছাড়াও এই কলেজ প্রাঙ্গণের ভেতরে একটি পুকুর রয়েছে।

বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]

আনন্দ মোহন কলেজ ক্যাম্পাস ময়মনসিংহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগমন উপলক্ষে নির্মিত স্মারক ভাস্কর্য

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আর্ন্তজাতিক সামরিক আদালতের অন্যতম বিচারক রাধা বিনোদ পাল ১৯১১-১৯২০ সালে এই কলেজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, ইতিহাসবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম এবং লেখক ড. সফিউদ্দিন আনন্দমোহন কলেজে শিক্ষকতা করেন।

বিগত একশতাধিক বৎসলে এ কলেজে অসংখ্য বিখ্যাত ব্যক্তি অধ্যয়ন করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন:

ছাত্র সংগঠন[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://amc1908.ucoz.com/index/history/0-34
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. "ময়মনসিংহের গর্ব"prothom-alo.com 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]